আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আপনি যদি ইতিমধ্যে আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

স্তবক ১:  সবারে বাসিব ভালাে, করিব না আত্মপর ভেদ।
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের মাঝে কভু রবে না বিচ্ছেদ
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।

স্তবক ২: ধনী বলছে আরও ধন দাও,
ভিখারি বলছে আরও ভিক্ষা দাও,
পেটুক বলছে আরও খাবার দাও।
শুধু দাও আর দাও।

ক. সারা দিনের পরিশ্রমেও কী খুঁজে পায় না?

খ. নির্ভাবনায় মানুষের ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকে স্তবক ১-এর ভাবার্থ ‘আশা’ কবিতার যে দিকটি ইঙ্গিত করে তা বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে স্তবক ২-এর বক্তব্য আশা’ কবিতার কবির প্রত্যাশার বিপরীত সত্তারই প্রকাশ”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা যাচাই কর। 

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ সারা দিনের পরিশ্রমেও একটি দিনের আহার্য-সঞয় খুঁজে পায় না।

খ উত্তরঃ নির্ভাবনায় মানুষের ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি বিত্ত-বৈভব অর্জনের দুর্ভাবনাহীন, লােভ-লালসাহীন সুখী জীবনকে বুঝিয়েছেন।

সাধারণত যেসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মানুষ নিজেদের সুখী বলে দাবি করে, ‘আশা’ কবিতার কবি তা করেন না। কবির মতে তারা প্রকৃত সুখী মানুষ নয় । কারণ তারা যেভাবে সুখী হতে চায়, তা যথার্থ উপায় নয়। তারা নির্ভাবনায় ঘুমাতে পারে না। কবির মতে সংসারে যারা সােনা-রুপার পাহাড় জমানাের ভাবনায় নিঘুম না থেকে অল্পে তুষ্ট থাকে তারাই প্রকৃত সুখী। কারণ তারা ভাঙা বেড়ার ঘরেও নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে যেতে পারে। নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি এ বিষয়টিই বুঝিয়েছেন।

সারকথা : নির্ভাবনায় মানুষের ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি বিত্ত-সুখের চিন্তায় আয়ু না কমিয়ে নিজের যা আছে তা নিয়ে তুষ্ট থাকাকে বুঝিয়েছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে স্তবক ১-এর ভাবার্থ ‘আশা’ কবিতার পরােপকারী মনােভাবের দিকটিকে ইঙ্গিত করে। পরােপকার একটি মহৎ গুণ। পরােপকারী মনােভাব মানুষকে মহৎ করে। মানুষ যখন মানবকল্যাণে আত্মনিয়ােগ করে তখন তার জীবন সার্থকতা লাভ করে।

আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যারা নিঃস্বার্থ, পরােপকারী মহৎ মানুষ ।। উদ্দীপকের স্তবক ১-এর কবিতাংশে নিজের স্বার্থ তথা লাভের চিন্তা না করে অন্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার কথা বলা হয়েছে। কবি এখানে সবার সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে চেয়েছেন।

সবাই মিত্র ভেবে ভালােবেসে সংসারে এক নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি তৎপর হয়েছেন। উদ্দীপকের কবির এই ভাবটি ‘আশা’ কবিতায় প্রতিফলিত কবির প্রকৃত সুখ প্রত্যাশার ভাবনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিও এখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদহীন, পরস্পরের প্রতি গভীর ভালােবাসা ও বন্ধনের সমাজ গড়ে তুলতে চেয়েছেন। সেখানে মানুষ বিত্ত-বৈভবের আশায় না থেকে অল্পে তুষ্ট থাকবে এবং পরস্পরকে ভালােবাসার মাধ্যমে প্রকৃত সুখের সন্ধান করবে।

সারকথা : অর্থ-বিত্ত দিয়ে মানুষে মানুষে পার্থক্য না করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে নির্লোভ জীবনযাপনের যে প্রত্যাশা ‘আশা’ কবিতায় কৰি যা করেছেন তার সঙ্গে উদ্দীপকের স্তবক-১ এর ভাবার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ কবি এখানে সবাইকে মিত্র ভাবার কথা বলেছেন।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকে স্তবক ২-এর বক্তব্য ‘আশা’ কবিতার কবির প্রত্যাশার বিপরীত সত্তারই প্রকাশ”- মন্তব্যটি যথার্থ।

মানুষের জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে প্রত্যাশা বেশি। জগৎ সংসারে যে যত পায় সে তত চায়। এই প্রত্যাশার অন্ত নেই। অতিরিক্ত সুখের প্রত্যাশা কখনই জীবনে সুখ বয়ে আনে না। যে কেবল বিত্তসুখের সন্ধান করে সে প্রকৃত সুখী নয়।। উদ্দীপকে স্তবক ২-এর মানুষের অন্তহীন প্রত্যাশার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।

এখানে প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষ যে প্রাপ্তি অপেক্ষা বেশি প্রত্যাশা করে সেই দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে যে সত্তার প্রকাশ ঘটেছে তা আশা’ কবিতায় কবির প্রত্যাশার বিপরীত। কারণ কবি অল্পে তুষ্ট থেকে নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে যে সুখ অনুভব করার কথা বলেছেন, উদ্দীপকে স্তবক ২-এর মূলভাব তার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

কবির মতে জীবনে সুখী হতে চাইলে বিত্ত-বৈভব অর্জনের লােভ ত্যাগ করে মানুষকে ভালােবেসে মনুষ্যত্ব অর্জন। করতে হবে এবং অল্পে তুষ্ট থাকতে হবে। স্তবক ২-এ এই বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেনি। ‘আশা’ কবিতায় কবি তাদেরই প্রকৃত সুখী মানুষ বলেছেন, যারা জীর্ণ বেড়ার ঘরেও রাতে নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে যেতে পারে।

প্রকৃত সুখী মানুষের মধ্যে সােনা-রুপার পাহাড় গড়ার প্রবণতা থাকে না। কিন্তু উদ্দীপকে স্তবক ২-এ সেই প্রবণতা বিদ্যমান। এ কারণেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায় ।।

সারকথা : উদ্দীপকের স্তবক ২-এর বক্তব্য হচ্ছে যার যত আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট না থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা করা এবং অতৃপ্ত থাকা। এটি  ‘আশা’ কবিতার কবির প্রত্যাশার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ কবি এখানে যার যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে বলেছেন আর অল্পে তৃপ্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

পৈতৃক সম্পত্তির বৈভবে মানুষ আলস্য জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সমাজ-সংসারের প্রতি হয়ে ওঠে উদাসীন। ফলে সাধ্যের চেয়ে আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে এবং অশান্তি বিরাজ করে। পক্ষান্তরে গরিব মানুষ দিনে এনে দিনে খেয়েও অল্পতে তুষ্ট থেকে সাংসারিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে।

ক. নির্ভাবনায় মানুষেরা কেমন বেড়ার ঘরে ঘুমিয়ে থাকে?

খ. কবি কোন জগতের কান্না-হাসির অন্তরালে হারাতে চান? বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আশা’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘অল্পতে তুষ্ট থাকলে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়’ উদ্দীপক ও ‘আশা’ কবিতার আলােকে যুক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ নির্ভাবনায় মানুষেরা জীর্ণ বেড়ার ঘরে ঘুমিয়ে থাকে।

খ উত্তরঃ প্রতিবেশীর আঁধার ঘরে আলাে জ্বালতে কবি চিন্তাবিহীন জগতে কান্না-হাসির অন্তরালে হারাতে চান। 

‘আশা’ কবিতায় কবি মানুষের জীবনের ক্রমবর্ধমান জটিলতাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষেরা যা রােজগার করে তা দিয়ে কোনাে রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকে।

তারা সমাজে অবহেলিত, নিগৃহীত হলেও তাদের এ নিয়ে কোনাে আক্ষেপ নেই। তারা সম্পদ বাড়ানাের চিন্তায় ঘুম হারাম করে না, সােনা-রুপার পাহাড়ও বানাতে চায় না। এসব ভাবনা থেকে দূরে থাকে বলে তারা ভালাে থাকে এবং সুখে দিন কাটায়। তাই কবি এসব মানুষের মাঝে হারিয়ে যেতে চান। তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার অন্তরালে নিজেকে লুকাতে চান।

সারকথা : শ্রমজীবী মানুষেরা নিশ্চিন্ত থাকে বলে তারা সবচেয়ে সুখী মানুষ। আর কবি তাদেরই একজন হয়ে থাকতে চান।

গ উত্তরঃ নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার দিক দিয়ে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার সাদৃশ্য বিদ্যমান। অনেক অর্থ-বিত্তের মধ্যে কোনাে সুখ নেই। অল্পে তুষ্ট থাকার মধ্যেই সুখ। অনেকেই অন্যের দুঃখ দুর করার জন্য নিজে কষ্ট স্বীকার করেন, তারাই প্রকৃত সুখী।

আবার অঢেল ধনসম্পদ না থাকলেও অল্প আয়ের মানুষ নিজেদের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে। উদ্দীপকে অঢেল বিত্ত-বৈভব মানুষকে অলস করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থসম্পদ মানুষকে অলস করে বলে তারা জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পায় না, সুখের সন্ধানও পায় না।

অন্যদিকে যারা কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করে, দিন এনে দিন খায় তারা মনের দিক থেকে অনেক বেশি সুখী। কেননা তাদের অঢেল সম্পদের দুশ্চিন্তা নেই, কিছু হারানাের ভয় নেই। আশা’ কবিতায়ও কবি এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন।

কবি বলেছেন যে, সম্পদের পাহাড় গড়া মানুষেরা সুখের চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না, আর বিত্তের পেছনে না ছােটা মানুষ অবলীলায় সুখী-সুন্দর জীবনযাপন করে। তারা নির্বিঘ্নে ঘুমায়।

সারকথা : উদ্দীপকে নিজের যা কিছু আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টি ‘আশা’ কবিতায় অল্পে তুষ্ট থাকার পক্ষে  কবির মতামতের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

আপনি এই পোষ্টে আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ অল্পতে তুষ্ট থাকলে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়’- উদ্দীপক ও ‘আশা’ কবিতার আলােকে যুক্তিটি নিচে বিশ্লেষণ করা হলাে : পরিশ্রমের মাঝেই জীবনের সার্থকতা। মিথ্যা সুখের কল্পনা করে কাজ না করলে জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ জীবনের সঙ্গে।

সংগতিহীন স্বপ্ন-কল্পনা মানুষের সাফল্যের অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। উদ্দীপকে সুখের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধনীর সন্তানেরা বিত্ত-বৈভবে নিমগ্ন থাকে, তাই সংসারে তাদের কোনাে মন থাকে না। এই অতিপ্রাপ্তিই জীবনের প্রকৃত অর্থ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন রাখে। তারা কেবল আকাঙ্ক্ষার পেছনে ছােটে— সুখের খোজ তারা জানে

অন্যদিকে অল্প আয়ের মানুষেরা সামান্য আয়েই তুষ্ট। কারণ তাদের জীবনের আকাঙ্ক্ষা অনন্ত নয়। তারা অল্পকিছু নিয়ে ভালাে থাকতে চায় অন্যের ঘরে আলাে জ্বালে। আশা কবিতায়ও কবি এই সত্যকে উন্মােচিত করেছেন। গতানুগতিকভাবে অর্থসম্পদ নিয়ে সখী হওয়ার চেষ্টায় যে অন্তঃসারশূন্যতা তা তিনি তুলে ধরেছেন।

বিত্ত-বৈভবের চিন্তা ও দুর্ভাবনায় সুখী হওয়ার পরিবর্তে মানুষ। দুঃখকে ডেকে আনছে। যার ফলে কমে যাচ্ছে তার আয়ু। অন্যদিকে সারা দিন যারা হাড় ভাঙা খাটুনি খাটে, তারা বিছানায় গা এলিয়ে দিলে পরম নিশ্চিন্তে নিদ্রা যায়। কারণ তাদের জীবনে চাওয়া-পাওয়া খুব ক্ষুদ্র, তাদের হারানাের কিছুই নেই।

সুখ একটি আপেক্ষিক বিষয় হলেও প্রকৃত সুখ মানবজীবনের কিছু মৌলিক বিষয়ে নিহিত। এর একটি হলাে আত্মতুষ্টি, নিজের যা আছে তাই নিয়ে ভালাে থাকা। বেশি কিছু চাইলে চাওয়ার শেষ আর কখনাে হয় না। আর যারা অল্পতে তুষ্ট তাদের চাহিদা সীমিত এবং এতেই তারা নিজেদের সুখ মনে করে।

সারকথা : ‘আশা’ কবিতায় কবি বিত্তসুখের দুর্ভাবনায় আয়ু না কমিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার কথা বলেছেন এবং নিজের যা কিছু আছে তা নিয়ে ; সন্তুষ্ট থাকতে বলেছেন। উদ্দীপকেও অধিক সুখের প্রত্যাশা না করে অল্পে তুষ্ট থাকার অধিক সুখের প্রত্যাশা না করে অল্পে তুষ্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে বিত্তসুখের আশা না করে মানবকল্যাণে আত্মনিয়ােগ করে এবং অল্পে তুষ্ট থেকে প্রকৃত সুখের সন্ধান করতে বলা হয়েছে।

প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button