সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022
আপনি যদি ইতিমধ্যে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
দুই পা আছে কিন্তু উঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই। তাতে কী? আত্মবিশ্বাস তাে আছে। তাই তাে জীবনযুদ্ধে দমে যাননি আলমগীর হােসেন। ছােটবেলায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিনি। তারপর থেকে হাঁটা-চলা ও কাজকর্ম করার কথা কখনাে চিন্তা করতে পারেননি আলমগীর। কিন্তু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও জীবিকার তাগিদে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন হাতিয়ার হিসেবে।
ক. সুভা জলকুমারী হলে কী করত?
খ. “তাহার মর্ম তাহারা ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত”- কথাটি দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের আলমগীর হােসেনের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলমগীর হােসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতি থেকে ভিন্ন।”- মতামত দাও।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ সুভা জলকুমারী হলে আস্তে আস্তে জল থেকে উঠে একটা সাপের মাথার মণি ঘাটে রেখে যেত।
খ উত্তরঃ “তাহার মর্ম তাহারা ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত”- কথাটি দ্বারা সুভার পশুপ্রেম বােঝানাে হয়েছে।
সুভার অন্তরঙ্গ বন্ধুর দলের মাঝে দুটি গাভীও ছিল। তাদের নাম সর্বশী ও পাগুলি। সুভা কথা বলতে পারত না বলে কখনাে তাদেরকে নাম ধরে ডাকতে পারেনি। সুভার কথা শুনতে না পেলেও তারা সুভার পায়ের আওয়াজ চিনতে পারত।
তার কথাহীনতার মধ্যেই একটা করুণ সুর ছিল। আর এই করুণ সুরের মর্ম তারা খুব ভালােভাবেই বুঝতে পারত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি সুভার • পশুপ্রেমের প্রসঙ্গেই করা হয়েছে।
সারকথা : প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা ভাষাহীন পশুর প্রতি সুভার গভীর মমতার বিষয়টি বােঝানাে হয়েছে।
গ উত্তরঃ শারীরিক প্রতিবন্ধিতার দিক দিয়ে উদ্দীপকের আলমগীর ও ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্য রয়েছে।
পৃথিবীতে সব মানুষই সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জন্মায় না। কিছু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষও জন্মে। আবার অনেকে নানান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শরীরের অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। তাই এ ধরনের মানুষের প্রতি আমাদের সদয় দৃষ্টি রাখা প্রয়ােজন।
উদ্দীপকের আলমগীর হােসেন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার দুটো পা থাকলেও তাতে কোনাে শক্তি নেই। ছােটবেলায় টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে সে পা দিয়ে হাঁটা বা উঠে দাঁড়ানাের শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে সে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। সুভা’
গল্পের সুভাও জন্ম থেকে বােবা। তার সবকিছু দেখা ও বােঝার ক্ষমতা থাকলেও নিজের ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই। তবে সে চোখ দিয়ে মনের ভাব অনেকটাই প্রকাশ করতে পারে। তাই শারীরিক প্রতিবন্ধিতার দিক দিয়ে উদ্দীপকের আলমগীর হােসেন ও সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্য রয়েছে।
সারকথা : শারীরিক প্রতিবন্ধিতার দিক থেকে ‘সুভা’ গল্পের সুভা ও উদ্দীপকের আলমগীর পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। একজন কথা বলতে পারে না, অন্যজন হাঁটাচলা করতে পারে না। দুজনের বােধশক্তিও অভিন্ন।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের আলমগীর হােসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতি থেকে ভিন্ন।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
মানুষের জীবনে যেকোনাে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, কোনাে অবস্থায়ই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। জীবনকে সামনে এগিয়ে | নিয়ে যাওয়ার জন্য লক্ষ্য স্থির করতে হয় এবং সেই লক্ষ্যে পৌছার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। আর এর জন্য প্রয়ােজন দৃঢ় মনােবল।
উদ্দীপকের আলমগীর টাইফয়েডে আক্রান্ত হন ছােটবেলায়। এর ফলে তার পায়ের শক্তি হারিয়ে যায়। পায়ের সব শক্তি হারিয়ে ফেললেও তিনি মনে বল হারাননি। জীবিকা অর্জনের জন্য রিকশাকে বেছে নিয়েছেন। তিনি জীবনকে নিজের পঙ্গুত্বের কাছে হেরে যেতে দেননি।
সুভা’ গল্পে সুভা জন্ম থেকেই বােবা। নিজের মনের ভাব সে মুখে প্রকাশ করতে পারে না। এ কারণে সুভার বাবা-মা তাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। বিশেষ করে মা তাকে নিজের কলঙ্ক বলে মনে করে। সুভা তা বুঝতে পেরে নিজেকে সবসময় লুকিয়ে রাখতে চায়।
অসহায় সুভাকে যখন বাবা-মা শহরে নিয়ে যেতে চান, তখন তার অমত থাকলেও কোনাে প্রতিবাদ করতে পারে না। মনে মনে শুধু কষ্ট পায়। সুভা তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযােগ পায়নি। কারণ তার চারপাশের পরিস্থিতির কাছে সে অসহায় ছিল।
উদ্দীপকের আলমগীর জীবনের প্রতিবন্ধকতার কাছে হেরে যাননি; জীবনকে জয় করেছেন। এ ক্ষেত্রে সুভা তা পারেনি, সে প্রতিনিয়ত নিজের প্রতিবন্ধকতার কাছে হার মেনেছে, নিজেকে অসহায় ভেবেছে। কারণ সে পরিস্থিতির শিকার ছিল। এভাবে উদ্দীপকের আলমগীর হােসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতি থেকে ভিন্ন।
সারকথা : সুভা’ গল্পে সুভা কথা বলতে পারে না বলে সে নিজের কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারেনি। আর মেয়ে বলে ছেলেদের মতাে G’ স্বাধীনতাও পায়নি। অন্যদিকে উদ্দীপকের আলমগীর হাঁটতে না পারলেও কথা বলতে পারে এবং ছেলে বলে নিজের জীবনের দায়িত্ব সে নিজেই নিয়েছে। এভাবে তারা একজন অন্যজন থেকে ভিন্ন।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
প্রশ্ন ১১ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ জাহেদী সাহেব প্রতিবন্ধীদের জন্য মুসা মিয়া প্রতিবন্ধী স্কুল ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কিংশুক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। সংগঠনটি প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জনমত গঠন করে। তিনি মনে করেন প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয় বরং সম্পদ।
ক. প্রকৃতি সুভার কিসের অভাব পূরণ করে দেয়? |
খ. মা সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিম্বরূপ দেখতেন কেন?
গ. উদ্দীপকের জাহেদী সাহেব ‘সুভা’ গল্পের কোন দিকটি উন্মােচন করেছেন তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয় বরং সম্পদ’– উক্তিটি উদ্দীপক ও গল্পের আলােকে ব্যাখ্যা কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ প্রকৃতি সুভার ‘ভাষার অভাব পূরণ করে দেয়।
খ উত্তরঃ সাধারণত মায়েরা পুত্র অপেক্ষা কন্যাকে নিজের অংশরূপ মনে করেন বলে সুভাষিণীর মাও সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন।
‘সুভা’ গল্পে সুভা বােবা হওয়ার কারণে মা-বাবার হৃদয়ভারের কারণ হয়েছিল। সুভার প্রতি তার মায়ের আচরণ ছিল বিরক্তিপূর্ণ। কারণ সুভা জন্ম থেকেই কথা বলতে পারত না! এই জুটিকে সুভার মা নিজের গর্ভের কলঙ্ক মনে করতেন। তাই সুভাকে দেখলেই তার মনে হতাে তার নিজের ত্রুটির কারণেই মেয়ের এই দুরবস্থা হয়েছে।
কারণ সমাজের সংস্কার অনুসারে মেয়েদের কোনাে অঙ্গ যদি ত্রুটিপূর্ণ থাকে তাহলে মায়েরা তা নিজেদের জুটি হিসেবে ধরে নেয়।
সারকথা : সমাজে মেয়েদেরকে মায়ের অংশরূপ মনে করা হয় বলে সুভাষিণীর মা সুভাষিণীকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জাহেদী সাহেব ‘সুভা’ গল্পের প্রতিবন্ধীদের প্রতি মমত্ববােধের দিকটি উন্মােচিত করেছেন।
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীরা সমাজে অবহেলার শিকার হয়। অথচ স্বাভাবিক মানুষ যদি তাদের প্রতি সামান্য সহানুভূতি দেখায়, তাহলে তাদের অনেক কষ্ট দূর হতে পারে। তারাও স্বাভাবিক মানুষের মতাে সমাজে অবদান রাখতে পারে ।
উদ্দীপকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি গভীর ভালােবাসা ও সহানুভূতির দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে জাহেদী সাহেব কিংশুক নামক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্ট করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয়, বরং সম্পদ।
উদ্দীপকের জাহেদী সাহেবের প্রতিবন্ধীদের প্রতি এই মমত্ববােধের বিষয়টি ‘সুভা’ গল্পের লেখকের প্রতিবন্ধীদের প্রতি মমত্ববােধের দিকটিকে নির্দেশ করেছে। সুভা’ গল্পের লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সমাজে অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের প্রতি গভীর ভালােবাসা অনুভব করেছেন।
বাক্প্রতিবন্ধী কিশােরী সুভার প্রতি তার হৃদয় নিংড়ানাে ভালােবাসা ও মমত্ববােধ প্রকাশ পেয়েছে। মা সুভাকে নিয়তির দোষ বলে ভালাে না বাসলেও বাবা সুভাকে অন্য দুই মেয়ে অপেক্ষা বেশি ভালােবাসেন। এখানেই প্রতিবন্ধীর প্রতি লেখকের মমত্বের দিকটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সারকথা : প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয়; সুযােগ ও সহযােগিতা পেলে তারাও সমাজে স্বাভাবিক মানুষের মতাে অবদান রাখতে পারে।
আপনি এই পোষ্টে সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয় বরং সম্পদ- মন্তব্যটি যথার্থ ।
সমাজে প্রতিবন্ধীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞিত। অথচ তারা আমাদের নিকট আত্মীয়, প্রতিবেশী, পরিজন। আমাদের উচিত তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করা, তাদেরকে দেশের উন্নয়নের জন্য যােগ্য করে গড়ে তােলা।
উদ্দীপকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি গভীর মমত্ববােধ প্রকাশ পেয়েছে। জাহেদী সাহেব প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক মানুষের মতাে কর্মক্ষম করে গড়ে তােলার কথা ভেবেছেন। আর লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
অনুরূপভাবে ‘সুভা’ গল্পের মধ্য দিয়ে লেখক মানুষের সহানুভূতি জাগিয়ে তুলে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য একটি আশ্রয়ের জগৎ তৈরি করতে চেয়েছেন। তাঁদের উভয়ের প্রত্যাশার মধ্যে প্রতিবন্ধীদের বােঝা না মনে করে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার ইঙ্গিত রয়েছে।
তাঁরা চেয়েছেন যে, প্রতিবন্ধীরা সমাজে স্বাভাবিক মানুষের মতাে মর্যাদা লাভ করুক এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়ােগ করুক। ‘সুভা’ গল্পে সুভা কথা বলতে পারে না। তার অনুভূতি ও অনুধাবন ক্ষমতা স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে কম নয়। লেখক বলেছেন“কালাে চোখকে কিছু তর্জমা করিতে হয় না।
প্রকৃতির সঙ্গে গভীর ভাবের মধ্যে তার প্রকৃতিপ্রীতি এবং কথা না বলতে পারায় সবার অবহেলার কষ্ট ভুলে থাকার দিকটি ফুটে উঠেছে। সে মনে মনে প্রতাপকে ভালােবেসেছে। তাই তার জন্য পান বানিয়ে নিয়ে গেছে। বাবার সঙ্গে কলকাতায় যাওয়ার আয়ােজনের সময়ও সে প্রতাপকে মনে মনে প্রত্যাশা করেছে।
সুভার মতাে সব প্রতিবন্ধীই স্বাভাবিক মানুষের মতাে আচরণ ও অধিকার প্রত্যাশা করে। আর তা দিতে পারলেই তারা আর বােঝা হয়ে থাকে না। উদ্দীপকে এই বিষয়টিই নির্দেশিত হয়েছে।
সারকথা : প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজেরই মানুষ। স্বাভাবিক মানুষের মতাে আচরণ ও অধিকার লাভ করলেই তারা আর সমাজের বােঝা যা হয়ে থাকে না।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন