মেট্রোরেল প্রকল্প অনুচ্ছেদ রচনা PDF সহ ২০২২
ওহে প্রিয় পাঠক তোমাকে জানাই আইটি জানবো বাংলা ব্লগ সাইটের অধীনে উষ্ণ অভিনন্দন। তুমি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকো মেট্রোরেল প্রকল্প অনুচ্ছেদ রচনা PDF সহ ২০২২ আপডেট নিয়ে তবে বিস্তারিত জানার জন্য একদম সঠিক জায়গায় এসেছো। চলো তবে শুরু করা যাক।
Table of Contents
ভূমিকা
বর্তমান সরকারের কগৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং কমেগা প্রকল্পগুলাের মধ্যে কঢাকা মেট্রোরেল অন্যতম। কবিশ্বের জনবহুল মেগা কসিটিগুলাের মধ্যে ঢাকা কঅত্যধিক ঘনবসতিপূর্ণ। কএর বর্তমান কলােকসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। কঢাকার ভয়াবহ যানজট কও ট্রাফিক সমস্যা দূর ককরার জন্য মেট্রোরেল কপ্রকল্প একটি সময়ােচিত ও কযুগান্তকারী পদক্ষেপ।ক
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার কবিপুল সংখ্যক যাত্রী কও যানবাহনের চাপ কসামাল দিতে মেট্রোরেলের কমতাে গণপরিবহনই হতে কপারে একটি কার্যকর কবিকল্প ব্যবস্থা। তাই কঢাকার যােগাযােগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন কও যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ইতিবাচক কভূমিকা রাখবে।
মেট্রোরেল কী
মেট্রোপলিটন রেলক-এর সংক্ষিপ্ত রূপ কহলাে মেট্রোরেল। মহানগরের কগুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলাে স্পর্শ করে কগণপরিবহনের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেলব্যবস্থাই মেট্রোরেল। এটি একটি কবিদ্যুৎচালিত পরিবহন। কঢাকা মেট্রোরেল ব্যবস্থার প্রকল্পটির কনাম ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটক’ । এটি একটি দ্রুতগামী, কস্বাচ্ছ্যন্দময়, সুবিধাজক ও কনিরাপদ নগরকেন্দ্রিক রেলব্যবস্থা।ক
মেট্রোরেলের গুরুত্ব
জনবহুল রাজধানী খশহর ঢাকা যানজটের খশহর হিসেবেই বিশেষভাবে খপরিচিত। এই শহরে খসকাল-দুপুর-বিকেল-রাত সবসময়ই খযানজট লেগে থাকে। খএখানে বাস, ট্রাকখ, কার, অটোরিকশা, খবাইক আর রিকশা খমিলিয়ে কয়েক লাখ যান প্রতিদিন চলাচল খকরে। দুতিন ঘণ্টা খআগে রওয়ানা হয়েও খসঠিক সময়ে কখনাে খগন্তব্যে পৌঁছানাে যায় না। রাস্তায় খযানজটে রীতিমতাে নাকানি-খচুবানি খেতে হয় যাত্রীদেরখ।
ইতােমধ্যে সরকার খবেশ কয়েকটি উড়াল খসেতু, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাসখ, লিংকরােড ইত্যাদি নির্মাণ খকরেছে। কিন্তু যানজট খুব খএকটা নিরসন হয়নি। খএ কারণে যাত্রীদের খসময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে খহয় বাসের অপেক্ষায়। সিএনজি খবা রিকশাচালকদের হাতেও খজিম্মি হতে হয় কখনাে খকখনাে। ঝড়, বৃষ্টি খবা হরতালের সময় মানুষের খদুর্ভোগের সীমা থাকে না। খএমতাবস্থায় মেট্রোরেল চালু খহলে সময়ের অপচয় যেমন খহ্রাস পাবে তেমনই নির্ধারিত খসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানাে খসহজ হয়ে যাবে ।
প্রিয় পাঠক আপনি এই পোষ্টে পড়ছেন মেট্রোরেল প্রকল্প রচনা PDF সহ ২০২২ আপডেট আমাদের সাইটের মাধ্যমে। আপনার পাঠ্যবইয়ের অন্যান্য অনুচ্ছেদ গুলোও আমাদের সাইটে খুঁজলে আশাকরি পাবেন।
বিস্তারিত জানতে এখানে চাপুনমেট্রোরেলের সুযােগ-সুবিধা
সাধারণ ট্রেন খসার্ভিসের চেয়ে মেট্রোরেলের খট্রেনে অধিকতর আধুনিক খসুযােগ-সুবিধা থাকবে। খএগুলাে নিচে উল্লেখ করা খহলাে-
- উড়াল সড়ক: মূল খসড়কের মাঝ বরাবর খউড়াল সড়ক নির্মিত খহবে ! উড়াল সড়কের খউপর স্থাপিত রেললাইনের উপর দিয়ে খচলবে ট্রেন। খযানজট যাতে না খহয়, সেভাবেই উড়াল খসড়ক তৈরির পরিকল্পনা করা খহয়েছে।
- মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য : রাজধানীর খউত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খমেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে খ২০ দশমিক ০১ কিলােমিটারখ। এই দীর্ঘ রুটে খ১৬টি স্টেশন থাকবে। খএগুলাের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে খউত্তরা থেকে খআগারগাঁও পর্যন্ত থাকবে ৯টি খস্টেশন। এগুলাে হচ্ছে খউত্তরা নর্থ, খউত্তরা সেন্টার, খউত্তরা সাউথ, খপল্লবী, মিরপুর সাড়ে খ১১ নম্বর, কাজীপাড়া, খশেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁওখ। দ্বিতীয় পর্যায়ে খআগারগাঁও থেকে খমতিঝিল পর্যন্ত খথাকবে ৭টি স্টেশন।খ
- এগুলাে হচ্ছে খবিজয় সরণি, ফার্মগেটখ, কারওয়ানবাজার, খশাহবাগ, খঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি), খবাংলাদেশ সচিবালয় এবং খমতিঝিল শাপলা খচত্বর।
- বগি ও কামরা : প্রতিটি ট্রেনে খ৬টি করে বগি খথাকবে। প্রতিটি কামরা হবে খসুপরিসর। সেখানে খযাত্রীদের জন্য থাকবে আরামদায়ক খআসন। এছাড়া খপ্রতিটি কামরা খহবে খশীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
- ট্রেন সংখ্যা ও সময় : উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচল করবে, ১৪টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে ৯৪২ খজন যাত্রী বসে এবং খ৭৫৪ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত খকরতে পারবে। প্রতি খ০৪ মিনিট পর পর খট্রেন ছেড়ে যাবে। খট্রেনের গতি হবে খঘণ্টায় ৩২ কিলােমিটার। খশেষ গন্তব্যে পৌঁছতে খট্রেনের সময় লাগবে খ৩৮ মিনিট। খপ্রতি স্টেশনে ট্রেন খঅবস্থান করবে ৪০ সেকেন্ড।
- যাত্রী বহন ক্ষমতা ও ভাড়া আদায় : মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন খপ্রতি ঘণ্টায় আপ খও ডাউন রুটে খদুই প্রান্তের ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন খকরতেসক্ষম হবে। খমেট্রোরেল ব্যবস্থায় যাত্রীদের খসুবিধার্থে স্টেশনে খপ্রবেশের সময় মেশিনে খভাড়া সংগ্রহ করা খহবে। স্বয়ংক্রিয় কার্ডের মাধ্যমে খভাড়া পরিশােধ করবেন খযাত্রীরা।
প্রকল্পের ঋণচুক্তি
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের খজন্য জাপান সরকারের খদাতা সংস্থা জাপান খআন্তর্জাতিক সহযােগিতা সংস্থা খজাইকার সঙ্গে ২০ খফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ খসরকারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। খএর আগে অর্থাৎ ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর খসরকারের অগ্রাধিকারমূলক মেট্রোরেল খপ্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক খপরিষদের নির্বাহী খকমিটিতে অনুমােদন লাভ করে।খ
প্রকল্প ব্যয় ও অর্থায়ন
পুরাে ২০ গদশমিক ০১ কিলােমিটার গদৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল বাস্তবায়নে মােট গব্যয় ধরা হয়েছে ২১ গহাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ গটাকা। এর মধ্যে গজাইকা প্রকল্পের ৮৫ গশতাংশের ব্যয় বাবদ ১৬ গহাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ গটাকা দেবে কয়েক গধাপে। বাকি ৫ গহাজার ৪ কোটি টাকা গসরকারের নিজস্ব গতহবিল থেকে ব্যয় করা গহবে।
প্রিয় পাঠক আপনি আমাদের সাইটে ইতিমধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প অনুচ্ছেদ রচনা PDF সহ ২০২২ আপডেট নিয়ে বেশ কিছু পয়েন্ট ধৈর্য্যসহকারে পড়ে নিয়েছেন। তাই প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। বাকী অংশ ও পড়ে নিন।
মেট্রোরেল প্রকল্প উদ্বোধন
রাজধানীবাসীর বহুল গপ্রতীক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেল গপ্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে গশুরু হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গশেখ হাসিনা দেশের গপ্রথম মেট্রোরেল গপ্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক গউদ্বোধন করেন ২৬ গজুন, ২০১৬ গসালে। প্রথম গপর্যায়ে উত্তরা গথেকে আগারগাঁও ১২ গকিলােমিটার পর্যন্ত নির্মাণকাজের গউদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ০২ আগস্টগ, ২০১৭ সালে।
নির্মাণকাজের অগ্রগতি
প্রকল্পের সর্বশেষ গঅগ্রগতি প্রতিবেদন গথেকে জানা গেছে, গ৩১ জুলাই পর্যন্ত গবাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের গনির্মাণ। গকাজের সার্বিক অগ্রগতি গহয়েছে ৬৮.৪৯ শতাংশগ। আর উত্তরা গথেকে আগারগাঁও গপর্যন্ত ১২ কিলােমিটার লাইনের গঅগ্রগতি ৮৮.১৮ শতাংশগ। ২০.১০ কিলােমিটার গভায়াডাক্টের মধ্যে ১৬.৫৬৬ কিলােমিটার গভায়াডাক্টের ইরেকশন শেষ হয়েছে। গ১৭টি গমেট্রো রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ গচলছে।
দিয়াবাড়িতে ডিপাের ভেতরে গরেলপথ স্থাপনের কাজ শেষ গহয়েছে। একই সঙ্গে গবৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ের গকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে গ! ভায়াডাক্টের গওপরে মূল গরেলপথে ১৫ দশমিক ৫০ গকিলােমিটার রেলপথ স্থাপন গকরা হয়েছে ! ১৫ গকিলােমিটার বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং গসম্পন্ন হয়েছে। ইতােমধ্যে গদুই সেটের মােট গ১২টি কোচ ঢাকার উত্তরার ডিপােতে এসে গপৌঁছেছে। এগুলাের ১৯ গধরনের বিভিন্ন গপরীক্ষা-নিরীক্ষা গচলছে। ট্রেন চালানাে গহবে বিদ্যুতের মাধ্যমে।
পরীক্ষামূলকভাবে ২৯ আগস্ট গ২০২১ দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর গ১২ নম্বর গস্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্টের গওপর। দিয়ে প্রথমবারের গমতাে মেট্রোরেল চালিয়ে গদেখানাে হয়। ২০২৪ গসালের মধ্যে পুরাে গপ্রকল্পের কাজ গশেষ করার লক্ষ্যমাত্রা গথাকলেও ২০২২ সালের গডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে গআগারগাঁও পর্যন্ত গশেষ । করার নতুন গলক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।গ
গতিশীল অর্থনীতি ও সহজ যাতায়াত
বিপুল ঘজনসংখ্যার রাজধানী শহরে যানজট ঘনিরসনে কৌশলগত পরিবহন ঘপরিকল্পনা তথা ঘস্ট্রাটেজিক ট্রান্সপাের্ট প্ল্যান নিয়েছে ঘঢাকা পরিবহন সমন্বয় ঘকর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ডিটিসিএঘ-এর তত্ত্বাবধানেই ঘবাংলাদেশ সরকার ও ঘজাইকার অর্থায়নে। মেট্রোরেল ঘপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ঘযথাসময়ে প্রকল্পের সমাপ্তিতে যাত্রী ঘপরিবহন শুরু হলে ঘমেট্রোরেল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ঘগতিশীল করতে ব্যাপক ঘভূমিকা রাখবে।
সরকার এ প্রকল্প ঘথেকে প্রচুর অর্থ ঘউপার্জন করতে পারবে ঘএবং জিডিপি ঘবৃদ্ধি পাবে। সংশ্লিষ্ট ঘকর্তৃপক্ষের এ অভিমতঘ। বাস্তবসম্মত ও ঘতাৎপর্যপূর্ণ। তাছাড়া মেট্রোরেলের স্বস্তিদায়ক সেবার ঘমাধ্যমে সাধারণ ঘমানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ও ঘনিরাপদে চলাফেরা করতে ঘপারবে। বিশেষ করে ঘবৃদ্ধ, শিশু, ঘপ্রতিবন্ধী ও নারীরা দুর্বিষহ ঘকষ্ট থেকে মুক্তি ঘপাবে। উল্লেখ্য যে, ঘযাত্রীরা নির্ধারিত স্থান ঘথেকে ওঠানামা করার ফলে। ঘগড়ে উঠবে ঘপরিচ্ছন্ন ও সুন্দর ঘঢাকা মহানগরী।
উপসংহার
সময়, অর্থ ও ঘকাজের অপচয় যেন ঘআমাদের মজ্জাগত হয়ে ঘগেছে। অথচ জাতি ঘহিসেবে আমরা স্বাধীনতার ঘ৪৮টি বছর অতিক্রম। ঘকরছি। এখন দুর্দান্ত ঘসময় এসেছে সমস্ত ঘঅপচয় রােধ করে এবং ঘতা সঠিক পরিকল্পনামাফিক ঘকার্যকর করে উন্নয়নের ঘগতিশীলতাকে ফলপ্রসূ ও ঘসফল করে ঘতােলা। কারণ আমরা ঘএখন উন্নয়নশীল ঘদেশে উন্নীত হওয়ার ঘচ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। ঘএর জন্য যােগাযােগের ক্ষেত্রে ঘযথার্থ উন্নয়নের পথে ঘরয়েছি আমরা।
যানজট নিরসনে ঘবড় সড়কগুলাে ৪ ঘলেন ও ৬ ঘলেনে উন্নীত করা ঘহচ্ছে। রাজধানীর যানজট ঘনিরসনে নেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের ঘমতাে মেগা ঘপ্রকল্প যা দ্রুত ঘদৃশ্যমান হচ্ছে। ২০২০-ঘ২১ সালে মেট্রোরেলের ঘঘতিনটি পর্যায় চালু হলে ঘরাজধানীর মানুষের সময়, ঘঅর্থ। আর ঘকাজের অপচয় বন্ধ ঘহবে। মানুষ ঘসময় ও অর্থ ঘবাচিয়ে এবং নিষ্ঠার ঘসঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ঘপাবে অপার আনন্দ ঘও স্বস্তি ।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান অনুযায়ী এই পোষ্টের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্প অনুচ্ছেদ রচনা PDF সহ খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।