আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায়

আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন কিভাবে আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করতে হয়। ইদানিংকালে বিআরটিসি ঘোষণা করেছে অনিবন্ধিত সমস্ত মোবাইল নিবন্ধন করে নিতে হবে। ইতোমধ্যে যাদের মোবাইল নিবন্ধিত বা অফিসিয়াল আছে তাদের কোন কিছু করতে হবে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় (আপডেট মেথড) গুলো কি কি রয়েছে।

যারা এখন পর্যন্ত আনঅফিসিয়াল বা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তাদেরকে মোবাইল নিবন্ধন করে নিতে হবে। আজকে আমরা আলোচনা করবো আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় সম্পর্কে। আপনার ব্যবহৃত ফোনটি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করে না নেন তবে একটা সময় পর সচল থাকবে না। যদি আপনার ফোনটি পূর্ব থেকেই নিবন্ধিত থাকে তাহলে পরবর্তীতে সেটি সচল থাকবে।

অনাথায় আপনার ফোনটি পরবর্তীতে কাজ করবেনা। আপনার ফোনের সিমের সিস্টেমটি অকেজো হয়ে যাবে। যারা মনে করছেন আপনার ব্যবহৃত ফোনটি অনিবন্ধিত বা আনঅফিসিয়াল তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে নিবন্ধন করার উপায় জেনে নিন।

ফোন নিবন্ধন করার মূল উদ্দেশ্য হলো কোন ব্যক্তি যেন অবৈধ ফোন ব্যবহার করে অপরাধমূলক কার্যক্রম করতে না পারে। যদিও অনেক দিন পূর্বে এই পদ্ধতি চালু করার কথা ছিল তখন সে রকম ভাবে কার্যকর করা হয়নি। সর্বশেষ বিআরটিসি’র ঘোষণা অনুযায়ী জুলাই মাসের প্রথম তারিখ থেকে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিবন্ধন করার ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে উল্লেখ্য ইতিমধ্যে যেসব ফোন দেশের বন্ধু থেকে ক্রয় করা হয়েছে এবং যেসব ফোনের কাগজপত্র ঠিকঠাক রয়েছে সেগুলোকে নিবন্ধন করার কোন প্রয়োজন নেই। এক কথায় বলতে গেলে যেসব মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর ঠিকঠাক রয়েছে সেগুলো ইতিমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হয়ে গেছে।

এক্ষেত্রে মোবাইলে থাকা সিমটি কার মালিকানায় রয়েছে তার নাম অনুসারে মোবাইল ফোনটি নিবন্ধন হয়ে গেছে। জুলাই মাসের প্রথম তারিখ থেকে যে সব করে মোবাইল ফোন নিবন্ধন থাকা অবস্থায় ক্রয় করা হবে সেসব কোনগুলোকে নিবন্ধন করে নিতে হবে। অনেকেই জানেনা কিভাবে আনঅফিসিয়াল ফোন অফিশিয়াল করে নিতে হয়।

আজকে এই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারবেন আনঅফিসিয়াল ফোন অফিশিয়াল করার উপায়।

আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায়

আপনার ক্রয়কৃত ফোনটি যদি কোন মোবাইল শপ বা শোরুম থেকে ক্রয় করে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার ফোনটি অফিশিয়াল হয়ে থাকবে। কারণ মোবাইল শোরুমগুলো মূলত কোম্পানি থেকে অফিশিয়াল ফোন বিক্রয় করার কাজে নিয়োজিত থাকে। এই কারণে এখানে আনঅফিসিয়াল ফোন পাওয়া সম্ভব নয়।

আপনি যদি আবার ছোটখাটো মোবাইল দোকান থেকে আপনার পছন্দের মোবাইল ক্রয় করে থাকেন, তবে আপনার মোবাইলটি অনিবন্ধিত হতে পারে। আপনার ফোনটি নিবন্ধন করা না হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিবন্ধন করে নিতে হবে। যদি কোনো কারণে নিবন্ধন করতে না পারেন, তবে ফোনের সিমের সিস্টেমই অকেজো হয়ে যাবে।

আবার অনেকে আছেন, প্রবাসে থেকে নিজের আত্মীয় স্বজনের জন্য মোবাইল ফোন ক্রয় করে পাঠিয়ে দেন। এজন্য আপনাকে আপনার ফোন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিদেশ থেকে ফোন দেশে এনে নিবন্ধন করে নিতে হবে। দেশে ফিরে যখন আপনি নিজের সিমটি তুলবেন তখন মেসেজ দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দেবে আপনার ফোনটি নিবন্ধন করা কিনা !

যেকোনো ধরনের আনঅফিসিয়াল ফোন অফিশিয়াল করার জন্য আপনার ফোনের ক্রয় রশিদ লাগবে। নতুবা আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। এরপর বিআরটিসি’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার ফোনটি নিবন্ধন করে নিতে হবে। এজন্য আপনাকে একাউন্ট করে নিতে হবে। এরপর যেসব তথ্য পূরণ করতে বলবে সেগুলো পূরণ করে আপনার ফোনটি বৈধ করে নিতে হবে।

উল্লেখ্য আপনার ফোনটি যদি বিদেশ থেকে কয় করে আনা হয়, তবে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন কার্ডের পিক চাইতে পারে। তাই এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে। এভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করলে আপনার অবৈধ হ্যান্ডসেটটি বৈধ পরিণত হবে।

বিআরটিসি’র এই উদ্যোগটি বেশ প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে দেশের ভিতরে অবৈধ ফোন ক্রয় বিক্রয় অবাধে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কিছুটা অপরাধ সংঘটিত হবে। এছাড়া ফুল নিবন্ধিত হলে ওই ফোনে কোন শিক্ষার্থী বা বয়স্ক ব্যক্তি ভাতার টাকা পাচ্ছে কিনা তা জানা সম্ভব হবে।

উপসংহার

আশা করছি, এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন, আনঅফিসিয়াল ফোন অফিশিয়াল করার উপায়। এ বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button