আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
কল্যাণীর ধারাবাহী যে-মাধুরী বাংলা ভাষায়
গড়েছে আত্মীয় পল্লী, যমুনা-পদ্মার তীরে তীরে
সেই বাংলাদেশে ছিল সহস্রের একটি কাহিনী
কোরানে পুরাণে শিল্পে, পালা-পার্বণের ঢাকে ঢেলে
আউল-বাউল নাচে; পুণ্যাহের সানাই রঞ্জিত
মাঠে ঘাটে শ্রমসঙ্গী নানাজাতিধর্মের বসতি
চিরদিন বাংলাদেশ
ক. কবির মতে বাঙালি কিসের অক্ষর থেকে এসেছে?
খ. বাঙালি পালযুগের চিত্রকলা থেকে কীভাবে এসেছে?
গ. আমার পরিচয় কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালির চিত্র আমার পরিচয় কবিতার বাঙালির প্রতিচ্ছবি।”- মূল্যায়ন কর ।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ কবির মতে বাঙালি চর্যাপদের অক্ষর থেকে এসেছে।
খ উত্তরঃ বাঙালি পালযুগের চিত্রকলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করার মধ্য দিয়ে এসেছে। • প্রাচীন বাংলা ও বাঙালির জীবনেতিহাসে পালযুগ এক স্মরণীয় অধ্যায়। চারশত বছরব্যাপী পাল আমলে শিল্প-সাহিত্যের অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়। চিত্রকলায়ও এই সময়ের সমৃদ্ধি লক্ষ করা যায়। বাংলা ও বাঙালির শিল্প ও চিত্রকলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এই পালযুগের চিত্রকলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে ঋদ্ধ।
সারকথা : বাংলা এবং বাঙালির শিল্প ও চিত্রকলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য পালযুগের চিত্রকলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে সমৃদ্ধ হয়েছে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের বাঙালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমির দিকটির সঙ্গে আমার পরিচয় কবিতার মিল পাওয়া যায় । একটি জাতি কোনাে একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হঠাৎ করে জন্ম নেয় না।
অনেক পথ পেরিয়ে, নানা উপাদান ও অনুষঙ্গে একটি জাতির জন্ম ও বিকাশ ঘটে। একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা সন্নিহিত ভূখণ্ডে বংশপরম্পরায় বসবাসকারী জনগােষ্ঠীর ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, অভ্যাস, আচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিল্প-সাহিত্য তাদেরকে একটি স্বতন্ত্র জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে।
উদ্দীপকটিতে আবহমান বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি, প্রকৃতির রূপমাধুর্য এবং মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহ্য প্রকাশ পেয়েছে। এখানে পদ্মা-মেঘনা-যমুনাসহ অসংখ্য নদী-নালার তীরের বসতিতে কোরান-পুরাণ-শিল্পের অজস্র গল্পকথা চলে, পালা-পার্বণে ঢাক-ঢােল বাজে, আউল-বাউল নাচে।
বাংলাদেশের মানুষ শুধু ভাষায় নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ। আমার পরিচয় কবিতায়ও বাঙালির এই বিবর্তনের বিকাশ দৃশ্যমান। এই কবিতায় কবি গভীর মমত্বের সঙ্গে বাঙালির সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমি তুলে ধরেছেন। আর এসব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সম্মিলনের বিষয়টিতে উদ্দীপকের সঙ্গে আমার পরিচয় কবিতার মিল রয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপকটিতে আবহমান বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি, প্রকৃতির রূপমাধুর্য এবং মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহ্য প্রকাশ পেয়েছে। আমার পরিচয় কবিতায়ও বাঙালির এই বিবর্তনের বিকাশধারা দৃশ্যমান।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালির চিত্র ‘আমার পরিচয় কবিতার বাঙালির প্রতিচ্ছবি ।” মন্তব্যটি যথার্থ। বহুকাল ধরে নানা জাতির বিচিত্র জনস্রোত এসে মিশেছে বাংলার মাটিতে, গড়ে তুলেছে এক অভিন্ন আপন সত্তা।
এদেশের জনগণের অন্তরের সঙ্গে মিশে যাওয়া মর্মবাণী হচ্ছে মানবীয় মূল্যবােধ, সম্প্রীতি। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্মবােধ ও বিশ্বাসে পারস্পরিক সমঝােতা ও শ্রদ্ধাবােধের মাধ্যমে এ জাতি এক অনুসরণযােগ্য আদর্শ গড়ে তুলেছে। উদ্দীপকে বাংলার চিরন্তন শাশ্বত রূপ, বাঙালি জাতির ক্রমবিকাশ ও বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনাবিধৌত নদীমাতৃক এদেশের হাজার হাজার গ্রামে কোটি কোটি মানুষ বাস করে। নানা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লােক এখানে পাশাপাশি বসবাস করে পরম আত্মীয়ের মতাে। বাংলাদেশের প্রতিটি পল্লিগ্রাম কোরান-পুরাণ, পালা-পার্বণের ধর্মীয় সংস্কৃতিতে ভরপুর।
বাংলার মানুষ জাতি-ধর্ম ভুলে গিয়ে একই সঙ্গে মাঠেঘাটে কাজ করে পরম আত্মীয়ের মতাে। আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি বাঙালির যে পরিচয় তুলে ধরেছেন তা উদ্দীপকের বাঙালিরই প্রতিরূপ। উদ্দীপকের বাঙালির মতাে আমার পরিচয় কবিতার বাঙালিও একই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।
কবিতার বর্ণনায় সহজিয়াপন্থি বৌদ্ধ কবিদের সৃষ্ট চর্যাপদের মধ্যে বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক জীবনবােধের পরিচয় আছে। যুগে যুগে নানা আন্দোলন, বিপ্লব-বিদ্রোহ আর মতাদর্শের বিকাশ ও সংহতি সাধন হতে হতে আমরা এসে পৌছেছি আজকের বাংলায়, হয়েছি আজকের বাঙালি। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে বাংলার চিরন্তন ও শাশ্বত রূপ এবং বাঙালি জাতির ক্রমবিকাশ ও বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। আমার পরিচয় কবিতায় কবি যে বাঙালির পরিচয় তুলে ধরেছেন তা উদ্দীপকের বাঙালিরই প্রতিরূপ। কারণ যুগে যুগে নানা আন্দোলন, বিপ্লব-বিদ্রোহ আর মতাদর্শের বিকাশ ও সংহতি সাধন হতে হতে আমরা এসে পৌঁছেছি আজকের বাংলায়, হয়েছি আজকের বাঙালি।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী চেতনা ও গুরুত্ব-এর আলােকে প্রণীত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গবিরােধী আন্দোলন সংগ্রামের যে-শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিল শিক্ষিত তরুণ হিন্দুকে, ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তেমনি একটা শিক্ষা দিয়ে গেল শিক্ষিত মুসলমানকে। তারা শিখল এই কথা যে, সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি নেই। আত্মত্যাগের উজ্জ্বল কোনাে ঐতিহ্য নেই বলে শিক্ষিত বাঙালী মুসলিমের মনের মধ্যে গােপন একটা লজ্জাও ছিল, সেই লজ্জা অনেক পরিমাণে ঘুচিয়ে দিল একুশের সংগ্রাম। একুশে ফেব্রুয়ারি একটা বহু-প্রতীক্ষিত প্রতীকের আকার ধারণ করল বাংলাদেশে।
ক. জয়নুল আবেদিন কী হিসেবে খ্যাত?
খ. “আমি তাে এসেছি তিতুমীর আর সূর্য সেনের থেকে” বলতে কবি ‘আমার পরিচয় কবিতায় কী বুঝিয়েছেন?”
গ. উদ্দীপকটি আমার পরিচয়’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা আমার পরিচয় কবিতার সংগ্রামী চেতনাকে নির্দেশ করে।” মন্তব্যটি যাচাই কর ।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ জয়নুল আবেদিন ‘শিল্পাচার্য হিসেবে খ্যাত।
খ উত্তরঃ ‘আমার পরিচয় কবিতায় “আমি তাে এসেছি তিতুমীর আর সূর্য সেনের থেকে বলতে কবি বাঙালি জাতির সংগ্রামী ঐতিহ্যকে বুঝিয়েছেন।
তিতুমীর ও সূর্য সেন বাংলার বীর সন্তান। বাঙালি এই বীর সন্তানরা ইংরেজদের ও এ দেশীয় জমিদারদের শাসন-শােষণের বিরুদ্ধে সােচ্চার ছিলেন। একজন লড়াই করতে করতে শহিদ হন, অন্যজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তবুও তারা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
যুগ যুগ ধরে এসব বিপ্লবীর আত্মত্যাগের ফলে বাঙালি আজ স্বাধীন জাতি। এ কারণেই কবি তাঁর নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে এসব ঐতিহাসিক চরিত্রের কথা স্মরণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের অতীত ঐতিহ্য ও সংগ্রামের গৌরবের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।
সারকথা : কবি নিজের পরিচয় ও অস্তিত্বের সঙ্গে দেশের গৌরবময় ঐতিহ্যের সংযােগ আছে বলে মনে করেন। তাই তিনি নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে দেশের সংগ্রামী সন্তানদের কথা বলেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয় কবিতার রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী চেতনার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদার আসনে বসাতে বাঙালি তরুণরা ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে রক্ত দিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের এ অর্জন বাঙালিকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তােলে। উদ্দীপকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে !
এ আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহাসিক চেতনা বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছে। বাঙালিরা অনুধাবন করতে পারে যে সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি নেই। ফলে একুশের চেতনা পরবর্তী সময়ে এদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংগ্রামী চেতনার প্রতীক হয়ে ওঠে।
আমার পরিচয় কবিতার কবিও এই চেতনাকে স্মরণ করেই তাঁর পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে। এ কথার মধ্য দিয়ে তিনি ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকারের জন্য এদেশের মানুষের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হওয়াকে ‘ বুঝিয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনের সাফল্যই বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের অনুরেপ্ররণা হিসেবে কাজ করেছে। এভাবে উদ্দীপকটি আমার পরিচয়’ কবিতার রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : উদ্দীপকে ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের চেতনার যে প্রতিফলন ঘটেছে তা আমার পরিচয় কবিতায়ও কবি তুলে ধরেছেন। এখানে তিনি বাঙালির আত্মপরিচয় ও সংগ্রামী চেতনায় একুশের চেতনাকে যেভাবে স্মরণ করেছেন উদ্দীপকেও অনুরূপ প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।
আপনি এই পোষ্টে আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা আমার পরিচয় কবিতার সংগ্রামী চেতনাকে নির্দেশ করে।”- মন্তব্যটি যথার্থ । ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন। এর মধ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনার পথ ধরেই মূলত বাঙালি ১৯৭১-এ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও আত্মমর্যাদাবােধসম্পন্ন জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পটভূমি তুলে ধরেছেন। কবি এখানে তাঁর আত্মপরিচয় নির্দেশ করতে গিয়ে বাঙালির বহু পুরনাে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সুদীর্ঘ সংগ্রামী চেতনা আমাদের সামনে এনেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় বাঙালির ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনাকে তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন। উদ্দীপকেও ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনা এবং বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।
উদ্দীপকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির আত্মজাগরণের যে উজ্জ্বল ঐতিহ্যের কথা বলা হয়েছে তা আমার পরিচয়’ কবিতার ঐতিহ্য ও সংগ্রামী চেতনাকে নির্দেশ করে।
উদ্দীপকে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে দেশপ্রেমের সচেতনতার ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আর আলােচ্য কবিতায় বাঙালির আত্মপরিচয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মূল প্রেরণা হিসেবে দেখা হয়েছে। এভাবে উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা আমার পরিচয় কবিতার সংগ্রামী চেতনাকে নির্দেশ করে। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : আমার পরিচয় কবিতায় কবি তাঁর আত্মপরিচয়দানের ক্ষেত্রে এদেশের সংগ্রামী ইতিহাস ও ঐতিহ্যের যে পরিচয় তুলে ধরেছেন । তাতে বাঙালির ভাষা আন্দোলনের বিষয়টিও প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকেও ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার জন্য বাঙালি তরুণদের আত্মদানের সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।