অপরিচিতা গল্পের নামকরণের সার্থকতা কি তা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুসন্ধান করে থাকেন অপরিচিতা গল্পের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করো এ প্রশ্নের উত্তর কি হতে চলেছে তা জানার জন্য তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জেনে নিন।
অপরিচিতা গল্পের নামকরণের সার্থকতা
‘অপরিচিতা’ গল্পের নামকরণ গল্পের নায়ক অনুপমের একটি উক্তির ওপর নির্ভর করে করা হয়েছে। উক্তিটি হচ্ছে- “ওগাে অপরিচিতা, তােমার পরিচয়ের শেষ হইল না, শেষ হইবে না; কিন্তু ভাগ্য আমার ভালাে, এই তাে আমি জায়গা পাইয়াছি।” গল্পের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণে ‘অনুপমের কাছে কল্যাণী অপরিচিতাই রয়ে গেল এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
অনুপম এমএ পাস করেছে কিন্তু মা আর মামার আদেশ-নির্দেশ না মানার মতাে মানসিক শক্তি তার তৈরি হয়নি। তার বিয়ের ব্যাপারে দেখাশুনা, কথাবার্তা সব তারাই করছেন, অনুপমের কোনাে ভূমিকা নেই। যথাসময়ে সে বরবেশে কানপুর যায়। সেখানে মামার আচরণে অপমানিত বােধ করে কনের বাবা বরপক্ষকে খাবার খাইয়ে বিদায় করে দেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনবিয়ে ভেঙে যায়। কনে অপরিচিতাই রয়ে যায় অনুপমের কাছে। বছর খানেক পর মাকে নিয়ে ট্রেনে তীর্থে যাওয়ার সময় একজন বাঙালি মেয়ের মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠে ‘এখানে জায়গা আছে’ শুনে মুগ্ধ হয়ে গেল। গাড়ি বদলের সময় আবার সেই কণ্ঠের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাকে নিয়ে কামরায় উঠে যায় অনুপম।
আপনাকে একটু থামাচ্ছি পাঠক সাহেব। আপনি বর্তমানে আমাদের সাইটে অপরিচিতা গল্পের নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কে পড়তেছেন। আপনার পাঠ্য সম্পর্কিত আরো আরো আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমাদের সাইটে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে শেষ করে নেওয়া যাক।
সহজ স্বচ্ছন্দ হাসি-খুশি সুন্দর মেয়েটিকে দেখে তার মা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকেন। কানপুরে নেমে যাওয়ার আগে মা তাকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন সে-ই ডাক্তার শম্ভুনাথ সেনের মেয়ে কল্যাণী, যার সঙ্গে অনুপমের বিয়ে হতে গিয়েও হয়নি।
কল্যাণী ও শম্ভুনাথ বাবুর কাছে অনুপম বিগত ঘটনার জন্য হাত জোড় করে ক্ষমা চাইল। শম্ভুনাথ সেনের মন নরম হলেও কল্যাণী স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সে প্রতিজ্ঞা করেছে যে, বিয়ে করবে না। অনুপম কল্যাণীকে ছাড়েনি, সে কানপুরে চলে এসেছে, কল্যাণীর সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়, এটা ওটা কাজও সে করে দেয়।
কল্যাণীর বাবা তাকে ক্ষমা করেছেন। কিন্তু কল্যাণী প্রতিজ্ঞা করেছে সে বিয়ে করবে না। অনুপম চার বছর ধরে কল্যাণীর বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যায়। কারণ ট্রেনের কামরা থেকে শােনা মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠ ‘এখানে জায়গা আছে আজও তার হৃদয়ে অম্লান।
অপরিচিতার সেই কণ্ঠই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যদিও কল্যাণী তার কাছে অপরিচিতাই রয়ে গেছে। কাজেই বিষয়বস্তুর আলােকে অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতপূর্ণ ‘অপরিচিতা’ নামটিই গল্পের নামকরণ হিসেবে যথার্থ হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে অপরিচিতা গল্পের নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন