লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আপনি যদি ইতিমধ্যে লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

শমসের বহু বছর আগে তার জন্মভূমি ছেড়ে এই সুন্দরপুর অঞ্চলে এসে বসতি গড়েছে। পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে নিঃস্ব ও সহায় সম্বলহীন অবস্থা থেকে শমসের আজ এলাকার বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছে। সে সত্তাবে উপার্জনে বিশ্বাসী। লােক ঠকায় না, বরং জান দিয়ে পরােপকার করে। সবাই জানে সে এক কথার মানুষ। কথা দিয়ে যেমন কথা রাখে তেমনি তার মালপত্র কখনাে খারাপ মানের হয় না। সততার জন্যই সে এত দূর আসতে পেরেছে, জমি-জোত-প্রতিপত্তির মালিক হয়েছে। এলাকায় সকলেই তাকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে।

ক. ‘হা শূন্য’ অর্থ কী?

খ. “নাফরমানি করিও না । খােদার উপর তােয়াক্কল রাখ।”- উক্তিটির তাৎপর্য কী?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শমসের চরিত্রের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোনাে চরিত্রের সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য আছে কি? আলােচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু লালসালু উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি, কেন? বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

পাশাপাশি আরও পড়তে পারেনঃ

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ হা শূন্য’ অর্থ অভাবগ্রস্ত।

খ উত্তরঃ ভণ্ড, প্রতারক ও ধর্মব্যবসায়ী মজিদ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর উদ্দেশে আলােচ্য অংশটুকু বলেছে। 

মহব্বতনগরে প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলে মজিদকে দেখে গ্রামবাসী হাহাকার করে ওঠে। মজিদ এ অবস্থায় তাদেরকে আশ্বাস দেয় আল্লাহই মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

খাদ্যের জোগান দেন। সেজন্য মানুষের উছি। আল্লাহকে স্মরণ করা। আসলে মজিদ বিশ্বাসের কথা বলে মানুষকে উদ্দীপ্ত ও ধর্মভাবাপন্ন করে রাখতে চায়।

সারকথা : শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় গ্রামবাসী হাহাকার করে উঠলে ধর্মব্যবসায়ী মজিদ তাদেরকে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উল্লিখিত শমসের চরিত্রের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্র বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে ভালাে-মন্দ উভয় শ্রেণির মানুষ রয়েছে। কেউ স্বার্থত্যাগ করে অন্যের কল্যাণ করে, আবার কেউ আত্মস্বার্থের জন্য অন্যকে ঠাকায়! কেউ পরিশ্রম করে আত্মনির্ভরতা অর্জন করে, আবার কেউ কৌশলে মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হয়।

উদ্দীপকে পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে সৎপথে এক ব্যক্তির আত্মনির্ভরতা অর্জনের বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে জন্মভূমি ছেড়ে এসে শমসের নামের এক ব্যক্তির সুন্দরপুর অঞ্চলে বসতি গড়া এবং বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করার কথা। বলা হয়েছে। একজন সৎ ব্যবসায়ী এবং ভালাে মানুষ হিসেবে সবার কাছেই সে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।

উদ্দীপকের এই শমসেরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। মজিদ শস্যশূন্য মরার দেশ থেকে ভাগ্যান্বেষণে মহব্বতনগর গ্রামে এসে হাজির হয়। এই গ্রামে এসে সে একটি পুরনাে কবরকে লাল সালুতে আবৃত করে তথাকথিত মােদাচ্ছের পীরের মাজার হিসেবে গড়ে তােলে এবং ধর্মব্যবসায় শুরু করে।

গ্রামের অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধ ধর্মবিশ্বাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে সে অর্থ-বিত্তের মালিক হয়। সে মিথ্যা বলে, খােদার নাম করে লােক ঠকায়। এসব দিক বিচারে উদ্দীপকের শমসের চরিত্রের সঙ্গে উপন্যাসের মজিদ বৈসাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।

সারকথা : উদ্দীপকের শমসের চরিত্রটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের বিপরীত। কারণ সে সৎপথে, পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন ও করেছে। আর মজিদ ধর্মের দোহাই দিয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অশিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ-বিত্ত ও প্রতিপত্তি অর্জন করেছে। এ দিক থেকে তারা দুজন পরস্পর বৈসাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘লালসালু’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি। কারণ এতে ধর্মব্যবসায় করে কৌশলে লােক ঠকানাের মতাে কোনাে ঘটনা নেই। সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে।

তারা ধর্মব্যবসায় করে লােক ঠকিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে এবং আধিপত্য বিস্তার করে। আবার অনেকে আছেন সততার সঙ্গে আয়-রােজগার করে সৎ জীবনযাপন করেন। লালসালু উপন্যাসে মজিদ একজন ধর্মব্যবসায়ী। তার চরিত্রে কুসংস্কার, শঠতা, প্রতারণা, অন্ধবিশ্বাস এবং নারীর প্রতি বিশেষ দুর্বলতার মতাে নেতিবাচক দিকগুলাে লক্ষ করা যায়।

মহব্বতনগর গ্রামের অশিক্ষিত, অসচেতন, অন্ধ ধর্মবিশ্বাসী মানুষের দুর্বলতার সুযােগ নিয়ে মজিদ তার আধিপত্য বিস্তার করে, যা উদ্দীপকের বিষয়বস্তুতে অনুপস্থিত।

উদ্দীপকে একজন ভালাে মানুষের স্বভাব বৈশিষ্ট্য এবং সত্তাবে অর্থ উপার্জন করে জীবনযাপন করার কথা বলা হয়েছে। এখানে শমসের তার আদর্শ দিয়ে মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছে। আর লালসালু উপন্যাসে মজিদ ধর্মের দোহাই দিয়ে লােকদের বােকা বানিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করেছে এবং অন্যকে শাস্তি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে নিজের দুর্বলতা ঢেকে রেখেছে।

লালসালু উপন্যাসে মহব্বতনগর গ্রামের অশিক্ষিত মানুষকে যেভাবে শাসিয়েছে, শাস্তি দিয়েছে এবং আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠাকে ব্যর্থ করে দিয়ে তা অত্যন্ত অমানবিক এবং হীনবােধসম্পন্ন মানুষের পরিচয়।

উদ্দীপকের শমসের চরিত্রে এই দিকটি নেই। সে নিছক ভালাে মানুষ হিসেবেই নিজের জীবন পরিচালনা করেছে। এই দিক থেকে তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বিষয়বস্তু লালসালু’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি।

সারকথা : ‘লালসালু‘ উপন্যাসে মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের মানুষদের বিশ্বাস ও সরলতাকে পুঁজি করে নিজে টাকা-পয়সা ও সম্পত্তির মালিক হয়েছে। । অন্যদিকে উদ্দীপকে শমসের সত্তাবে অর্থ উপার্জন করে সৎ জীবনযাপন করেছে। এ কারণেই উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘লালসালু’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি। উদ্দীপকের শমসেরের কর্মকাণ্ড এবং উপন্যাসের মজিদের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

শমসের বহু বছর আগে তার জন্মভূমি ছেড়ে এই সুন্দরপুর অঞ্চলে এসে বসতি গড়েছে। পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে নিঃস্ব ও সহায় সম্বলহীন অবস্থা থেকে শমসের আজ এলাকার বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছে। সে সত্তাবে উপার্জনে বিশ্বাসী। লােক ঠকায় না, বরং জান দিয়ে পরােপকার করে। সবাই জানে সে এক কথার মানুষ। কথা দিয়ে যেমন কথা রাখে তেমনি তার মালপত্র কখনাে খারাপ মানের হয় না। সততার জন্যই সে এত দূর আসতে পেরেছে, জমি-জোত-প্রতিপত্তির মালিক হয়েছে। এলাকায় সকলেই তাকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে।

ক. ‘হা শূন্য’ অর্থ কী?

খ. “নাফরমানি করিও না । খােদার উপর তােয়াক্কল রাখ।”- উক্তিটির তাৎপর্য কী?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শমসের চরিত্রের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোনাে চরিত্রের সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য আছে কি? আলােচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু লালসালু উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি, কেন? বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।

পাশাপাশি আরও পড়তে পারেনঃ

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ শূন্য’ অর্থ অভাবগ্রস্ত। 

খ উত্তরঃ ভণ্ড, প্রতারক ও ধর্মব্যবসায়ী মজিদ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর উদ্দেশে আলােচ্য অংশটুকু বলেছে। 

মহব্বতনগরে প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলে মজিদকে দেখে গ্রামবাসী হাহাকার করে ওঠে। মজিদ এ অবস্থায় তাদেরকে আশ্বাস দেয় আল্লাহই মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। খাদ্যের জোগান দেন। সেজন্য মানুষের উছি। আল্লাহকে স্মরণ করা। আসলে মজিদ বিশ্বাসের কথা বলে মানুষকে উদ্দীপ্ত ও ধর্মভাবাপন্ন করে রাখতে চায়।

সারকথা : শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় গ্রামবাসী হাহাকার করে উঠলে ধর্মব্যবসায়ী মজিদ তাদেরকে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উল্লিখিত শমসের চরিত্রের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্র বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে ভালাে-মন্দ উভয় শ্রেণির মানুষ রয়েছে। কেউ স্বার্থত্যাগ করে অন্যের কল্যাণ করে, আবার কেউ আত্মস্বার্থের জন্য অন্যকে ঠাকায়! কেউ পরিশ্রম করে আত্মনির্ভরতা অর্জন করে, আবার কেউ কৌশলে মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হয়।

উদ্দীপকে পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে সৎপথে এক ব্যক্তির আত্মনির্ভরতা অর্জনের বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে জন্মভূমি ছেড়ে এসে শমসের নামের এক ব্যক্তির সুন্দরপুর অঞ্চলে বসতি গড়া এবং বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করার কথা। বলা হয়েছে। একজন সৎ ব্যবসায়ী এবং ভালাে মানুষ হিসেবে সবার কাছেই সে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।

উদ্দীপকের এই শমসেরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। মজিদ শস্যশূন্য মরার দেশ থেকে ভাগ্যান্বেষণে মহব্বতনগর গ্রামে এসে হাজির হয়। এই গ্রামে এসে সে একটি পুরনাে কবরকে লাল সালুতে আবৃত করে তথাকথিত মােদাচ্ছের পীরের মাজার হিসেবে গড়ে তােলে এবং ধর্মব্যবসায় শুরু করে।

গ্রামের অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধ ধর্মবিশ্বাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে সে অর্থ-বিত্তের মালিক হয়। সে মিথ্যা বলে, খােদার নাম করে লােক ঠকায়। এসব দিক বিচারে উদ্দীপকের শমসের চরিত্রের সঙ্গে উপন্যাসের মজিদ বৈসাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।

সারকথা : উদ্দীপকের শমসের চরিত্রটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের বিপরীত। কারণ সে সৎপথে, পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন ও করেছে। আর মজিদ ধর্মের দোহাই দিয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অশিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ-বিত্ত ও প্রতিপত্তি অর্জন করেছে। এ দিক থেকে তারা দুজন পরস্পর বৈসাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।

আপনি এই পোষ্টে লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘লালসালু’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি। কারণ এতে ধর্মব্যবসায় করে কৌশলে লােক ঠকানাের

মতাে কোনাে ঘটনা নেই। সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে। তারা ধর্মব্যবসায় করে লােক ঠকিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে এবং আধিপত্য বিস্তার করে। আবার অনেকে আছেন সততার সঙ্গে আয়-রােজগার করে সৎ জীবনযাপন করেন।

লালসালু উপন্যাসে মজিদ একজন ধর্মব্যবসায়ী। তার চরিত্রে কুসংস্কার, শঠতা, প্রতারণা, অন্ধবিশ্বাস এবং নারীর প্রতি বিশেষ দুর্বলতার মতাে নেতিবাচক দিকগুলাে লক্ষ করা যায়। মহব্বতনগর গ্রামের অশিক্ষিত, অসচেতন, অন্ধ ধর্মবিশ্বাসী মানুষের দুর্বলতার সুযােগ নিয়ে মজিদ তার আধিপত্য বিস্তার করে, যা উদ্দীপকের বিষয়বস্তুতে অনুপস্থিত।

উদ্দীপকে একজন ভালাে মানুষের স্বভাব বৈশিষ্ট্য এবং সত্তাবে অর্থ উপার্জন করে জীবনযাপন করার কথা বলা হয়েছে। এখানে শমসের তার আদর্শ দিয়ে মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছে। আর লালসালু উপন্যাসে মজিদ ধর্মের দোহাই দিয়ে লােকদের বােকা বানিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করেছে এবং অন্যকে শাস্তি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে নিজের দুর্বলতা ঢেকে রেখেছে।

লালসালু উপন্যাসে মহব্বতনগর গ্রামের অশিক্ষিত মানুষকে যেভাবে শাসিয়েছে, শাস্তি দিয়েছে এবং আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠাকে ব্যর্থ করে দিয়ে তা অত্যন্ত অমানবিক এবং হীনবােধসম্পন্ন মানুষের পরিচয়। উদ্দীপকের শমসের চরিত্রে এই দিকটি নেই। সে নিছক ভালাে মানুষ হিসেবেই নিজের জীবন পরিচালনা করেছে। এই দিক থেকে তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বিষয়বস্তু লালসালু’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি।

সারকথা : ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের মানুষদের বিশ্বাস ও সরলতাকে পুঁজি করে নিজে টাকা-পয়সা ও সম্পত্তির মালিক হয়েছে। । অন্যদিকে উদ্দীপকে শমসের সত্তাবে অর্থ উপার্জন করে সৎ জীবনযাপন করেছে। এ কারণেই উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘লালসালু’ উপন্যাসের মূলভাবকে ধারণ করেনি। উদ্দীপকের শমসেরের কর্মকাণ্ড এবং উপন্যাসের মজিদের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button