আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
আসমানিরে দেখতে যদি তােমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছােট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তাে নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানিরা থাকে বছর ভরে। পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক’খান হাড়, সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
ক. হরিহরের পুত্র কোথায় বসে খেলা করছিল?
খ. হরিহরের বসতভিটার আশপাশটা প্রকৃতির লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিক প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্র বিষয়কে ধারণ করতে পারেনি।”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ হরিহরের পুত্র রােয়াকে বসে খেলা করছিল।
খ উত্তরঃ হরিহরের বসতভিটার আশপাশটা প্রকৃতির লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে সেখানে কেউ বসবাস না করার কারণে।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে হরিহরের বাড়ির চারদিকে জঙ্গল । হরিহর রায়ের জ্ঞাতিভাই নীলমণি রায় মারা যাওয়ায় সেই বাড়িতে কেউ থাকে না। নীলমণি রায়ের স্ত্রী সেই বাড়ি ফেলে রেখে পুত্র-কন্যা নিয়ে তার পিতার বাড়িতে থাকেন। তাদের বাড়ি ছাড়া হরিহরের বাড়ির আশপাশটায় আর কোনাে বাড়ি নেই।
সেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং সেখানে নানা রকম গাছপালা জন্মে আবৃত হয়ে রয়েছে। তাই হরিহরের বসতভিটার আশপাশকে প্রকৃতির লীলাক্ষেত্র বলা হয়েছে।
সারকথা : হরিহরের বসতভিটার পাশের বাড়িটি পরিত্যক্ত থাকায় সেখানে নানা জাতের গাছ জন্মেছে। এ কারণে এ বাড়ির আশপাশের বর্ণনা দিতে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের দরিদ্র মানুষের জীবনযাপনের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
মানুষের জীবন সুখ-দুঃখের চারণক্ষেত্র । মানুষের জীবনে কখনাে সুখ আবার কখনাে দুঃখ আসে। সুখ-দুঃখ মেনে নিয়েই মানুষ জীবন পথে এগিয়ে যায় । দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত মানুষ জীবন পথে চলতে গিয়ে নানা সমস্যা-সংকটে পড়ে।
উদ্দীপকে আসমানির কষ্টকর জীবনের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তার অনাহারে থাকার যে কথা বলা হয়েছে তা ‘আমআঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়া ও হরিহরের সংসারে অভাবের কারণে তাদের খাবারের জন্য কষ্ট করার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে আসমানিদের বাড়ির যে করুণ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের বাড়ির বর্ণনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। গল্পে হরিহর অন্নদা রায়ের বাড়িতে গােমস্তার কাজ করে মাসে যে আট টাকা পায় তা দিয়ে তার সংসার চলে না। এই দুঃখ-দুর্দশা উদ্দীপকেও দশ্যমান।
উদ্দীপকের আসমানিদেরও সংসারে নিত্য অভাব লেগে থাকে। এভাবে উদ্দীপকের আসমানিদের করুণ দশা এবং গল্পের হরিহর ও সর্বজয়ার সংসারের করুণ অবস্থা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : উদ্দীপকের কবিতাংশে আসমানিদের দরিদ্র পরিবারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পেও অনুরূপ পরিবারের পরিচয় রয়েছে। দরিদ্র মানুষের জীবনযাপনের দিক থেকে উদ্দীপক ও গল্প পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্র বিষয় ধারণ করতে পারেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
দারিদ্র্যের কশাঘাতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। দারিদ্র্যের কারণে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে অশান্তি বিরাজ করে। অভাবের তাড়নায় মানুষ অন্যায় পথে পা বাড়ায়। তখন প্রকৃতির করুণা প্রার্থনা করে মানুষ আত্মতৃপ্তি লাভ করে।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে লেখক গ্রামীণ জীবনে নিম্ন আয়ের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের দুঃখ-দুর্দশা ও টানাপড়েন তুলে ধরেছেন। এতে হরিহর ও সর্বজয়ার অভাবের সংসারে অপু. ও দুর্গা নামের দুই সন্তানের প্রকৃতিঘনিষ্ঠ জীবন প্রতিফলিত হয়েছে।
এই গল্পের হরিহর-সর্বজয়ার সংসারে দারিদ্র নিত্যসঙ্গী। উদ্দীপকের কবিতাংশে গ্রামীণ জীবনে আসমানিদের যে অভাব ও দুঃখ-দারিদ্র্যের বর্ণনা রয়েছে তা এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। সংসারে নিত্য অভাব এবং জীবনযাপনের করুণ অবস্থা ছাড়া অন্য কোনাে দিক থেকে গল্পের সঙ্গে উদ্দীপকের মিল নেই।
আম-আঁটির ভেঁপু গল্পে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বােনের মধ্যে ভাব ও আনন্দের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা উদ্দীপকের আসমানির মধ্যে নেই। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দারিদ্র্য সত্ত্বেও সন্তানম্নেহের দিক থেকে সর্বজয়া একজন শাশ্বত পল্লিজননী।
স্বামীর স্বল্প আয়, সংসারের অসচ্ছলতা, পাওনাদারদের তাগাদা সত্ত্বেও সে অপু-দুর্গাকে গভীর মমতায় আগলে রাখে। হরিহর দরিদ্র হলেও আত্মমর্যাদাবােধসম্পন্ন মানুষ। সদগােপদের মন্ত্র দিতে তখনই রাজি হয় না । অপু-দুর্গার দুরন্তপনা, আম কুড়ানাে, প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানাে ইত্যাদি বিষয় গল্পে থাকলেও উদ্দীপকে নেই। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বােনের জীবনালেখ্য। এখানে হরিহরের পরিবারের অভাবi) অনটনের যে বিষয়টি রয়েছে তার সঙ্গে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ। এছাড়া এ গল্পে হরিহরের আত্মমর্যাদাবােধ, তার স্ত্রী সর্বজয়ার সর্বংসহা সংসারী জীবন উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। এ কারণে উদ্দীপকে গল্পের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে তা বলা যায় না।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
অভাব-অনটনে জর্জরিত মানুষের জীবন-এর আলােকে প্রণীত। কিন্তু উপায় নেই। ডকের মাল-তােলা ও নামানাের সামান্য সরকার। জাহাজ ডকে ভিড়লে তবে দু-পয়সা আসে। নইলে নিছক বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। মাসে যা আয় হয় তাতে মুদির ঋণ শােধাই চলে না, তা ডাক্তার । কিন্তু তবু সে কোন ত্রুটি রাখে নি। শিশু আকাশ ফাটিয়ে চীকার করে সে চীৎকার আর থামতে চায় না। সে চীৎকারে বেদনা নেই। আছে শুধু যেন সমস্ত পৃথিবীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
ক. অপুর পিঠে কিল মেরেছিল কে?
খ. সর্বজয়ার কথা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলাে কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন চিত্রের সমান্তরাল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের খণ্ডাংশের ধারক মাত্র।”- মন্তব্যটি বিচার কর।।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ অপুর পিঠে দুর্গা কিল মেরেছিল।
খ উত্তরঃ অভাবে জর্জরিত জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার পথের সন্ধান পেয়ে সর্বজয়ার কথা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলাে। ‘
আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার সংসারে ছিল অভাবে জর্জরিত। ঋণগ্রস্ত হরিহরের সংসারে সর্বজয়া স্বামীর মুখে শুনতে পায় দশঘরার ধনবান সদগােপ সম্প্রদায় তাদের গায়ে একঘর বামুন প্রতিষ্ঠা করবে। একথা শুনে সর্বজয়া আনন্দিত হয়। তারা বামুনকে জায়গা-জমি, ভিটে-বাড়ি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে দিতে চায়।
এক্ষেত্রে তারা সর্বজয়ার স্বামী হরিহরকে মনােনীত করেছে। সদগোপদের এ প্রস্তাবে এক নতুন জীবনের আহ্বানে, অভাবনীয় এক আশার বাণী শুনে আনন্দে সর্বজয়ার কথা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলাে।
সারকথা : অভাবে জর্জরিত হরিহরের সংসারে নতুন জীবনের আহ্বানে সর্বজয়া অনেক আনন্দিত হলাে এবং তার কথা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলাে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের সংসারের দারিদ্র্যপীড়িত চিত্রটির সমান্তরাল।
দরিদ্ররা জীবনের মৌলিক চাহিদা সঠিকভাবে মেটাতে পারে না। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করেও পরিবারের অন্নসংস্থান করতে হিমশিম খেতে হয়। যুগ যুগ ধরে অবস্থার কোনাে পরিবর্তন তারা করতে পারে না।
উদ্দীপকে দারিদ্রক্লিষ্ট এক পরিবারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জাহাজের মাল-তােলা ও নামানাের সামান্য সরকার। মাসে যা আয় হয় তাতে মুদির ঋণ শােধই চলে না। তাই সন্তানের অসুস্থতায় ডাক্তার দেখানাে হয়ে ওঠে না।
এই বিষয়টি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের সংসারের দারিদ্র্যময় চিত্রের সমান্তরাল। হরিহরের আট টাকা মাইনের চাকরিতে সংসার চলে না। ধারের টাকা পরিশােধ করতে না পারায় স্ত্রী সর্বজয়াকে অপদস্থ হতে হয়। অপু-দুর্গার পরার জামা-কাপড়ও ছিড়ে একশেষ। দেনার দায়ে গ্রাম ছাড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গল্পে প্রকাশিত পল্লিবাংলার দরিদ্র জনগােষ্ঠীর এই জীবনচিত্রই উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
সারকথা : উদ্দীপকে দারিদ্র্যপীড়িত সংসারের করুণ চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে, যা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর-সর্বজয়ার সংসারের দারিদ্র্যের কশাঘাতের চিত্রের সঙ্গে সমান্তরাল।
আপনি এই পোষ্টে আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের খণ্ডাংশের ধারকমাত্র।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা মােকাবিলা করে টিকে থাকাটা যেন দরিদ্র মানুষের নিয়তি। শত দুঃখ-কষ্ট ভােগ করে তারা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু এই সমাজব্যবস্থা সেটাকে আরও বেশি বাধাগ্রস্ত করে তােলে।
উদ্দীপকে দারিদ্রে জর্জরিত এক পরিবারের করুণ চিত্র উঠে এসেছে। জাহাজের ডকের মাস্তুলে মাল তুলে নামানােতে যা আয় হয় তাতে মুদি দোকানের ঋণই শােধ হয় না। সন্তানের চিকিৎসা করতে না পেরে যন্ত্রণায় দগ্ধ হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না।
দরিদ্র শ্রেণির এমন অসহায় অবস্থার ছবি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের দারিদ্র্যপীড়িত সংসারের চিত্রের সঙ্গে সমান্তরাল। তবে এ বিষয়টি আলােচ্য গল্পের খণ্ডাংশমাত্র। এ ছাড়াও গল্পে বিভিন্ন বিষয় ও ভাবের অবতারণা ঘটেছে। ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পটিতে গ্রামীণ জীবনের শান্ত-স্নিগ্ধ ছবিও অঙ্কিত হয়েছে।
লেখক গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বােনের আখ্যান নিয়ে গল্পটি রচনা করেছেন। অপু ও দুর্গা হতদরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠলেও দারিদ্র্যের নির্মম কষ্ট তাদের শৈশবের বেড়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে ওঠেনি। প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের কৌতূহল ও বিস্ময় পাঠকের চিরায়ত শৈশবকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
পল্লিমায়ের শাশ্বত রূপ লেখক সর্বজয়ার চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। গল্পের এসব বিষয় ও ভাব উদ্দীপকে উঠে আসেনি। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত।
সারকথা : উদ্দীপকে দারিদ্র্যপীড়িত এক পরিবারের করুণ চিত্র উঠে এসেছে যা আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর-সর্বজয়ার সংসারের দুঃখদুর্দশাকে মনে করিয়ে দেয়। তবে গল্পের অন্যান্য বিষয় এখানে উঠে আসেনি। সুতরাং মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন