আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আপনি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ নিয়ে তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই প্রবন্ধ প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, বরিশাল। লাইলি আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী। সে আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী বলতে বােঝে যে, সে সৎ সত্যবাদী । লাইলি সকলের বন্ধু, বিনয়ী, জীবের | প্রতি সদয়, সদা প্রফুল্ল, মিতব্যয়ী ও মননে নির্মল হওয়ার পণ করে গার্ল-ইন-রােভার স্কাউটের সদস্য হওয়ার দীক্ষা নিয়েছে। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সে তার শপথের উপর অবিচল থেকে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রস্তুত।

ক. নজরুল ভুল করতে রাজি হলেও কী করতে রাজি নন?

খ. কাজী নজরুল ইসলাম কোন দাসত্ব থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘােষণা করেছেন?

গ. উদ্দীপকের সাথে আমার পথ’ প্রবন্ধের ঐক্যের বিষয়গুলাে কী কী?

ঘ. “উদ্দীপক ‘আমার পথ’ প্রবন্ধকে আংশিক ধারণ করেছে”- মতামত দাও।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ নজরুল ভুল করতে রাজি হলেও ভণ্ডামি করতে রাজি নন।

খ উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে আপন সত্যকে অস্বীকার করার যে দাসত্ব, সেই দাসত্ব থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘােষণা করেছেন। 

কাজী নজরুল ইসলামের মতে নিজের শক্তিতে যার বিশ্বাস নেই, আস্থা নেই, সেই অন্যের কাছে মাথা নত করে। নিজের ব্যক্তিসত্তাকে বিসর্জন দিয়ে সে স্বীকার করে অন্যের দাসত্ব। আর যার নিজের ওপর বিশ্বাস আছে সে কখনাে অন্যের ইচ্ছাধীন চলে না, ভণ্ডামিকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই লেখক নিজেকে সত্যকে অস্বীকার করার দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছেন। 

সারকথা : ‘আমার পথ‘ প্রবন্ধে লেখক অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে আপন সত্যকে অসীকার করার যে দাসত্ব সে দাসত্ব থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করার ঘােষণা করেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সাথে আমার পথ’ প্রবন্ধের আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী এবং নিজ সত্যকে চেনার বিষয়ের ক্ষেত্রে ঐক্য রয়েছে। নিজের অন্তরের সত্যকে উপলব্ধি করেই মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। তারা নিজ নিজ সত্যের শক্তিতে সামনে এগিয়ে যায়।

আত্মবিশ্বাস এবং সত্যের দন্ড যাদের মাঝে রয়েছে, তারাই অসাধ্যকে সাধন করতে পারে । উদ্দীপকে আত্মবিশ্বাসী এবং সৎ ও সত্যবাদী হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। আত্মবিশ্বাস এবং সৎ ও সত্যবাদী হওয়ার মধ্য দিয়ে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শপথের উপর অবিচল থেকে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে লাইলি ।

উদ্দীপকের এই আত্মবিশ্বাস ও সততার সঙ্গে আমার পথ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য রয়েছে। প্রবন্ধে আত্মনির্ভরতা অর্জন এবং আত্মার শক্তি ও সত্যের গুরুত্ব নির্দেশ করা হয়েছে। লেখক বলেছেন পরাবলম্বনই আমাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে।

নিজের মধ্যে লালন করা ‘ডােন্ট কেয়ার’ ভাবকে পরিহার করে অসাধ্যকে সাধন করতে বলেছেন। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের সাথে আমার পথ’ প্রবন্ধের আত্মবিশ্বাস এবং নিজ সত্যকে চেনার দিক থেকে ঐক্য রয়েছে।

সারকথা : উদ্দীপকে আত্মবিশ্বাসী এবং সত্যবাদী হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। পক্ষান্তরে আমার পথ’ প্রবন্ধে আত্মনির্ভরতা অর্জনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। 

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপক ‘আমার পথ’ প্ৰবন্ধকে আংশিক ধারণ করেছে” – মন্তব্যটি সম্পর্কে আমি একমত পােষণ করি।।

আপন সত্যকে চিনে সত্যের পথে ধাবিত হয়েই মানুষ জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । কারণ সত্যের উপলব্ধি প্রাণ-প্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। সত্যের মাধ্যমেই মানুষ মনুষ্যত্বের সন্ধান পায়। গড়ে ওঠে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ উৎকৃষ্ট মানবসমাজ।

উদ্দীপকটিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে আপন সত্যকে চিনে শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রস্তুত আছে লাইলি। আমার পথ’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজ সত্যকে অসাধ্য সাধন করতে বলেছেন।

তাঁর মতে, সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষ মিথ্যা ভয়কে জয় করে। মিথ্যা, ভয়, ভণ্ডামি থেকে বের হয়ে এলেই মানুষ মনুষ্যত্বের সন্ধান পায়। আর মনুষ্যত্ব অর্জনই জীবনের সার্থকতা। তাই সত্যের সাধনা করে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করা যায়।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে এবং উদ্দীপকে আত্মবিশ্বাস এবং নিজ সত্যকে চেনার দিকটি আলােচিত হয়েছে। উদ্দীপকের আলােচিত দিকটি আলােচ্য প্রবন্ধের আংশিক দিকের প্রতিফলন মাত্র । প্রবন্ধে আপন সত্যের শক্তিতে সংকীর্ণতা দূর করা এবং মানুষধর্মের চর্চার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব অর্জনের দিকটিও প্রতিফলিত হয়েছে, যা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মতামতটি যথার্থ ।

সারকথা : উদ্দীপকে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। আমার পথ’ প্রবন্ধে এই দিকটি প্রকাশের পাশাপাশি ন্য অন্যান্য বিষয় ও ভাব উঠে এসেছে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ যাকে অপদার্থ, অকর্মণ্য বলে উপহাস করা হচ্ছে, তাকে যদি কেউ সাহস দেয়, এগিয়ে যাবার পরামর্শ এবং সহযােগিতার হাত বাড়ায়, তবে সেই মানুষটির মানসিক ও আত্মিক বিবর্তন ঘটবে। এতে অলস পরিশ্রমী হতে পারে, অপ্রতিভ সপ্রতিভ হবে, ভীরু সাহসী হবে, মূর্খ বিদ্বান হবে, দুর্বল বলবান হতে পারে। এর অন্যতম কারণ, সেই মানুষটির অন্তর্নিহিত সত্যের বিকাশ।

ক. কুর্নিশ’ শব্দের অর্থ কী?

খ. কবি নিজেকে অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন কেন?

গ. উদ্দীপকের ভাবনা আমার পথ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ?

ঘ. “আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে” উদ্দীপক ও আমার পথ’ প্রবন্ধের আলােকে মন্তব্যটি বিচার কর।

পাঠক সাহেব আপনি ইতিমধ্যে উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২২ সম্পর্কিত আর্টিকেলে ২য় তম সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর নমনুা কেমন হতে পারে তা দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ কুর্নিশ’ শব্দের অর্থ অভিবাদন।

খ উত্তরঃ  সমাজের অনিয়ম ভেঙে ফেলতে প্রাবন্ধিকের যে অবস্থান তার প্রেক্ষিতে কবি নিজেকে ‘অভিশাপ-রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন। সমাজের প্রচলিত, পুরনাে নিয়মকে ভেঙে নতুনকে প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ নয়। এতে প্রতিনিয়ত সমাজরক্ষকদের অত্যাচার| নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়, অভিশাপ পেতে হয়। এসব জেনেও নজরুল তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। সব অন্যায়, অবিচার আর অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন এবং নিজেই রথচালকের আসনে বসে ‘অভিশাপ-রথের সারথি’ হয়েছেন।

সারকথা : তিনি সমাজের সকল অনিয়ম ভাঙতে চান বলে নিজেকে অভিশাপ রথের সারথি; বলে অভিহিত করেছেন।

গ) উত্তরঃ উদ্দীপকের ভাবনা আমার পথ’ প্রবন্ধের সঙ্গে সত্যের পথে চলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানাের ভাবটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সকলের অন্তরেই এমন কিছু আছে যেটা মিথ্যা সইতে পারে না। তা নিজেরই হােক আর অন্যেরই হােক। কেউ যদি অন্তরে মিথ্যা নিয়ে এবং ফাঁকি দিয়ে কাজে নামে তবে ঐ কাজেও মস্ত ফাঁকি থেকে যায়। আর এই ফাঁকি নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছনাে যায় না।

উদ্দীপকের লেখক দেখিয়েছেন যে, কাউকে উপহাস না করে সাহস দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ এবং সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে মানুষের মানসিক ও আত্মিক বিবর্তন ঘটানাে যায়। আর মানসিক ও আত্মিক বিবর্তন ঘটলে মানুষ যেকোনাে অসাধ্যকে সাধন করা যায়। কেননা তার অন্তরের মধ্যে সত্যের বিকাশ লুকায়িত থাকে।

উদ্দীপকের এই ভাবনাটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের লেখকের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। লেখক বলেছেন কেউ যদি সত্যকে একবার চিনতে পারে তাহলে তার মধ্যে আর মিথ্যার ভয় থাকবে না। তখনই প্রাণের সঠিক ডাক শুনতে পাবেন এবং কাঘিত লক্ষে পৌছাতে পারবেন। উদ্দীপকের লেখক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মধ্যে এই দিক থেকে সামঞ্জস্য রয়েছে।

সারকথা : উদ্দীপক ও আলােচ্য প্রবন্ধ উভয় জায়গায় সত্য পথে চলার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।

আপনি এই পোষ্টে আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। অথবা সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করে ও আপনাদের সিলেবাস অবলম্বনে পাঠ্য আর্টিকেল খুঁজে পেতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

উত্তরঃ  ‘আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে’– উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলােকে মন্তব্যটি যথার্থ ।

মানুষের আত্মশক্তিই শ্রেষ্ঠ শক্তি। যে ব্যক্তি আপন শক্তিকে, আপন সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে তাকে আর অন্য কারও উপর। নির্ভর করতে হয় না। আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তিকে জগতে আর কাউকে পারােয়া করতে হয় না। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক আত্মনির্ভশীল হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

যার প্রথম শর্তই হলাে নিজের সত্যকে জানা এবং তা প্রকাশ করা। সুস্পষ্টভাবে নিজেকে না জানলে আর সত্যকে প্রকাশ করতে না পারলে পরনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। তাই লেখক প্রয়ােজনে দাম্ভিক হতে চান। কারণ সত্যের দন্ড যার মধ্যে আছে তার পক্ষেই কেবল অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। উদ্দীপকেও সত্যের শক্তির উপর নির্ভরতা উপস্থাপিত হয়েছে।

শত আঘাত-বেদনার মধ্য দিয়ে মানুষ নিজেকে জানে, নিজের সত্যকে আবিষ্কার করে। আর এভাবেই নিজের মধ্যে আসে আত্মনির্ভরতা। একমাত্র সঠিক পথে ব্যক্তিকে চালিত করে। তাই আপন সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার মাধ্যমে আত্মনির্ভর হওয়া সম্ভব। এই আত্মনির্ভরতাই উদ্দীপক এবং আলােচ্য প্রবন্ধের সারকথা। এ দিক বিচারে বলা যায়, ‘আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে’ মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : আত্মাকে চিনলে নিজেকে চেনা যায়। আর নিজেকে চিনলে আসে আত্মনির্ভরতা।।

ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান আমার পথ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাইটের মধ্য সহজেই খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। 

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button