রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
আপনি যদি ইতিমধ্যে রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। গল্প অবলম্বনে প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা রােদ, বৃষ্টি, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কোনােকিছুতেই বিরাম নেই ট্রাফিক পুলিশ হাশেম সাহেবের । রােদ-ঝড়-বৃষ্টি সব উপেক্ষা করে জনগণের জন্য যানজট ও নিরাপদ সড়ক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা তার। পরিবারকে সময় দেওয়ার মতাে সময় নেই তার। বেতন যা পান তাও নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ দশা। তার কলেজপড়ুয়া ছেলে প্রায়ই আক্ষেপ করে বলে ‘বাবা, এবার একটু নিজের দিকে, স্ত্রী-সন্তানের দিকে মন দাও।’
ক. রানার কী হাতে চলেছে?
খ. শপথের চিঠি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের হাশেম সাহেবের মাধ্যমে রানার কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. হাশেম সাহেবের ছেলের কণ্ঠে যেন কবি সুকান্তের সুর ধ্বনিত হয়েছে’– বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ রানার খবরের বােঝা হাতে চলেছে।
খ উত্তরঃ শপথের চিঠি’ বলতে কবি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় শ্রমজীবী মানুষের জাগরণের বাণীবদ্ধ চিঠিকে বুঝিয়েছেন। রানার কবিতায় সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। রানার এখানে অসাম্য ও অমানবিকতার শিকার। রানার সামান্য বেতনে অসামান্য দায়িত্ব পালন করে।
রাতের বেলা সবাই যখন আরামে নিদ্রা যায়, সে তখন লণ্ঠন জ্বেলে খবরের বােঝা হাতে শহরের দিকে ছুটে চলে। ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়, তবু সে ছুটে চলে । গভীর রাতে পথের দস্যু অপেক্ষা তার সূর্য ওঠার ভয় বেশি। শ্রমজীবী মানুষের এমন দুঃখময় জীবনের অবসানকল্পে কবি এখানে তাদের জাগরণ প্রত্যাশা করেছেন।
জেগে উঠলেই তারা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। কবি তাই নতুন দিনের নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শপথের চিঠি’ তথা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার চেতনা নিয়ে রানারকে এগিয়ে যেতে বলেছেন।
সারকথা : বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার চেতনাসমৃদ্ধ বাণীবদ্ধ চিঠিকে কবি শ্রমজীবীদের জন্য শপথের চিঠি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে হাশেম সাহেবের মাধ্যমে ‘রানার কবিতার রানারের পেশাগত দায়িত্ব পালনের দিকটি ফুটে উঠেছে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা উচিত নয়। আমাদের সমাজে অনেক লােক আছে যারা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে না। এর ফলে সমাজে নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যারা দায়িত্বে অবহেলা করে তারা ব্যক্তি, সমাজ, জাতি ও দেশের ক্ষতি করে।
সবারই উচিত অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা। উদ্দীপকে ট্রাফিক পুলিশ হাশেম সাহেবের নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি প্রতিকূল পরিবেশেও দায়িত্বে অবহেলা করেন না। যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক রাখার কাজে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারেন না। অমানবিক পরিশ্রম করে তিনি যা আয় করেন, তা দিয়ে তার সংসার চলে না। উদ্দীপকের হাশেম সাহেবের এই দায়িত্ব সচেতনতা ও সংসারের অভাব-অনটনের দিকটি রানার কবিতার রানারের পেশাগত দায়িত্ব পালনে পরিবারের লােকদের সময় না দিতে পারার বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
রানার খবরের বােঝা, মানিঅর্ডার নিয়ে রাতের অন্ধকারে লণ্ঠন জ্বালিয়ে শহরের দিকে ছুটে চলে। পথে দস্যুর ভয়ের চেয়েও সে সূর্য ওঠাকে বেশি ভয় পায়। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর হলেও সে দায়িত্বে অবহেলা করে না। সে পিঠে টাকার বােঝা বহন করলেও তা ছুঁয়ে দেখে না। এভাবে উদ্দীপকের হাশেম সাহেব ‘রানার কবিতার রানারের মতাে দায়িত্বশীল ও অভাবী।
সারকথা : ‘রানার কবিতায় রানার সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে সে অত্যন্ত তৎপর ও সত্যনিষ্ঠ। কবিতার এই দিকটির সঙ্গে উদ্দীপকের হাশেম সাহেবের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের দিকটি সাদৃশ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ হাশেম সাহেবের ছেলের কণ্ঠে যেন কবি সুকান্তের সুর ধ্বনিত হয়েছে- মন্তব্যটি যথার্থ।
যুগে যুগে যাদের শ্রমে সভ্যতা গড়ে উঠেছে, তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার হয়েছে। তাদের দাবি শুধু খেয়েপরে বেঁচে থাকার। সেটুকুও শােষক, মহাজন, মজুদদাররা দিতে চায় না। শ্রমজীবীদের শ্রম শােষণ করে তারা বিলাসী জীবনযাপন করে।
আর দায়িত্বনিষ্ঠরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটায়। উদ্দীপকে একজন দায়িত্বশীল, সৎ ও নিষ্ঠাবান ট্রাফিক পুলিশের জীবনযাপন এবং তার পরিবারের সকলের ক্ষোভের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
এখানে ট্রাফিক পুলিশ হাশেম সাহেব তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতি উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তার কলেজপড়ুয়া ছেলে তাকে সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। হাশেম সাহেব নিজের প্রতিও উদাসীন। তাই ছেলে তাকে নিজের প্রতি এবং স্ত্রীসন্তানের প্রতি নজর দিতে বলেছে।
উদ্দীপকে প্রতিফলিত হাশেম সাহেবের ছেলের কণ্ঠে যে আবেদন ফুটে উঠেছে, তা রানার কবিতার কবির কণ্ঠেও ধ্বনিত হয়েছে। কবিও রানারকে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছেন। কারণ রানারও নিজের প্রতি এবং তার স্ত্রীর প্রতি উদাসীন।
কেবল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সে রাতের অন্ধকারে ছুটে চলে। অবসর নেওয়ার অবকাশ তার নেই। রানার কবিতায় রানার নতুন খবরের বােঝা কাঁধে মাঠ-ঘাট, পথ-প্রান্তর পেছনে ফেলে শহরের পানে ছুটে চলে। এই ছুটে চলার সঙ্গে সে তার জীবনের বহু আশা ও স্বপ্নও পেছনে ফেলে যায়। কেউ তার খোঁজ রাখে না।
পরিবারের সদস্যদের প্রতি সেও দায়িত্ব পালন করতে পারে না। নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্যও সে দিতে পারে না। কবি তাই রানারকে সমস্ত ভীরুতা পিছনে ফেলে নতুন জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তৎপর হতে বলেন। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মালিক-মহাজনদের শােষণের থাবা থেকে মুক্ত হবে সেই প্রত্যাশা করেন।
এভাবে রানার কবিতায় কবির কণ্ঠে যে বাণী ধ্বনিত হয়েছে তা উদ্দীপকের হাশেম সাহেবের ছেলের কথার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘রানার কবিতায় রানার নিজের জীবনের সমস্ত সাধ, স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে অতি অল্প দামে নিজের শ্রম বিক্রি করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যায়। কবি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাকে ভীরুতা পিছনে ফেলে শপথের চিঠি নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন। কারণ ক্ষুধার – ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে কোনাে লাভ নেই। উদ্দীপকের হাশেম সাহেবের ছেলের কণ্ঠেও সেই সুর ধ্বনিত হয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
শ্রেণিবৈষম্য ও ক্ষুধা নিবারণে অনন্যোপায় মানুষের প্রতিবাদ-এর আলােকে প্রণীত। ওরে ভাই- বড় ক্ষিদে, কী করি বল তাে উপায়, লাগা না ফন্দি-ফিকির, যা করে মিলবে দু পাই! পশুরাও খাচ্ছে চরে, মানুষ ক্ষিদেয় মরেধনীদের ঘর ভরে যায় গরিবের শ্রমের রূপায়! চরিটা মন্দ কিসে— সমাজের ফক্কিকারি, গরিবে রাখতে চেপে বড়দের খবরদারি! এদিকে পেট জ্বলে যায়, কী হবে পুঁথির কথায়? পরকাল পচুক চুলায় বাচাটাই কেলেঙ্কারি!
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
খ. রানারের প্রিয়া কেমন করে রাত কাটায়? বর্ণনা কর।
গ. উদ্দীপকটি রানার কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ধনী-গরিবের বৈষম্যের দিকটি ‘রানার কবিতার শ্রেণিবৈষম্যের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক নিবাস গােপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
খ উত্তরঃ রানারের প্রিয়া বেদনা আর অভিমান নিয়ে একা একা নিদ্রাহীন রাত কাটায়। রানার চিঠি নিয়ে রাতের পথে পথে ছুটে চলে । ঘরে তার প্রিয়া তার জন্য অপেক্ষার প্রহর গােনে। নিঃসঙ্গ রাত প্রিয়ার কাছে তখন অসহ্য আর যন্ত্রণাময় মনে হয়। রানারের প্রতীক্ষায় প্রিয়া সারা রাত জেগে থাকে।
বিরহে তার চোখে ঘুম আসে না, তবুও রানার আসে না, ফলে প্রিয়ার মনে সৃষ্টি হয় বেদনাময় হাহাকার। তার প্রিয়ার এই বেদনা রানার জানে, তবু তার কিছুই করার থাকে না; কারণ তার কাঁধে অনেক মানুষের কাছে চিঠি পৌছানাের দায়িত্ব।
সারকথা : রানার রাতে প্রিয়ার কাছে না থাকায় রানারের প্রিয়া নিঃসঙ্গ বেদনাময় নিদ্রাহীন রাত কাটায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি রানার কবিতার সঙ্গে রানারের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। আমাদের সমাজে নানা শ্রেণি-পেশার নানা বৈশিষ্ট্যের লােক বাস করে। এসব লােকের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ববােধ সম্পন্ন ইতিবাচক স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের লােক যেমন দেখা যায়, তেমনই নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের লােকও দেখা যায়।
কেউ নির্লোভ জীবনযাপন করে, আবার কেউ আত্মস্বার্থ এবং অর্থ-বিত্তের জন্য লােভী হয়ে ওঠে। উদ্দীপকের কবিতাংশে ক্ষুধা নিবারণের জন্যে অন্যায় পথে পা বাড়ানাের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ক্ষুধার জ্বালায় মানুষের অসৎ হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। ক্ষুধার্ত ব্যক্তি দু’পয়সার জন্য ফন্দি-ফিকিরের আশ্রয় নিতে চায়।
উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত এই দিকটির সঙ্গে ‘রানার কবিতার রানারের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ রানার ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ক্লান্তিতে ক্ষয়ে গেলেও চুরির কথা ভাবে না। প্রতিনিয়ত টাকার বােঝা পিঠে বয়ে নিলেও সে টাকায় রানার লােভ করে না। সে তার দায়িত্বে অবহেলা করে না।
সারকথা : রানার কবিতায় রানার দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হলেও ন্যায়ধর্ম, নীতি-আদর্শকে বিসর্জন দেয় না। উদ্দীপকে ক্ষুধার জ্বালা তা নিবারণে এই নীতি-আদর্শকে বিসর্জন দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখানাে হয়েছে। এই দিকটি পরস্পর বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
আপনি এই পোষ্টে রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে প্রতিফলিত ধনী-গরিবের বৈষম্যের দিকটি ‘রানার’ কবিতার শ্রেণিবৈষম্যের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
সমাজে প্রধানত দুই শ্রেণির লােক বাস করে- ধনী ও দরিদ্র। সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মানুষরা কঠোর পরিশ্রম করেও তাদের মৌল-মানবিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। কারণ ধনিকশ্রেণি গরিবের শ্রমের মূল্য ও মর্যাদা দিতে চায় না। তারা নানাভাবে নিম্নশ্রেণির মানুষকে শােষণ করে।
উদ্দীপকে গরিবের শ্রমের অর্থে ধনীদের ঘর ভরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির শ্রমের মূল্য না দিয়ে ধনিকশ্রেণি তাদের শােষণ করে। ফলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ কঠোর পরিশ্রম করেও দুবেলা খেতে পায় না।
উদ্দীপকের এই বিষয়টি ‘রানার কবিতার দরিদ্র রানারের দুঃখ-দারিদ্র্য এবং শ্রমের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিতায় দেখা যায় অভাবের তাড়নায় রানারের জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ধনিকশ্রেণি যদি দরিদ্র রানারের শ্রমের উপযুক্ত মূল্য দিত তাহলে তাকে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে যেতে হতাে না। রানারের ক্লান্ত, বিষন্ন, দুঃখময় জীবনের কথা প্রকৃতি ছাড়া কেউ মনে রাখে না।
রানার কবিতায় কবি রানারের দুঃখ-দারিদ্রের অসহায় জীবনের দিকটি তুলে ধরেছেন। সেখানে রানার দিন-রাত পরিশ্রম করলেও ক্ষুধার অন্ধকার থেকে মুক্তি পায়নি। এখানে ধনী ও দরিদ্র শ্রেণির যে বৈষম্য প্রতিফলিত হয়েছে তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের দিকটি নির্দেশ করেছে। যেখানে রানার দিন-রাত পরিশ্রম করলেও ক্ষুধার অন্ধকার থেকে মুক্তি পায় না। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ বলা যায়।
সারকথা : ‘রানার কবিতায় নিম্নশ্রেণির মানুষের শ্রম শােষণ এবং তাদের উপযুক্ত মূল্য ও মর্যাদা না দিয়ে যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের দিক থেকে অভিন্ন। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন