স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুসন্ধান করে থাকেন স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর তবে এ সম্পর্কে জানার জন্য সঠিক জায়গায় এসেছেন। চলুন তবে স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো পড়া শুরু করা যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

সেদিন হাজার দামাল যুবক
পরিত্যাগ করেছিল জীবিকার উপকরণ, জীবনের তাগিদ।
হাতে ধরেছিল পুরােনাে রাইফেল, ধারালাে সড়কি, জং ধরা রামদা ।
তারপর, গভীর রাতে ছুটেছিল হায়েনার সন্ধানে।
মা, বাবা, সন্তান, রাতের রুপালি বধূ সব পেছনে ফেলে
রক্তের আর সবুজের নেশা নিয়ে।
অবশেষে এলাে রঙিন প্রভাত।
ক্লান্ত ভাের স্বাগত জানালাে স্বাধীনতাকে।

ক. কারা হাতের মুঠোয় মৃত্যু এবং চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল ভাষণ শুনতে?

খ. ‘ঢাকার হৃদয় মাঠখানি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সঙ্গে স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় ফুটে ওঠা চিত্রের সাদৃশ্য বিচার কর। 

ঘ. উদ্দীপকটি স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে কবিতার সামগ্রিক দিক প্রকাশে ব্যর্থ।”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। 

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ মধ্যবিত্তরা হাতের মুঠোয় মৃত্যু এবং চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে।

খ উত্তরঃ ‘ঢাকার হৃদয় মাঠখানি’ বলতে কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রেসকোর্স ময়দানকে বুঝিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এ মাঠেই বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন। সে সময় রেসকোর্স ময়দান ছিল ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। কবির স্মৃতিতে এই মাঠ চির অম্লান।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠনিঃসৃত ভাষণ শােনার জন্য এই মাঠে সেদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। সেদিন এই মাঠে আজকের শিশুপার্ক, গাছপালা, ফুলের সৌন্দর্য এসবের কিছুই ছিল না।

এ মাঠ ছিল একটা খােলা প্রান্তর। সেদিন এ খােলা প্রান্তর সংগ্রামী জনতার উপস্থিতিতে সংগ্রামী চেতনার স্ফুরণে সতেজ হয়ে উঠেছিল। সেই চেতনার ফসলই মুক্তিযুদ্ধ। আর মুক্তিযুদ্ধের ফসল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

সারকথা : ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন। শিশুপার্ক, উদ্যান, গাছপালা ছাড়া সেই মাঠকে কবি প্রশ্নোক্ত কথায় তুলে ধরেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সঙ্গে স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় ফুটে ওঠা চিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে। • মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি এক

রক্তক্ষয়ী লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছে বাংলার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাংলার আকাশে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার লাল সূর্য। উদ্দীপকের কবিতাংশে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী দিনগুলাের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

এ দেশের হাজার হাজার দামাল যুবক জীবিকার সব উপকরণ উপেক্ষা করে অস্ত্র হাতে গভীর রাতে রক্তশপথ নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সন্ধানে ছুটে চলে। এ ভাবটি স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায়ও অভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শােনার জন্য সর্বস্তরের জনগণ সেদিন রেসকোর্স ময়দানে হাজির হয়েছিল। স্বাধীনতার ‘অমর কবিতা’ শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা ঝাপিয়ে। পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে, ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। আলােচ্য কবিতার এ চিত্রের সঙ্গে উদ্দীপকের কবিতার চিত্রের সাদৃশ্য বিদ্যমান।

সারকথা : স্বাধীনতার জন্য এদেশের সর্বস্তরের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতার ৭ই মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণ যা ছিল তাদের অনুপ্রেরণার উৎস। এ দিকটি উদ্দীপক ও কবিতায় সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতার সামগ্রিক দিক প্রকাশে ব্যর্থ।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতার ডাক দেন। তিনি এদেশের মানুষের মুক্তির দূত। তাঁর বক্তব্যের মূল কথা ছিল এ দেশের মুক্তি। তাঁর এই আহ্বানে সমগ্র দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। উদ্দীপকের কবিতাংশে বাংলার দামাল ছেলেদের সাহসিকতা ও বীরত্বের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। তারা নিজেদের জীবিকার উপকরণ ত্যাগ করে অস্ত্র হাতে শত্রুসেনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।

এ দিকটি স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এ দিকটিই আলােচ্য কবিতার সামগ্রিক ভাব নয়। কেননা কবিতায় ওই ভাব ছাড়াও আরও কিছু বিষয় ও ভাবের প্রকাশ ঘটেছে। ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কথা বলেছেন।

তিনি তাঁকে ‘কবি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং তাঁর ভাষণকে বলেছেন ‘অমর কবিতা’। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বস্তরের মানুষের সামনে বজ্রকণ্ঠে ঘােষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” সেই থেকেই স্বাধীনতা’ শব্দটি আমাদের। কবিতায় প্রকাশিত। এসব বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বিভিন্ন দিক না তুলে ধরেছেন। সেদিন সেই মাঠের বর্তমান অবস্থা, সেদিন ভাষণ শুনতে আসা সর্বস্তরের মানুষের উচ্ছ্বাস, তাদের প্রিয় নেতার বজ্রকণ্ঠের বাণীর গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয় পুরােপুরি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

(প্রশ্ন ৬ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো ছিলেন একজন জীবন্ত কিংবদন্তিতুল্য স্বাধীনতা সংগ্রামী। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তিনি। সাম্য ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। তাঁর আত্মত্যাগ পৃথিবীজুড়ে সকল মানুষের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। শােষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর। আত্মত্যাগ এই যুগের তরুণদেরও সমানভাবে উজ্জীবিত করে যাচ্ছে।

ক. কবি কাদের আগামী দিনের কবি বলেছেন?

খ. স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় বর্ণিত শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প’ কী তা ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের ফিদেল ক্যাস্ট্রো স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতার যে চরিত্রের সাথে সম্পর্কিত তার বর্ণনা দাও।

ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটি স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় উল্লিখিত কবির বিরুদ্ধে কবি … | মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ’ এর মনােভাব প্রকাশ করেনি।”- মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ কবি অনাগত শিশুদের আগামী দিনের কবি বলেছেন।

খ উত্তরঃ স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় বর্ণিত ‘শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প বলতে কবি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স। ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণদানের বিকেলকে বুঝিয়েছেন।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বিকেলে লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা করছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শােনার জন্য। সেই বিকেলেই তিনি সেই জনতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে ঘােষণা করেছিলেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের। সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

সেই বিকেলেই বাঙালি জাতি মুক্তির দিকনির্দেশনা পেয়েছিল এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল। তাই কবি সেই বিকেলের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সারকথা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বিকেলে যে ভাষণ দিয়েছিলেন কবি সেই ভাষণকে  শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প বলে অভিহিত করেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ফিদেল ক্যাস্ট্রো স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে কবিতার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। 

জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে যােগ্য নেতৃত্বের কোনাে বিকল্প নেই। প্রত্যেক জাতির ভাগ্যেই দুর্যোগ-বিপর্যয় থাকে। তা কাটিয়ে উঠতে প্রয়ােজন যােগ্য নেতৃত্বের। নেতৃত্বশূন্য জাতি নানা হতাশায় নিমজ্জিত হতে পারে। সেই সময় জাতিকে সঠিক পথনির্দেশনা দিতে। সাহসী ও তেজোদীপ্তরা এগিয়ে আসেন।

‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণের ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে। এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য ডাক দিয়েছেন।

তাঁর নেতৃত্বেই সর্বস্তরের বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তাঁর দীপ্ত চেতনাতেই বাঙালি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

উদ্দীপকের ফিদেল ক্যাস্ট্রোও তেমনই কিউবার জনগণের অবিসংবাদিত নেতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী প্রবাদপুরুষ। এ দিক থেকে ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্কিত বলা যায় ।

সারকথা : উদ্দীপকের ফিদেল ক্যাস্ট্রো ছিলেন কিউবার জনগণের অবিসংবাদিত নেতা এবং সেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী ” প্রবাদপুরুষ। এ দিক থেকে তিনি কবিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী প্রবাদপুরুষ।

ঘ উত্তরঃ  “উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটি স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় উল্লিখিত ‘কবির বিরুদ্ধে কবি… মার্চের বিরুদ্ধে। মার্চ’-এর মনােভাব প্রকাশ করেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যুগে যুগে বহু যােগ্য নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। সাহসী পদক্ষেপে, সুদৃঢ় চেতনায় তাঁরা স্বজাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। সাধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। 

উদ্দীপকে শুধু কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগের দিকটি ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক।

মহাকাব্যিক ভাষণের ঘটনা, সেদিনকার ঘটনাস্থল রেসকোর্স ময়দানের গণজোয়ার, ভাষণম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। স্বাধীনতার ডাক, মানুষের অবেগ-উল্লাস ইত্যাদি বিষয় ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে এই কবিতায় কবি যে বিরুদ্ধ চেতনার কথা বলেছেন। তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি।

কারণ কবি দেখেন যে, সেদিনের শত্রুরা আজও তৎপর। তারা রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাণীর বিরুদ্ধে কথা বলে, সেদিনের সেই মঞ্চের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিয়েছে। এসব বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় অনেক বিষয়ের সমাবেশ ঘটেছে। যেমন- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, ভাষণের ম. ঘটনাস্থল, গণজোয়ার, বজ্রকণ্ঠ ভাষণে উত্তাল জনসমুদ্র, স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক, মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ, শত বছরের বাঙালির সংগ্রাম, সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যথাযােগ্য নেতৃত্ব এবং এসবের বিরুদ্ধাচরণকারী বৈরী শক্তির প্রভাব। এসব বিষয় উদ্দীপকে নেই। উদ্দীপকে শুধু ফিদেল ক্যাস্ট্রোর আত্মত্যাগের দিকটি ফুটে উঠেছে। তাই মন্তব্যটি যথার্থ বলা যায়।

সারকথা : স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় কবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ) ভাষণের ঘটনা এবং সেই ভাষণের স্থানটির অতীত ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেছেন। এতে বাঙালির প্রিয় নেতার সংগ্রামী চেতনার বিরােধীদের কর্মকাণ্ডও প্রতিফলিত হয়েছে।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button