আমার পথ প্রবন্ধের মূলভাব ব্যাখ্যা সহ জেনে নিন

আপনি যদি অনুসন্ধান করে থাকেন আমার পথ প্রবন্ধের মূলভাব ব্যাখ্যা সহ তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মূল বক্তব্য, সারাংশ, সারমর্ম, মূল কথা বা বিষয়বস্তু  ইত্যাদি বিস্তারিত জেনে নিন। আমার পথ প্রবন্ধের ব্যাখ্যা সহ আরও আপনাদের সিলেবাসে থাকা অন্যান্য পাঠ্য  গুলো ও আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারেন।

আমার পথ প্রবন্ধের মূলভাব

বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম রাজনৈতিক বিদ্রোহী কবি  হিসেবে খ্যাত। তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক, গান এবং বেশকিছু মূল্যবান প্রবন্ধ লিখেছেন। আমার পথ’ প্রবন্ধটি তাঁর সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলিত হয়েছে।

আমার পথ প্রবন্ধে তিনি এমন এক ‘আমি’র আহ্বান প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ, সত্য প্রকাশে তিনি নির্ভীক অসংকোচ। তার এই ‘আমি’ ভাবনা বিন্দুতে সিন্ধুর উচ্ছ্বাস জাগায়। তিনি প্রত্যেকটি মানুষকে পূর্ণ এক ‘আমি’র সীমায় ব্যপ্ত করতে চেয়েছেন; একই সঙ্গে এক মানুষকে আরেক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে আমরা হয়ে উঠতে চেয়েছেন।

এখানে নিজেকেই নিজের কর্ণধার দাবি করেছেন। এই সত্যের উপলব্ধি কবির প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। তিনি তাই অনায়াসে বলতে পারেন, আমার কর্ণধার আমি। আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।’ রুদ্র-তেজে মিথ্যার ভয়কে জয় করে সত্যের আলােয় নিজেকে চিনে নিতে সাহায্য করে নজরুলের এই ‘আমি’ সত্তা।

তাঁর পথনির্দেশক সত্য অবিনয়কে মেনে নিতে পারে কিন্তু অন্যায়কে সহ্য করে না। সমাজ ও সমকাল পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রাবন্ধিক দেখেছেন যে, সুস্পষ্টভাবে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা, আহত হয় আমাদের ব্যক্তিত্ব।

প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে আমার পথ প্রবন্ধের মূলভাব নিয়ে পড়ছেন । পাশাপাশি চাইলে আপনাদের পাঠ্যবিষয়ক অন্যান্য আর্টিকেল গুলো ও আমাদের সাইটের মাধ্যমে পড়ে নিতে পারবেন। চলুন বাকী অংশ শেষ করে নেওয়া যাক।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

আমার পথ প্রবন্ধের ব্যাখ্যা

নজরুলের কাছে এই ভগ্ন আত্মবিশ্বাসের গ্লানি গ্রহণযােগ্য নয়। এর পরিবর্তে তিনি প্রয়ােজনে দাম্ভিক হতে চান; কেননা তার বিশ্বাস- সত্যের দন্ড যাদের মধ্যে রয়েছে তাদের পক্ষেই কেবল অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। নজরুল এই প্রবন্ধে দেখিয়েছেন যে, তিনি ভুল করতে রাজি আছেন কিন্তু ভণ্ডামি করতে প্রস্তুত নন।

ভুল জেনেও তাকে ঠিক বলে চালিয়ে দেওয়ার কপটতা কিংবা জেদ তার দৃষ্টিতে ভণ্ডামি। এই ভুল ব্যক্তির হতে পারে, সমাজের হতে পারে কিংবা হতে পারে কোনাে প্রকার বিশ্বাসের। তবে তা যারই হােক আর যেমনই হােক এর থেকে বেরিয়ে আসাই নজরুলের একান্ত প্রত্যাশা।

তিনি  জানেন, এই বেরিয়ে আসা সম্ভব হলেই মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রাণের সম্মিলন ঘটানাে সম্ভব হবে। মনুষ্যত্ববােধে জাগ্রত হতে পারলেই ধর্মের সত্য উন্মােচিত হবে, এক ধর্মের সঙ্গে অপর ধর্মের বিরােধ মিটে যাবে। সম্ভব হবে গােটা মানব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা; আর এই ঐক্যের মূল শক্তি হলাে সম্প্রীতি।

এই সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী হলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বাড়ে। ভিন্ন ধর্ম-মত-পথের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ জাগে। আর এই সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে উৎকৃষ্ট মানব সমাজ গড়ে তােলা সম্ভব।

ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধান আমার পথ প্রবন্ধের ব্যাখ্যা এর জন্য এবং আমাদের আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আমার পথ প্রবন্ধের মূলভাব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button