আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
ব্রিটিশ বিচারক কিংসফোর্ড যখন ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীদের কারণে অকারণে শাস্তি দিচ্ছিলেন তখন তাকে মারার ব্যর্থ। চেষ্টা করেন ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী। কিংসফোর্ডের গাড়িতে বােমা মারতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পথে আটক হন ক্ষুদিরাম। তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয় ১১ আগস্ট ১৯০৮ খ্রি.। ক্ষুদিরামের পক্ষের আইনজীবী উপেন্দ্রনাথের ভাষ্যমতে, “ফাঁসির মঞ্চে ক্ষুদিরাম নির্ভীকভাবে উঠে যান। তাঁর মধ্যে কোনাে ভয় বা অনুশােচনা কাজ করছিল না। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন।”
ক. আঠারাে বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
খ. আঠারাে বছর বয়স দুঃসহ কেন?
গ. এ বয়সে ‘বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় উঁকি’– তা উদ্ধৃতাংশে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? তুলে ধর।
ঘ. ‘এ দেশের বুকে আঠারাে আসুক নেমে’। কবির এ আশাবাদের যৌক্তিকতা উদ্দীপক ও কবিতার আলােকে বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
পাশাপাশি আরও পড়তে পারেনঃ
প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতাটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
খ উত্তরঃ আঠারাে বছর বয়স দুঃসহ হওয়ার কারণ এই বয়স মানবজীবনের উত্তরকালীন পর্যায়।
আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি আঠারাে বছর বয়সের বৈশিষ্ট্য ও ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। এই বয়সে মানুষ কৈশাের থেকে যৌবনে পদার্পণ করে। এই সময় অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে মানুষ আত্মনির্ভরতার কথা ভাবে। যা তাকে এক দুঃসহ পরিস্থিতির সম্মুখীন করে । এই কারণে কবি আঠারাে বছর বয়সকে দুঃসহ বলেছেন।
‘সারকথা : আঠারাে বছর বয়স মানবজীবনের উত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় পরনির্ভরতা ছেড়ে আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে হয় বলে এই বয়স দুঃসহ।
গ উত্তরঃ এ বয়সে ‘বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় উঁকি আঠারাে বছর তা উদ্ধৃতাংশে অভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
আঠারাে বছর বয়স মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই সময় তরুণদের মধ্যে অপরিমেয় যৌবনশক্তি ও প্রবল সাহস বিদ্যমান থাকে। অন্যায়-অত্যচারের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদী প্রাণ। এই বয়সেই তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ায়, ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই করার শপথ নেয়।
‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি আঠারাে বছর বয়সের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে শেখে । এই বয়সেই তরুণরা নিজেদের পায়ে দাঁড়ানাের প্রস্তুতি নেয়। এই সময় তরুণদের সামনে নানা পথ থাকে। তারা স্বাধীনভাবে চলার জন্য উদ্যোগী হয়। তাই ভুল করার ঝুঁকিও থাকে অনেক বেশি।
কারণ তাদের মনের মধ্যে দুঃসাহসেরা উঁকি দেয়। তারা ভাবে, সবকিছুই সহজে করা সম্ভব। এমন চিন্তা-ভাবনা থেকে তাদের অনেক সময় দুঃসহ অবস্থায় পড়তে হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত ক্ষুদিরামও একজন আঠারাে । বছর বয়সের তরুণ ছিলেন । তিনি ব্রিটিশদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দ্বিধা করেননি।
তাঁর এই দুঃসাহসের ফলে। ফাসি হলেও তিনি ছিলেন নির্ভীক। এদিক থেকে প্রশ্নের উদ্ধৃতাংশের সাথে উদ্দীপকের মিল রয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপকের উধৃতাংশে আঠারাে বয়সের তরুণের দুঃসাহসের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এই দিকটি আঠারাে বছর বয়স’ কবিতার তারুণ্যের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ এ দেশের বুকে আঠারাে আসুক নেমে ।’- কবির এ আশাবাদের যৌক্তিক প্রতিফলন ঘটেছে আলােচ্য উদ্দীপকে।
তারুণ্যশক্তি কোনাে বাধা মানে না। তরুণরা দেহ ও মনের জরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যায়। তারা দুর্লঙ্ঘ পর্বত, বিপদসংকুল পথ পার হয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে চায়। ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এদেশের বুকে আঠারাে নেমে আসার প্রত্যাশা করেছেন।
কবি আশা করেন, এই বয়সের তরুণরা এই দেশটাকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তুলবে। অত্যাচার, উৎপীড়ন প্রতিহত করবে। তরুণরা মহৎ সৃষ্টির আনন্দে উদ্বেলিত হবে। উদ্দীপকেও আঠারাে বছর বয়সী তরুণের অদম্য সাহসের দিক তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তরুণ ক্ষুদিরাম ব্রিটিশ বিচারকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন তাকে হত্যা করতে বােমা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও শােষকের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। উক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁর তারুণ্যশক্তি যে মাথা নােয়ানাের নয় সেই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
কবি তাঁর আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় তারুণ্যের জয়গান গেয়েছেন এবং আঠারাে যেন এদেশের বুকে আবার ফিরে আসে সেই আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন। কবির এই আশারই প্রতিধ্বনি যেন উদ্দীপকে বর্ণিত ক্ষুদিরাম।
সারকথা : আঠারাে বছর বয়সে তরুণরা আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে স্বাধীনভাবে কাজে আত্মনিয়ােগ করে এবং সমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে; কারও = কাছে মাথানত করে না। উদ্দীপক ও ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় এই বিষয়টি অভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
পাশাপাশি আরও পড়তে পারেনঃ
প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে সুইডেনের পার্লামেন্টের বাইরের দেয়ালে হেলান দিয়ে জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট’ কথাটি গলায় ঝুলিয়ে একাই যে মেয়েটি বসে। থাকত তার নাম গ্রেটা থুনবার্গ। ১৬ বছর বয়সী গ্রেটা এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী, যারা ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকরতম দিকটি প্রত্যক্ষ করবে। তাই সে জলবায়ু রক্ষার জন্য ভবিষ্যতের জন্য শুক্রবার’ শিরােনামে স্কুল ধর্মঘটের ডাক দেয়! জলবায়ু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আটলান্টিক সাগরও পাড়ি দেয় গ্রেটা। সম্প্রতি তার জলবায়ু রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে ১৫০টি দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ একাত্মতা ঘােষণা করে এই পৃথিবীকে বাসযােগ্য করার জন্য।
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্য সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থটির নাম কী?
খ. এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রেটা থুনবার্গের ‘ভবিষ্যতের জন্য শুক্রবার আন্দোলনটির সঙ্গে আঠারাে বছর বয়স’ কবিতার “বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি” চরণটি কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? তা আলােচনা কর।
ঘ. তারুণ্যশক্তিই পারে জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়াতে’– উদ্দীপক ও ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতার আলােকে তােমার মতামত তুলে ধর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থটির নাম ‘আকাল।
খ উত্তরঃ ‘এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’ বলতে আঠারাে বছর বয়সের নেতিবাচক প্রভাবে তরুণদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার বিষয়টি বােঝানাে হয়েছে। ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় বিপ্লবী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য আঠারাে বছর বয়সের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা জটিলতা অতিক্রম করতে হয়। তাছাড়া যেকোনাে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যও এই বয়স যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই সমূহ বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও এই বয়সে বেশি। তাই এই সময় সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে পদস্খলন হতে পারে। জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসার সম্ভবনা থাকে।
সারকথা : আঠারাে বছর বয়সে মানুষ আত্মনির্ভরতা অর্জন করে এবং স্বাধীনভাবে চলতে চায়। এই সময় বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক নানা মন্ত্রণা তাদের কানে আসে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রেটা থুনবার্গের ভবিষ্যতের জন্য শুক্রবার আন্দোলনটির সঙ্গে ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতার “বিরাট দুঃসাহসেরা দেয়। যে উঁকি” চরণটি চেতনাগতভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আঠারাে বছর বয়সের তরুণরা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা নতুন শপথে বলীয়ান হয়। যৌবনের উন্মাদনায় তারা সব বাধা অতিক্রম করে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যায়। উদ্দীপকে ষােলাে বছরের এক তরুণীর পরিবেশ তথা জলবায়ুর রক্ষার আন্দোলনের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
গ্রেটা থুনবার্গ নামের এই তরুণী ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে সুইডেনে জলবায়ু রক্ষার আন্দোলন শুরু করে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর দিকটির কথা বিবেচনা করে সে ‘ভবিষ্যতের জন্য শুক্রবার’ নামে স্কুল ধর্মঘটের ডাক দেয়। তার ডাকে বিশ্বের ১৫০টি দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ একাত্মতা ঘােষণা করে।
উদ্দীপকের গ্রেটা গুনবার্গের মতাে আঠারাে বছর বয়স’ কবিতার তরুণরাও অসাধ্য সাধন করতে পারে। কবি এখানে এই বয়সের তরুণদের দীপ্ত চেতনার কথা বলেছেন। তারা অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে চলার ঝুঁকি নেয়।
নানা উদ্যোগ, দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা এই বয়সের তরুণদের মনকে ঘিরে ধরে। এই বয়সের তরুণরাই জগতে বড় বড় কাজ সম্পন্ন করছে। এভাবে উদ্দীপকে গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে আঠারাে বছর বয়স’ কবিতার তরুণদের চেতনাগত সাদৃশ্য বিদ্যমান।
সারকথা : উদ্দীপকে গ্রেটা থুনবার্গের তারুণ্যদীপ্ত কর্মকাণ্ডের বিষয়টি আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় প্রতিফলিত তরুণদের তারুণ্যশক্তি ও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আপনি এই পোষ্টে আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “তারুণ্যশক্তিই পারে জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়াতে।”- মন্তব্যটি যথার্থ।
মানবজীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সময় হচ্ছে তারুণ্য। এই সময় মানুষ পরনির্ভরতা থেকে মুক্তি পেতে চায় এবং আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে চায়। অধিকার সচেতন হয়ে ওঠে এবং পরাধীনতা থেকে স্বাধীন হতে চায়। দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য যুগে যুগে আঠারাে বছর বয়সের তরুণরাই এগিয়ে এসেছে।
উদ্দীপকে ভবিষ্যতের ভাবনায় তারুণ্যের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। এখানে জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ঠেকাতে গ্রেটা গুনবার্গের চেষ্টার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। তার মধ্যে তারুণ্যের প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটেছে।
সে জলবায়ু রক্ষায় ‘ভবিষ্যতের জন্য শুক্রবার’ শিরােনামে স্কুল ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বিশ্বের ১৫০টি দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এসব দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ তার মতের সঙ্গে একমত হয়েছে। আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায়ও কবি তারুণ্যের জন্য এই বয়সের তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অনুরূপ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকেও তারুণ্যের সেই চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি অসীম সাহসী তরুণদের সমস্ত দুর্যোগ-দুর্বিপাক মােকাবিলা করে কল্যাণ সাধনের প্রাণশক্তির কথা বলেছেন। তারা অদম্য দুঃসাহসে সব বাধাবিপত্তি পার হয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
তারা অধিকারের জন্য দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রামের পথ বেছে নেয়। এই বয়সের সংগ্রামীরাই অকাতরে রক্ত দিয়ে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়, মানবকল্যাণে আত্মনিয়ােগ করে।
উদ্দীপকের গ্রেটা থুনবার্গও এই চেতনায় মানবকল্যাণ সাধনে জলবায়ু রক্ষায় আন্দোলন শুরু করেছে। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
সারকথা : জাতির উন্নতি, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য তরুণরা রক্তমূল্য দিতেও পিছপা হয় না। দেশ ও জনগণের অধিকারের জন্য তারা জীবন। বাজি রেখে সামনে এগিয়ে যায়। উদ্দীপক ও ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় এই দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন