তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আপনি যদি ইতিমধ্যে তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের সঙ্গে কামিনীর বিয়ে হয়। কেদারনাথ অনেক আগে থেকেই কামিনীর গুণগ্রাহী ছিলেন। আলাে ও ছায়া’ প্রকাশিত হলে তিনি ইংরেজিতে তার এক বিস্তৃত সমালােচনা লেখেন।  কিছুদিন পরে তাঁর জীবনে বেদনার কালাে মেঘ জমে ওঠে। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে ঘােড়ার গাড়ি উল্টে গিয়ে আঘাতজনিত কারণে স্বামীও মারা যান। এর পর কামিনীর মেয়ে লীলা এবং ছেলে অশােকের মৃত্যু হয়। ফলে সবকিছু ভুলে থাকার জন্য তিনি আরও বেশি করে সমাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন।

ক. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি কী ধরনের কবিতা?

খ. ‘তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোনাে মতে।’- কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির সঙ্গে উদ্দীপকের কামিনী রায়ের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় স্বামীর মৃত্যু শােকে কবি প্রকৃতি ও সমাজবিমুখ হলেও উদ্দীপকের কামিনী রায় অতিমাত্রায় সমাজমুখী।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

পাশাপাশি আরও পড়তে পারেনঃ

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি সংলাপধর্মী ও বিশেষ নাট্য গুণসম্পন্ন কবিতা।

খ উত্তরঃ কবির কাব্যসাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যুতে তার হৃদয় গভীর শােকে আচ্ছন্ন বিধায় কবি তাকে কোনাে মতেই ভুলতে পারেন না। এ বিষয়টি বােঝাতেই তিনি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। তিনি তাঁর প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে গভীর শােকে প্রকৃতির নানা পরিবর্তনও অনুধাবন করতে পারেন না। বসন্ত এলেও তার হৃদয়জুড়ে শীতের রিক্ততা বিরাজমান। তার ভক্তরা বসন্তগীত রচনায় অনুপ্রাণিত করলে তিনি তাতে সাড়া দিতে পারেন না। কারণ প্রিয়জন হারানাের ব্যথা তিনি কোনাে মতেই ভুলে থাকতে পারেন না।

সারকথা : কবির প্রেরণা-পুরুষ ছিলেন তাঁর স্বামী। তার প্রতি গভীর ভালােবাসা থাকার কারণে তিনি তাকে ভুলতে পারেন না।

গ উত্তরঃ ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির সঙ্গে প্রিয়জন হারানাের বেদনার দিক থেকে উদ্দীপকের কামিনী রায়ের মিল রয়েছে। তারা উভয়েই স্বামীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শােকাহত। প্রিয়জন হারানাের বেদনা মানুষ সহজে ভুলতে পারে না। জাগতিক নানা কাজের মধ্যেও তারা প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে ব্যথিত হয়। তাদের সুখ-স্মৃতি অনুভব করে ।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির প্রিয়জন হারানাের বেদনার সঙ্গে উদ্দীপকের কামিনী রায়ের স্বামী হারানাের বেদনা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিতায় কবির স্বামী যেমন তার প্রেরণাদাতা তেমনই কামিনী রায়ের স্বামীও তার সমস্ত কাজের প্রেরণাদাতা। তাদের উভয়ের বেদনাবােধও অভিন্ন। স্বামী দুর্ঘটনায় মারা গেলে কামিনী রায় অনেক কষ্ট পান।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবিও স্বামীর জন্য গভীর বেদনা অনুভব করেন। প্রকৃতির জাগতিক পরিবর্তন, ফুলে ফুলে সাজানাে বসন্তও তাঁকে মুগ্ধ করতে পারে না। তার হৃদয়ে শীতের শূন্যতা বিরাজ করে। স্বামীর অকস্মাৎ মৃত্যুতে কামিনী রায়ের মতাে কবিও প্রচণ্ড আঘাত পান। প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনেও তিনি উদাসীন থাকেন। এভাবে প্রিয়জন হারানাের বেদনার দিক থেকে উদ্দীপকের কামিনী রায়ের সঙ্গে আলােচ্য কবিতায় কবির সাদৃশ্য বিদ্যমান।

সারকথা : উদ্দীপকে কামিনী রায় স্বামীকে হারিয়ে যে বেদনা অনুভব করেন তা ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির প্রিয় স্বামী হারানাের য় গভীর বেদনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় স্বামীর মৃত্যু শােকে কবি প্রকৃতি ও সমাজবিমুখ হলেও উদ্দীপকের কামিনী রায় অতিমাত্রায় সমাজমুখী।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী গভীরভাবে বেদনাহত হয়। এই বেদনায় কেউ প্রকৃতি ও সমাজবিমুখ হয়ে পড়ে। আবার কেউ আরও বেশি সমাজমুখী হয়ে ওঠে। নিজের কষ্ট ভুলে থাকার জন্য কেউ সমাজসেবায় আত্মনিয়ােগ করে। আবার কেউ বেদনাহত হয়ে দিন কাটায়।

তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির স্বামী আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীই ছিল তাঁর কাব্যসাধনার প্রেরণা-পুরুষ। কবি যথারীতি গীত রচনা করে বরণ করেন ঋতুরাজ বসন্তকে। স্বামীর শােকে আচ্ছন্ন থাকার কারণে ভক্তের অনুরােধ সত্ত্বেও তিনি বসন্ত সংগীত রচনা করতে পারছেন না।

উদ্দীপকের কামিনী রায়ের স্বামীও আকস্মিকভাবে স্ত্রীকে ছেড়ে পরপারে চলে যান। স্বামী হারানাের বেদনা অতি তীব্র বলেই তিনি সব সময় তা ভুলে থাকতে চান। আর এ জন্যই তিনি আরও বেশি করে সমাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি প্রিয় স্বামী হারানাের বেদনায় তাঁর ভক্ত ও প্রকৃতিবিমুখ হয়ে পড়েন। তিনি প্রকৃতির আনন্দে মেতে উঠতে পারেন না, সব সময় তার স্বামীর কথা মনে পড়ে। অপরদিকে কামিনী রায় স্বামী হারানাের শােক ভুলে থাকতে আরও নিবিড়ভাবে সামাজিক কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়ােগ করেন। এ কারণেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।

সারকথা : স্বামীকে হারিয়ে কবি সুফিয়া কামাল উদাসীন। আর কামিনী রায় স্বামী হারানাের শােক ভুলে থাকতে আরও বেশি সমাজমুখী। এ দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

সাজানাে সংসার এভাবে তছনছ হয়ে যাবে, কে ভেবেছিল? গত ২৬ জানুয়ারি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সর্বকালের অন্যতম সেরা বাস্কেটবল কিংবদন্তি যুক্তরাষ্ট্রের কোবি ব্রায়ান্ট ও তার ১৩ বছরের মেয়ে জিয়ানা। ব্রায়ান্টের স্ত্রী ভেনেসা এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, তারা চলে গেছেন ওপারে। সামাজিক যােগাযােগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে হৃদয়বিদারক এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ব্রায়ান্টের স্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, মনের ভেতর যা চলছে সেই অনুভতি লেখার ইচ্ছে ছিল না। আমি জানি আমার এই অনুভূতিটা স্বাভাবিক। (আপনজনের) মৃত্যুর পর এমনটা হয়ই। আমি শুধু এটা শেয়ার করছি যদি অন্য কেউ এমন স্বজন হারানাের ব্যথায় কাতর থাকেন!

ক. সুফিয়া কামাল কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?

খ. “দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি কোন দিক থেকে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপক এবং তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূলভাব পুরােপুরি এক নয়।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

পাশাপাশি আরও পড়তে পারেনঃ

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ সুফিয়া কামাল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। 

খ উত্তরঃ “দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?”- এ কথার মাধ্যমে কবি বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে যথার্থ পরিবর্তন সূচিত হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন। শীতের রিক্ততার শেষে বসন্তে প্রকৃতি তার পরিপূর্ণ রূপ নিয়ে হাজির হয়। বাতাবি লেবু আর আমের মুকুলের গন্ধে ভরে ওঠে চারদিক।

শীতের রিক্ততা প্রকৃতি থেকে দূরীভূত হলেও কবি-হদয়ে সেই রিক্ততা এখনও বিরাজমান। এ কারণে কবি বাইরের কিছু লক্ষ করেননি। তাই তাঁর জিজ্ঞাসা- বসন্তের দখিনা বাতাস বাতাবি লেবুর ফুল কিংবা আমের মুকুলের গন্ধে অধীর আকুল হয়ে উঠেছে কিনা।

সারকথা : ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় বসন্তের আগমনে কবি উদাসীন। ভক্তদের কাছে তাই তিনি জানতে চান বসন্তের আগমনের অন্যান্য পরিবর্তন।।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি প্রিয়জন হারানাের বেদনায় কাতর হওয়ার দিক থেকে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।’

প্রিয়জন হারানাের বেদনা মানুষ ভুলতে পারে না। কারণ স্বজন হারানাের শােকস্মৃতি মানুষকে সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়ায়। মানুষ তার যাপিত জীবনে সুখের স্মৃতি ভুলে গেলেও দুঃখের স্মৃতি ভুলতে পারে না। প্রিয়জন হারানাের স্মৃতি মানুষকে সবসময় কষ্ট দেয় ।

উদ্দীপকে প্রিয়জন হারানাের শােকস্মৃতির কথা বলা হয়েছে। এখানে সর্বকালের অন্যতম সেরা বাস্কেটবল কিংবদন্তি যুক্তরাষ্ট্রের কোবি ব্রায়ান্ট ও তার ১৩ বছরের মেয়ে জিয়ানাকে হারিয়ে ব্রায়ান্টের স্ত্রীর অনুভূতি তুলে ধরা হয়েছে।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় স্বামী এবং মেয়েকে হারিয়ে ব্রায়ান্টের স্ত্রী গভীর শােকে বেদনাহত। সামাজিক যােগাযােগমাধ্যমে তিনি এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মতাে স্বজন হারানাের ব্যথায় কাতরদের জন্য। এই বিষয়টি তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় কবির প্রিয়জন হারানাের বেদনা ও শােকস্মৃতি প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি তাঁর সাহিত্যসাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হােসেনের মৃত্যুতে বেদনাহত। তার চারপাশের কোনােকিছুই তাঁকে সজীব করতে পারে না। তিনি স্বামী হারানাের গভীর শােকে বাকহীন স্থবির। প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে তার জীবনে প্রচণ্ড শূন্যতা নেমে এসেছে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটি প্রিয়জন হারানাের বেদনায় কাতর হওয়ার দিক থেকে আলােচ্য কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

সারকথা : প্রিয়জনের মৃত্যুশােক সব দেশে সবার কাছেই সমান। এই দিক থেকে স্বামী-সন্তানকে হারিয়ে উদ্দীপকের ভেনেসার বেদনাহত হওয়ার বিষয়টি তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির শােকাচ্ছন্ন থাকার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। 

আপনি এই পোষ্টে তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপক এবং তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূলভাব পুরােপুরি এক নয়।”- মন্তব্যটি যথার্থ। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা নিয়েই মানুষের জীবন। জীবন চলার পথে মানুষ সুখের স্মৃতি ভুলে গেলেও দুঃখের স্মৃতি ভুলতে পারে না। কারণ প্রিয়জন হারানাের বিয়ােগব্যথা মানুষকে সারা জীবন তাড়া করে ফেরে।

‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে কবির হৃদয় বিচ্ছেদ বেদনায় ভারাক্রান্ত। তার কণ্ঠ নীরব। ভক্তদের জন্য তিনি বসন্তগীত রচনা করতে পারেন না। কারণ তাঁর মনজুড়ে শীতের রিক্ততা বিরাজমান।

বসন্তের আগমনও তার মনে কোনাে প্রভাব ফেলতে পারে না। কারণ প্রিয়জনের মৃত্যুশােক কবি কোনােভাবেই ভুলতে পারেন না। উদ্দীপকেও প্রিয়জন হারানাের বেদনার প্রতিফলন ঘটেছে। সেখানে কেবল স্বামী নয়, ১৩ বছরের মেয়েকেও হারিয়েছেন। ব্রায়ান্টের স্ত্রী। প্রিয়জন হারানাের বেদনাবােধের দিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।

কিন্তু এই বিষয়টি ছাড়াও আলােচ্য কবিতায় কবির কাছে ভক্তদের বসন্ত সংগীতের প্রার্থনা এবং বসন্তের আগমনে কবির নীরব থাকার যে বিষয় রয়েছে তা উদ্দীপকে নেই। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় প্রকৃতির ও মানবমনের সম্পর্কের তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে। এই কবিতাটি সংলাপধর্মী এবং বিশেষ নাট্যগুণসম্পন্ন।

উদ্দীপকে এই ধরনের বিষয় নেই। সেখানে নিজের মতাে শােকাচ্ছন্ন মানুষের বেদনার প্রতি ভেনেসার সহমর্মিতা প্রকাশ পেয়েছে। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : প্রিয়জন হারানাের বেদনাবােধের দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা। কিন্তু কবিতায় প্রতিফলিত ভাবের মধ্যে যে ভিন্নতা আছে তা উদ্দীপকে নেই। কবিতায় কবিভক্ত, বসন্ত ঋতুর আগমন এবং কবির মধ্যে যে সংলাপধর্মী। – বিষয়বস্তুর প্রতিফলন ঘটেছে তা পুরােপুরি উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। এই দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button