বায়ান্নর দিনগুলো রচনার মূলভাব ব্যাখ্যা সহ জেনে নিন

আপনি যদি অনুসন্ধান করে থাকেন বায়ান্নর দিনগুলো রচনার মূলভাব ব্যাখ্যা সহ তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মূল বক্তব্য, সারাংশ, সারমর্ম, মূল কথা বা বিষয়বস্তু  ইত্যাদি বিস্তারিত জেনে নিন। আমার বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের ব্যাখ্যা সহ আরও আপনাদের সিলেবাসে থাকা অন্যান্য পাঠ্য  গুলো ও আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারেন।

বায়ান্নর দিনগুলো রচনার ব্যাখ্যা

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। তিনি বাঙালি জাতির জনক। বায়ান্নর দিনগুলাে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীমূলক রচনার অংশবিশেষ। এ রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবন ও জেল থেকে মুক্তিলাভের স্মৃতি বিবৃত হয়েছে।

তিনি তাঁর বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও সহধর্মিণীর অনুরােধে ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় এ আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন। ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় | ঢাকা সেনানিবাসে আটক থাকায় তাঁর এ আত্মজীবনী লেখার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

এতে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ঘটনাবলি স্থান পেয়েছে। জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা, গভীর উপলব্ধি ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ তিনি এ গ্রন্থে সহজ-সরল ভাষায় প্রকাশ করেছেন। বাঙালি জাতির কাছে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল। এতে তার বৈচিত্র্যময় জীবনধারার একটি ঘটনাংশ উপস্থাপিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ একটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। জীবনের অধিকাংশ সময় কারা প্রকোষ্ঠের নির্জনে কাটালেও জনগণ-অন্তপ্রাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন। আপসহীন, নির্ভীক।

প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে বায়ান্নর দিনগুলো রচনার ব্যাখ্যা মূলভাব নিয়ে পড়ছেন । পাশাপাশি চাইলে আপনাদের পাঠ্যবিষয়ক অন্যান্য আর্টিকেল গুলো ও আমাদের সাইটের মাধ্যমে পড়ে নিতে পারবেন। চলুন বাকী অংশ শেষ করে নেওয়া যাক।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের মূলভাব

১৯৫২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার ওপর কী ধরনের আচরণ করেছিল, তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বাঙালির জীবনধারা ইত্যাদি বিষয় এ রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন জেলে বন্দি। বন্দিদের প্রতি সরকারের স্বৈরাচারী মনােভাব; বিনাবিচারে বছরের পর বছর আটকে রাখার প্রতিবাদে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তাকে ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তরকালে তাঁর দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভে তিনি নানা কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।

ফরিদপুর জেলে তিনি এবং মহিউদ্দিন আহমদ অনশন ধর্মঘট করেন। স্মৃতিচারণে ব্যক্ত হয়েছে অনশনকালে জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও আচরণ, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাদের কাছে বার্তা পৌছানাের নানা কৌশল ইত্যাদি।

সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ভাষা আন্দোলনের ডাক দেয়। তার স্মৃতিচারণে বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে ঢাকায় একুশে ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলির খবর।

সেই সঙ্গে অনশনরত অবস্থায় মৃত্যু অত্যাসন্ন জেনে পিতা-মাতাস্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভাবনা এবং অবশেষে মুক্তি পেয়ে স্বজনদের কাছে ফিরে আসার স্মৃতির হদয়স্পর্শী বিবরণ পরিস্ফুট হয়েছে বায়ান্নর দিনগুলাে রচনাংশে। এতে তিনি তখনকার বিস্ফোরণােন্মুখ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাঙালির সামনে তুলে ধরেছেন। এটি তাই বাঙালির কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল ও প্রেরণার উৎস।

ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধান বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের মূলভাব এর জন্য এবং আমাদের আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আমার পথ প্রবন্ধের মূলভাব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button