শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। গল্প প্রবন্ধ অবলম্বনে প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয় পাঠকদের সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
শিক্ষাপদ্ধতি ও শিক্ষার উদ্দেশ্য-এর আলােকে প্রণীত আমার বিশ্বাস শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত। আজকের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই। এমনকি এক্ষেত্রে দাতাকর্ণেরও অভাব নেই; এবং আমরা আমাদের ছেলেদের তাদের দ্বারস্থ করেই নিশ্চিত থাকি এই বিশ্বাসে যে, সেখান থেকে তারা এতটা বিদ্যার ধন লাভ করে ফিরে আসবে যার সুদে তার বাকি জীবন আরামে কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু এ বিশ্বাস নিতান্ত অমূলক।
ক. ‘হামেশা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘বেশিরভাগ লােকই যে তিমিরে সে তিমিরেই থেকে যাবে।’- বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ?
ঘ. “ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হলেও উদ্দীপক ও শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের বক্তব্য বিষয় এক।”- এ বিষয়ে মতামত উপস্থাপন কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘হামেশা’ শব্দের অর্থ সবসময় ।
খ উত্তরঃ ‘বেশিরভাগ লােকই যে তিমিরে সে তিমিরেই থেকে যাবে। লাইনটি দিয়ে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য কী উপলব্ধি করতে না পারলে বেশিরভাগ লােক যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যাবে এ বিষয়টি বােঝানাে হয়েছে।
অধিকাংশ লোেকই শিক্ষাকে জীবনধারণের উপায় মনে করে। তারা মনে করে, অর্থসাধনাই জীবনসাধনা। অথচ অর্থসাধনাই জীবনের সব নয়- এ উপলব্ধি না থাকলে মানুষ জীবনে সােনা ফলাতে পারে না। এতে করে বেশিরভাগ মানুষ শিক্ষার সুফল থেকে বঞ্চিত থেকে যায়।
লেখক এ বিষয়টি নির্দেশ করতেই অর্থসাধনাকারীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যাবে।
সারকথা : শিক্ষার আসল কাজ মনুষ্যত্ব অর্জন, অর্থসাধনা নয়। এই বিষয়টি উপলব্ধি না করতে পারলে বেশিরভাগ মানুষ যে অন্ধকারে ছিল। সেই অন্ধকারেই থেকে যাবে ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে আলােচিত শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। | শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মতাে মানুষ হওয়া যায়, মনুষ্যত্ববােধে উদ্দীপ্ত হওয়া যায়। শিক্ষার দুটি দিক- জীবসত্তা ও মানবসত্তা জীবসত্তাকে।
টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করলে জীবনে সফলতা আসে না। তাই মানবসত্তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে শিক্ষা হচ্ছে আত্মার খােরাক। শিক্ষার প্রসারে ব্যক্তির মনে মানবিকতার পরিধি বাড়ে।
অথচ বর্তমানে মানুষ শিক্ষাকে আত্মার খােরাক হিসেবে গ্রহণের পরিবর্তে জৈবিক চাহিদা মেটানাের উপায় হিসেবে দেখছে। ফলে শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। উদ্দীপকেও একই ভাবাদর্শের কথা বলা হয়েছে।
বর্তমানে সবাই মনে করেন যে, সন্তানদের শিক্ষিত করতে পারলে তার উপার্জন করা অর্থে সারা জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানাে যাবে, যা উদ্দীপকের লেখকের উদ্দেশ্য নয়। শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধেও লেখক শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য এবং মানবজীবনের সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক নিয়ে আলােচনা করেছেন। আর উদ্দীপকেও প্রবন্ধের এই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
সারকথা : শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য, মানবজীবনের সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক আলােচিত হয়েছে। উদ্দীপকেও বর্তমানে শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যের অসারতা উপস্থাপিত হয়েছে।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হলেও উদ্দীপক ও শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের বক্তব্য বিষয় এক।” মন্তব্যটির সঙ্গে আমি একমত। মানুষের জীবনের দুটি দিক আছে। একটি হলাে জীবসত্তাকে বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে জৈবিক চাহিদা মেটানাের অপরিহার্য দিক, অন্যটি হলাে মানবসত্তার বিকাশ।
মানবসত্তার জাগরণের জন্য প্রয়ােজন প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ। উদ্দীপকে আজকের বাজারে বিদ্যাদাতার যে অভাব নেই সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বর্তমানের পিতা-মাতারা সন্তানদের। শিক্ষিত করে গড়ে তােলেন স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটানাের নিমিত্তে। এতে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ধরা পড়ে।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধেও লেখক এই একই বিষয় নিয়ে আলােচনা করেছেন। প্রবন্ধে জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উত্তরণের মই হিসেবে শিক্ষাকে নির্দেশ করা হয়েছে। শিক্ষার যেমন প্রয়ােজনীয় দিক আছে, তেমনই অপ্রয়ােজনীয় দিকও আছে।
প্রয়ােজনীয় দিক হলাে অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি আর অপ্রয়ােজনীয় দিক হলাে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানাে। অর্থচিন্তার প্রয়ােজন থেকে মুক্তি পেলে শুরু হবে প্রকৃত শিক্ষা। এখানে পৌছাতে পারলে মানবসত্তায় উপনীত হওয়া যায়।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মতাে উদ্দীপকেও শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, যে শিক্ষা গ্রহণের ফলে মানবতাবােধের বিকাশ ঘটবে সেটাই প্রকৃত শিক্ষা। উদ্দীপকেও একই ভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় উভয়ের বক্তব্য বিষয় এক।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
জগতের কল্যাণ সাধনে মনুষ্যত্ববােধ অর্জনের প্রয়ােজনীয়তা-এর আলােকে প্রণীত মানব-কল্যাণ স্বয়ম্ভু, বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক-রহিত হতে পারে না। প্রতিটি মানুষ যেমন সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত, তেমনি তার কল্যাণও সামগ্রিকভাবে সমাজের ভালাে-মন্দের সঙ্গে সংযুক্ত। আসল কথা, মানুষের মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে স্রেফ তার জৈব অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল এ ধরনের মানব-কল্যাণ কিছুমাত্র ফলপ্রসূ হতে পারে না। এহেন মানবকল্যাণের কুৎসিত ছবি দেখার জন্য দূরদূরান্তে যাওয়ার প্রয়ােজন নেই, আমাদের আশে-পাশে, চারদিকে তাকিয়ে দেখলেই তা দেখা যায়।
ক. মােতাহের হােসেন চৌধুরী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
খ. শিক্ষা দ্বারাই জীবনের উন্নয়ন সম্ভব কীভাবে ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মনুষ্যত্ব অর্জনের শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা”- মন্তব্যটি উদ্দীপক ও শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলােকে বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনক উত্তরঃ মােতাহের হােসেন চৌধুরী ১৯৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
খ উত্তরঃ শিক্ষালাভের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে এবং মানুষের অন্ন-বস্তু সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে ওঠে। তাই শিক্ষা দ্বারাই জীবনে উন্নয়ন সম্ভব। কোনাে ভারী জিনিসকে উপরে তুলতে হলে তাকে নিচ থেকে ঠেলতে হয়, আবার উপর থেকে টানতেও হয়।
মানব উন্নয়নের ব্যাপারে শিক্ষা সেই উপর থেকে টানা আর সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা নিচ থেকে ঠেলা। নিচের ঠেলা ছাড়াও জিনিস উপরে উঠানাে যায়। তেমনি আপ্রাণ প্রচেষ্টার ফলে শিক্ষা দ্বারাই জীবনের উন্নয়ন সম্ভব।
শিক্ষা মানুষকে মূল্যবােধ লাভ করতে সাহায্য করে, আবার অন্ন-বস্ত্রের সমস্যার সমাধান সহজ করে দেয়। অর্থাৎ শিক্ষা দ্বারা মানুষের মানবসত্তার উন্নয়ন ঘটে। মানবসত্তার উন্নয়ন ঘটলে জীবসত্তারও উন্নয়ন ঘটে।
সারকথা : শিক্ষার আসল কাজ হলাে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানাে এবং শিক্ষা দ্বারাই মানুষের অন্ন-বস্ত্রের সমস্যার সমাধান সহজ হয় তাই শিক্ষার দ্বারাই জীবনের উন্নয় সম্ভব।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মানবকল্যাণের জন্য মনুষ্যত্ববােধ অর্জনের দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন মনুষ্যত্ব। মানুষ শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব অর্জন করে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। মনুষ্যত্ববােধসম্পন্ন মানুষ দ্বারা সুন্দর ও সুশৃঙ্খল মানব সমাজ গড়ে ওঠে।
উদ্দীপকে মনুষ্যত্বহীন হয়ে শুধু অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াকে নিন্দা করা হয়েছে। কারণ মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে মানবকল্যাণের লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। এখানে মনুষ্যত্বের যে গুরুত্ব নির্দেশ করা হয়েছে তা ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত মনুষ্যত্বের গুরুত্বের বিবেচনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
লেখক প্রবন্ধে বলেছেন যে, শিক্ষার আসল কাজ মূল্যবােধ সৃষ্টি বা মনুষ্যত্ব অর্জন করা। শিক্ষা মানুষের মানবিক বােধগুলােকে জাগিয়ে তােলে। মনুষ্যত্ববােধ জাগ্রত না হলে মানুষের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।
উদ্দীপকেও এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। মনুষ্যত্বের বিকাশ না ঘটলে মানবকল্যাণ সাধিত হয় না। মনুষ্যত্বহীন লােকের দ্বারা মানবকল্যাণের রূপ অত্যন্ত কুৎসিত হয়। তাকে প্রকৃত মানবকল্যাণ বলা যায় না।
সারকথা : ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জন করার যে কথা বলেছেন সেটি উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রকৃত মানবকল্যাণ সাধনের ক্ষেত্রে মনুষ্যত্বকে বাদ না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আপনি এই পোষ্টে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “মনুষ্যত্ব অর্জনের শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা মন্তব্যটি উদ্দীপক এবং শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের ক্ষেত্রে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।
শিক্ষা মানুষের সার্বিক উন্নতি সাধন করে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের আত্মার মুক্তি ঘটে এবং আত্মপ্রকাশের সুযােগ লাভ করা যায়। জীবসত্তা থেকে মানুষের মানবসত্তায় উত্তরণের পথ হলাে শিক্ষা। শিক্ষার আলােয় হৃদয় আলােকিত হয়, মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জন করে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মানুষ মনুষ্যত্বের স্বাদ পায় না।
মনুষ্যত্বের অভাবে মানুষ শিক্ষিত হয়েও অন্ধকারেই থেকে যায়। উদ্দীপকে মনুষ্যত্বের দিকটি গুরুত্ব পেয়েছে। এই দিকটির অভাবে সমাজে অশান্তি ও অকল্যাণ বিরাজ করে। মনুষ্যত্বহীন ব্যক্তির দ্বারা, সমাজ ও মানুষের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব হয় না।
এখানে মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে স্রেফ জৈব অস্তিত্বের যে মূল্য নেই সেই দিকটি নির্দেশ করা হয়েছে। উদ্দীপকের এই বিষয়টি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে আলােচিত মনুষ্যত্ব অর্জনের গুরুত্বের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকে মনুষ্যত্বহীন মানবকল্যাণকে প্রকৃত কল্যাণ নয় বলে বক্তব্য রয়েছে।
এ বিষয়টি প্রবন্ধের অর্থের নিগড়ে বন্দি থাকাই জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নয় প্রসঙ্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। “শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক দুটি সত্তার কথা বলেছেন। এগুলাের একটি জীবসত্তা, অন্যটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। শিক্ষার মাধ্যমে এই মনুষ্যত্ব অর্জিত হয়। তবে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মনুষ্যত্ব অর্জিত হয় না।
উদ্দীপকেও প্রকৃত কল্যাণের জন্য মনুষ্যত্বের কথা বলা হয়েছে, যা প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে মানবিক করে মানবকল্যাণে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। শিক্ষা ও মুনষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানবিক বােধসম্পন্ন মানুষের প্রত্যাশা করেছেন। উদ্দীপকেও এর প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মনুষ্যত্ব অর্জিত হয় না। উদ্দীপকেও মানবকল্যাণে মনুষ্যত্ব বােধসম্পন্ন মানুষের এগিয়ে আসাকে প্রকৃত মানবকল্যাণ বলা হয়েছে। এদিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন