মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই প্রবন্ধ থেকে প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
মানুষ মুহম্মদ (স) সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
লঙ্ঘি এ সিন্দুরে প্রলয়ের নৃত্যে
ওগাে কার তরী ধায় নির্ভীক চিত্তে।
অবহেলি জলধির ভৈরব গর্জন
প্রলয়ের ডঙ্কার ওঙ্কার তর্জন!
পুণ্য-পথের এ যে যাত্রীরা নিম্পাপ,
ধর্মেরি বর্মে সুরক্ষিত দিল সাফ!
নহে এরা শঙ্কিত বজ্র-নিপাতেও;
কাণ্ডারী আহমদ, তরী ভরা পাথেয়!
আবুবকর উসমান উমর আলী হায়দার
দাঁড়ি যে এ তরণীর, নাই ওরে নাই ডর!
কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা,
দাঁড়ি-মুখে সারি গান- লা শরীক আল্লাহ্।
ক. সকলের মহাযাত্রা কার দিকে?
খ. হযরতের মৃত্যুর কথা প্রচারিত হলে মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে এলাে কেন?
গ. উদ্দীপকটিতে মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের কোন দিককে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের পাকা মাঝি-মাল্লাদের অন্যতম দুজনই মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের বীরবাহু উমর এবং মহামতি আবুবকর।”— বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ সকলের মহাযাত্রা আল্লাহর দিকে।
খ উত্তরঃ হযরতের মৃত্যুর কথা প্রচারিত হলে মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে এলাে ।
হযরত মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্রে ক্ষমা, মহত্ত্ব, প্রেম, দয়া প্রভৃতি অসংখ্য গুণের সমন্বয় ঘটেছিল। আজীবন তিনি মানুষের কল্যাণে নিয়ােজিত ছিলেন। মানুষের শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে তিনি নিজের জীবন রূপায়িত করে তুলেছিলেন। তাঁর ত্যাগ, কল্যাণ চিন্তা, সৌজন্য, সাধুতা ছিল মানুষের জন্য অনুকরণীয়। তিনি ছিলেন সমগ্র মুসলমানের পথপ্রদর্শক। তাই তাঁর মৃত্যুতে মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে এলাে।
সারকথা : হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন মুসলিম জাতির পথপ্রদর্শক। তাই তাঁর মৃত্যুতে মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে এলাে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের হযরত মুহম্মদ (স.)-এর আদর্শ অনুসারীদের গুরুত্বের দিকটি নির্দেশ করেছে। পৃথিবীতে ভালাে-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি বিরাজমান। এগুলাের মধ্য থেকে আদর্শবান মানুষরা সঠিক পথ চিনে নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যান।
মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদন করে নিজেদের ধন্য মনে করেন। তারা পুণ্যপথের যাত্রী। মহামানবদের দেখানাে পথেই তাঁদের অগ্রযাত্রা। উদ্দীপকে পুণ্যপথের যাত্রীদের খেয়া পার হওয়ার সহজ উপায় এবং মহামানব মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) ও তার চার কর্ণধারের ক্ষমতার সুতি ফুটে উঠেছে।
এখানে মানবতার কল্যাণকামী এবং সত্য ও ন্যায়ের প্রথানুসারী ব্যক্তিদের মহা বিপদ থেকে পরিত্রাণের উপায় ও নির্ভয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়টি মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণাবলি, আদর্শ এবং তার আদর্শ অনুসারী চার খলিফার শ্রেষ্ঠ হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.)-এর দূরদর্শিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.), তাঁর চার খলিফা এবং তাদের আদর্শ অনুসারীদের কথা বলেছেন। এখানে ইসলামের সত্যানুসারীদের পুণ্যপথের যাত্রী বলা হয়েছে। তিনি এই যাত্রীদের প্রত্যাশাই করেছিলেন। হযরত মুহম্মদ (স.) লা শরীক আল্লাহ্’-এর বাণীই প্রচার করেছেন।
সারকথা : ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.) মানুষকে যে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়েছেন তা তুলে ধরা হয়েছে। উদ্দীপকের পুণ্যপথের যাত্রী মহানবি (স.)-এর দেখানাে সেই পথের অনুসারী এবং ‘লা শরীক আল্লাহ’ বাণীতে দীক্ষিত।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের পাকা মাঝি-মাল্লাদের অন্যতম দুজনই ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের বীরবাহু উমর এবং মহামতি আবুবকর।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
আল্লাহ্ যুগে যুগে পৃথিবীতে বহু মহামানব প্রেরণ করেছেন। তাঁরা সবাই মানবকল্যাণের কথা বলে গেছেন। তারা মানুষকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী, আদর্শবান ও মানবীয় গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সবার মঙ্গল সাধনই ছিল তাঁদের একমাত্র চেষ্টা। আর তা করতে গিয়ে তাঁরা বহু ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন।
উদ্দীপকে মহাসিন্ধুর প্রলয় জলােচ্ছ্বাসে নির্ভীক চিত্তে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে রূপক অর্থে জীবনের কঠিন বাধা-বিপত্তি পার হয়ে সত্যের পথে এগিয়ে যাওয়াকে বােঝানাে হয়েছে। সত্য সাধক পুণ্যপথের যাত্রীরা প্রলয়ের ডঙ্কার ওঙ্কার তর্জনকে উপেক্ষা করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায়।
তাঁদের পথে দিশা কাণ্ডারি আহমদ এবং পুণ্যপথের পাথেয়। সেই তরীর পাকা মাঝি হচ্ছেন আবুবকর, উসমান, উমর ও আলী। এখানে রূপক অর্থে ইসলামের চার খলিফাকে বােঝানাে হয়েছে।
উদ্দীপকে এই চারজনের মধ্যে মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহামতি আবুবকর ও বীরবাহু উমর অন্যতম দুজন।
মহানবি (স.)-এর মৃত্যুর পর সবাই অধৈর্য হয়ে পড়লে আবু বকর (রা.) তাঁদের সান্ত্বনা দেন। হযরত মুহম্মদ (স.) যে আল্লাহর দাস (মানুষ) ও রাসুল ছিলেন তিনি তা সবাইকে বুঝিয়ে বলেন। আবুবকর (রা.) ছিলেন সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবাদী ও পুরুষদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী।
উদ্দীপকের পুণ্যপথের যাত্রীদের সঙ্গে আবুবকর (রা.) থাকলেই তারা সহজে সকল বিপদ অতিক্রম করতে সমর্থ হবেন বলে বিশ্বাস করেন। আর ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা.) ছিলেন একজন তেজস্বী বীরযােদ্ধা এবং ন্যায়পরায়ণ শাসক।
উদ্দীপকে তাঁকে স্মরণ করে ইসলামের তরি নিয়ে এগিয়ে চলা যাত্রীরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হওয়ার অনুপ্রেরণা প্রত্যাশা করেছে। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকের পাকা মাঝি-মাল্লাদের অন্যতম দুজন আবুবকর ও উমর এবং মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের মহামতি আবুবকর (রা.) ও বীরবাহু ওমর (রা.) অভিন্ন ব্যক্তি। তারা ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
মানুষ মুহম্মদ (স) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
খলিফা উমরের সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি-এর আলােকে প্রণীত খলিফা হাসিয়া বলে, ‘তুমি জিতে গিয়ে বড় হতে চাও, ভাই রে এমনি ছলে। রােজ-কিয়ামতে আল্লাহ যে দিন কহিবে, ‘উমর! ওরে করে নি খলিফা, মুসলিম-জাহা তাের সুখ তরে তােরে।’
কি দিব জওয়াব, কি করিয়া মুখ দেখাব রসুলে ভাই। আমি তােমাদের প্রতিনিধি শুধু মাের অধিকার নাই আরাম সখের – মানুষ হইয়া নিতে মানুষের সেবা। ইসলাম বলে, সকলে সমান, কে বড় ক্ষুদ্র কেবা । ভূতা চড়িল উটের পৃষ্ঠে উমর ধরিল রশি, মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী।
ক. হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুসংবাদে শােকাহত অনুসারীদের কে শান্ত করলেন?
খ. “তিনি আজ জীবন নদীর ওপারে চলিয়া গেলেন।”- বাক্যটি দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আলােচিত কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ?
ঘ. “মিল থাকলেও উদ্দীপকটি মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবধারা নয়”– যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ হযরত মুহম্মদ (স.)-এর প্রিয়তম প্রবীণ সাহাবি স্থিতধী হযরত আবুবকর (রা)।
খ উত্তরঃ “তিনি আজ জীবন নদীর ওপারে চলিয়া গেলেন”- বাক্যটি দ্বারা মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মহাপ্রয়াণকে বােঝানাে হয়েছে।
মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুতে নেমে আসে গভীর শােকের ছায়া। জীবন নদীর ওপারে বলতে তার ইহলােক ত্যাগ করে পরলােকে যাওয়াকে বােঝানাে হয়েছে। হযরত ছিলেন মানুষের নবি। তিনি আজীবন মানুষের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালােবাসার মধ্যে সাধারণ মানুষের মতাে জীবনযাপন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে হযরত আয়েশা (রা.) প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে বিলাপ করছিলেন।
সারকথা : প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা হযরত মুহম্মদ (স.)-এর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরম করুণাময়ের কাছে চলে যাওয়ার অর্থাৎ তার মৃত্যুর এ কথা বােঝানাে হয়েছে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আলােচিত মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে।
হযরত মুহম্মদ (স.) ছিলেন বিশ্বনবি । বিশ্বের সব মানুষের জন্য তিনি কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর মানবীয় গুণাবলি আমাদের বিস্মিত করে। মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালােবাসা তাঁকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবিক গুণাবলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তার অনেক গুণের মধ্যে অন্যতম প্রধান গুণ হলাে মানবপ্রেম। তিনি মানুষকে ভালােবেসেছেন। সব মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখেছেন।
তিনি কখনাে নিজেকে রাজা বা সম্রাট মনে করেননি, নিজের্কে সাধারণ মানুষ ভেবেছেন এবং সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশেছেন। উদ্দীপকের খলিফা উমরের মধ্যেও অনুরূপ সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে খলিফা উমর ও নিজেকে বড় মনে করে অহংকার করেননি, বরং নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। মানুষকে ভালােবেসে মানুষের সেবা এবং সবাইকে সমান মনে করেছেন। আর মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে বর্ণিত এই বিষয়টিই উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
সারকথা : ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আর এ বিষয়টি উদ্দীপকেও ফুটে উঠেছে।
আপনি এই পোষ্টে মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “মিল থাকলেও উদ্দীপকটি মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবধারা নয়”—মন্তব্যটি যথার্থ ।
মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর চারিত্রিক গুণাবলি তাকে সবার চেয়ে আলাদা করেছে। বিভিন্ন মানবীয় গুণের মধ্য দিয়ে তিনি সত্য ও কল্যাণের পথে বিচরণ করেছেন। তাঁর মহত্ত্ব, সাধনা, ত্যাগ, কল্যাণচিন্তা ছিল বিশ্বের সব মানুষের জন্য অনুকরণীয়।
‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় গুণাবলি প্রকাশ পেয়েছে। মানবপ্রেম, ক্ষমা, উদারতা, দয়া ইত্যাদি মানবীয় গুণের সমাবেশ ঘটেছিল তার চরিত্রে। তিনি আজীবন সত্যের পথে অবিচল থেকে মানবকল্যাণে নিয়ােজিত ছিলেন।
মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের সঠিক পথ দেখাতে তার ক্লান্তি ছিল না। তিনি আড়ম্বরপূর্ণ জীবন পছন্দ করতেন না। সহজ, সরল, সাধারণ জীবনেই তিনি অভ্যস্ত ছিলেন। শত্রুর কাছে আঘাত পেয়েও তিনি ক্ষমার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তাঁর কাছে সব মানুষ ছিল সমান। কোনাে মানুষকেই তিনি ছােট-বড় করে দেখতেন না। উদ্দীপকেও খলিফা উমরের মাঝে সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি সব মানুষকে সমান চোখে দেখে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়ােজিত করেছেন।
উদ্দীপকে খলিফা হযরত উমরের মাঝে সব মানুষকে সমানভাবে দেখার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। এই বিষয়টি প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মাঝেও দেখা যায়। কিন্তু এদিক থেকে মিল থাকলেও প্রবন্ধে মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্রের নানা দিক বিশ্লেষিত হয়েছে, যা উদ্দীপকে নেই। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : সব মানুষকে সমানভাবে দেখার বিষয়টি উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবীয় i) গুণাবলি বিশ্লেষণ করলে সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। তবে মিল থাকলেও উদ্দীপকটি প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবধারা প্রকাশ করে না। কারণ প্রবন্ধের বহু বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য মানুষ মুহম্মদ (স) প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।