পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
Table of Contents
পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
অহনা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরিফা খানম একমাত্র মেয়ের জন্য খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি তাড়াতাড়ি তার মেয়েকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করান। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন শিশু মারা গেলে মায়ের দুশ্চিন্তা আরাে বেড়ে যায়। তিনি মেয়ের রােগমুক্তির জন্য নফল রােজা, নামাজ মানত করেন। মেয়ের রােগসজ্জার পাশে বসে সারাক্ষণ আল্লাহকে ডাকেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন আসে অহনাকে দেখতে। তাদের দেওয়া বিভিন্ন ফলমূল ও জুসে ভরে যায় হাসপাতালের কেবিনের টেবিল।
ক. পল্লিজননী’ কবিতার মূলকথা কী?
খ. বিরহী মায়ের একলা পরাণ দোলে কেন?
গ. উদ্দীপকের অহনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে ‘পল্লিজননী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য কী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শরিফা খানম কি পল্লিজননীর যথার্থ প্রতিনিধি? তােমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘পল্লিজননী’ কবিতার মূলকথা অপত্য স্নেহের অনিবার্য আকর্ষণ।
খ উত্তরঃ মায়ের কাছে সন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মা সবসময় সন্তানের মঙ্গলচিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। তাই যখন সন্তান অসুস্থ হয় তখন মায়ের মন দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়। মা খাওয়া-ঘুম সব ভুলে গিয়ে ছেলের মাথার কাছে বসে সেবা করেন।
পল্লিজননী’ কবিতায় অসুস্থ ছেলের জন্য মায়ের কষ্ট ও আশঙ্কা ফুটে উঠেছে। অসুস্থ ছেলের মাথার কাছে মা নিধুম বসে থাকে। অজানা আশঙ্কায় তার পরান দুলে ওঠে। সন্তানের যন্ত্রণায় সে কাতর। কবি প্রশ্নোক্ত লাইনটিতে মায়ের ব্যাকুল হদয়ের কথাই প্রকাশ করেছেন।
সারকথা : সন্তান অসুস্থ হলে অজানা আশঙ্কায় মায়ের হৃদয় ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কবি প্রশ্নোক্ত লাইনটিতে এটাই প্রকাশ করেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের অহনাকে হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে কবিতার বৈসাদৃশ্য ‘পল্লিজননী’ কবিতায় মায়ের দারিদ্র্যের কারণে অসুস্থ সন্তানকে প্রয়ােজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা দিতে না পারার দিক থেকে।
মানুষের মৌলিক অধিকার হচ্ছে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি লাভ করা, অথচ অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ এসব থেকে বঞ্চিত থাকে। তারা তাদের জীবনধারণের সামান্য সুযােগ থেকেও বঞ্চিত হয়। উদ্দীপকে বিত্তশালী পরিবারের সন্তানকে দামি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
এখানে অহনা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তার মা তাকে একটি আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। তারপরও তার ভয় কাটে না। পাশে কয়েকজন শিশুকে মারা যেতে দেখে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। আল্লাহর কাছে অহনার রােগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। এই বিষয়টি পল্লিজননী’ কবিতার মায়ের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
পল্লিজননী’ কবিতা মা রুগণ পুত্রের শিয়রে বসে রাত জাগে। এই কবিতায় তার মনঃকষ্ট, পুত্রের চলতা এবং দারিদ্র্যের কারণে তাকে প্রয়ােজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা দিতে না পারার ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে। পুত্রের শিয়রে নিবু নিবু প্রদীপ, চারিদিকে মশার অত্যাচার, বেড়ার ফাঁক দিয়ে শীতের হীমেল হাওয়া প্রবেশ করে। এখানেও উদ্দীপকের সাথে পল্লিজননী” কবিতার পার্থক্য বিদ্যমান।
সারকথা : অসুস্থ সন্তানকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে ‘পল্লিজননী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের বিষয় বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ হা, উদ্দীপকের শরিফা খানম পল্লিজননীর যথার্থ প্রতিনিধি।
একজন মায়ের কাছে তার সন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মা সব সময় সন্তানের মঙ্গল চিন্তা করেন। মায়ের কাছে সব সন্তানই সমান। স্নেহ-মমতার বিচারে ধনীর দুলালের সন্তান আর হতদরিদ্র সন্তানের কোনাে পার্থক্য নেই।
উদ্দীপকের অহনা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তার মা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। তারপরও তিনি চিন্তামুক্ত নন। ডেঙ্গু আক্রান্ত কয়েকজন শিশু মারা গেলে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েন। মেয়ের রােগমুক্তির জন্য তিনি নফল রােজা, নামাজ মানত করেন। তার পরও তার অস্থিরতা কমে না, কিছুতেই তিনি শান্ত হতে পারেন না ।
উদ্দীপকের মায়ের মতাে পল্লিজননী’ কবিতায় অসুস্থ সন্তানের জন্য মায়ের স্নেহ-মমতা ও ব্যাকুলতা ফুটে উঠেছে। কবিতায় রুগণ পুত্রের চোখে ঘুম আসে না। মা তার সুস্থতার জন্য মসজিদে মােমাবাতি আর দরগায় মানত করেন। কানাকুয়াে হুতুম পেঁচার ডাককে অমঙ্গল ধ্বনি মনে করেন। তার মনে পুত্র হারানাের শঙ্কা জেগে ওঠে।
‘পল্লিজননী’ কবিতায় দারিদ্রক্লিষ্ট এক পল্লি মায়ের সন্তান হারানাের আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিষয়টি উদ্দীপকের মায়ের সন্তান হারানাের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। উদ্দীপকের শরিফা ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার মা উভয়ের মধ্যেই সন্তানের জন্য উৎকণ্ঠার রূপটি অভিন্নভাবে ফুটে উঠেছে। এদিক থেকে উদ্দীপকের শরিফা ‘পল্লিজননী’ কবিতার মায়ের যথার্থ প্রতিনিধি।
সারকথা : সন্তানকেই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও অবলম্বন মনে করাই বাঙালি মায়ের চিরন্তন রূপ। আর এটিই উদ্দীপকের শরিফা ও পল্লি ও জননীর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
-সেদিন সে বিভাবরী নগর-ভ্রমণে বাহিরিয়া তুমি দেখিতে পাইলে দূরে মায়েরে ঘিরিয়া ক্ষুধাতুর দুটি শিশু সকরুণ সুরে কাঁদিতেছে আর দুঃখিনী মাতা ছেলেরে ভুলাতে হায়, উনানে শূন্য হাঁড়ি চড়াইয়া কাঁদিয়া অকূলে চায়।
ক. মাটির প্রদীপের তেল কীভাবে ফুরায়ে এসেছে?
খ. সম্মুখে তার ঘাের কুক্সটি মহাকাল রাত পাতা— চরণটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটির সাথে পল্লিজননী’ কবিতার যে মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি পল্লিজননী’ কবিতার একমাত্র উপজীব্য নয়- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ আঁধারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে মাটির প্রদীপের তেল ফুরিয়ে এসেছে।
খ উত্তরঃ সম্মুখে তার ঘাের কুজ্বটি মহাকাল রাত পাতাচরণটিতে রুগণ ছেলের শিয়রে বসে থাকা মায়ের মনের আতঙ্কিত অবস্থা বােঝানাে হয়েছে।
‘পল্লিজননী’ কবিতায় অসহায় দরিদ্র এক মায়ের করুণ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ছেলের শিয়রে বসে মা একা রাত জাগে এবং ছেলের নানা আবদারের কথা ভাবে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের মনে আশঙ্কাও বেড়ে চলে। অসুস্থ ছেলের কখন কী হয় তা নিয়ে সে শঙ্কিত। রাতের আঁধার, নিবু নিবু প্রদীপ, অসুস্থ ছেলে ও উদ্বিগ্ন মা— সব মিলিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিবেশ। এ দুরবস্থায় সন্তান। হারানাের আশঙ্কা মাকে স্বস্তি দিচ্ছে না। তার একমাত্র বুকের ধন হারিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা যেন তার কাছে দুর্বিষহ বেদনা। আর মায়ের এই অনুভূতিই আলােচ্য উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে। ॥ সারকথা : ‘পল্লিজননী’ কবিতায় রুগ্ণ পরিবেশে অসুস্থ সন্তানের শিয়রে বসে থাকা মায়ের কাছে অন্ধকার একটি রাতকে মহাকালের মতাে মনে হয় সন্তান হারানাের আশঙ্কায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘পল্লিজননী’ কবিতার দারিদ্র্যের দিকটির মিল রয়েছে।
অভাব মানুষের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। এদেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের মৌল-মানবিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক মানুষ আছে যারা অত্যন্ত গরিব। তারা ক্ষুধার অন্ন জোগাতে পারে না এবং চিকিৎসা করাতে না পেরে ধুকে ধুকে মরে।
উদ্দীপকে এক দরিদ্র পরিবারের করুণ চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে মাকে ঘিরে ক্ষুধাতুর দুটি অবুঝ শিশু সকরুণ সুরে কান্না করছে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মা তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে না। দুঃখিনী মা সন্তানদের ভুলিয়ে রাখতে হাঁড়িতে শুধু পানি দিয়ে মিছামিছি খাবার রান্না করার কথা বলে।
সন্তানের ক্ষুধার কষ্ট, কান্না দেখে তাদের সঙ্গে মাও কান্না করে। উদ্দীপকের এ দারিদ্র্যের চিত্রটি পল্লিজননী’ কবিতার পল্লিমায়ের দুঃখ-দারিদ্র্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিতায় পল্লি মা-ও অভাবের কারণে ছেলের ছােটখাটো আবদার পূরণ করতে পারেনি। ছেলে মেলায় যেতে চাইলে মা তাকে ‘মােসলমানের আড়ঙ দেখিতে নাই’ বলেছে। অভাবের কারণে মা অসুস্থ ছেলের চিকিৎসা করাতে পারে না এবং পথ্য জোগাড় করতে পারে না।
সারকথা : উদ্দীপকের মায়ের সংসারের অভাব এবং পল্লিজননী’ কবিতায় পল্লিমায়ের অভাব পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। উভয় ক্ষেত্রে অভাবী মায়ের সন্তানের আবদার পূরণ করতে না পারার যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকটি পল্লিজননী’ কবিতার একমাত্র উপজীব্য নয়- মন্তব্যটি যথার্থ। মায়ের কাছে তার সন্তান অমূল্য ধন। সন্তানের জন্য মায়ের মন সবসময় ব্যাকুল থাকে।
সন্তানের অসুখে মায়ের মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। সন্তানের কষ্টে সে যন্ত্রণাকাতর হয়। সন্তান যখন সুস্থ ছিল তখন সে কী কী আবদার করত, মা কীভাবে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করত সেসব মায়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকে এক মায়ের অভাবের কথা বলা হয়েছে। এখানে মা ক্ষুধার্ত সন্তানদের খাবার দিতে না পারায় সন্তানের সঙ্গে কান্না করছে এবং তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য উনুনের উপর হাঁড়ি বসিয়ে মিছামিছি রান্নার ভান করেছে।
উদ্দীপকের মায়ের অভাবের এই দিকটি ‘পল্লিজননী’ কবিতার মায়ের অভাবের সঙ্গে তুলনীয়। সন্তানকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেওয়ার ক্ষেত্রে উভয় মা অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কিন্তু এই বিষয়টি ছাড়াও পল্লিজননী’ কবিতায় আরও কিছু বিষয় আছে যা উদ্দীপকে নেই।
কবিতায় প্রতিফলিত ছেলের সুস্থ থাকার সময়কার স্মৃতিচারণ উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। ‘পল্লিজননী’ কবিতায় কবি রুগণ ছেলের শিয়রে বসে পুত্র হারানাের শঙ্কায় রাতজাগা এক পল্লিমায়ের মমতা ও উৎকণ্ঠার দিকটি তুলে ধরেছেন।
পল্লিজননী’ কবিতায় শীতের রাতে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া, বুনাে মশা, বাদুড়ের পাখা ঝাপটানাে, বুনাে মশার আক্রমণ, হুতুমের ডাক প্রভৃতি অমঙ্গল ধ্বনিসহ যে রুগণ পরিবেশে মা সন্তানের শিয়রে বসে প্রহর গােনে তা উদ্দীপকে নেই।
সন্তানের রােগমুক্তির জন্য নামাজের ঘরে মােমবাতি, দরগায় দান মানার বিষয়ও উদ্দীপকে অনুপস্থিত। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকে কেবল দারিদ্র্যপীড়িত সংসারের চিত্র এবং সন্তানের প্রতি মাতৃস্নেহের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। পল্লিজননী’ কবিতায় এ । বিষয়টি ছাড়াও পল্লিপ্রকৃতি, শীতের রাতের স্তন্ধ পরিবেশ, সন্তানের মৃত্যু আশঙ্কায় মায়ের অস্থিরতা এবং সন্তানের সুস্থতার জন্য মায়ের প্রার্থনা ও নানা আয়ােজনের বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। এসব দিক বিচারে তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায়।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন