বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022

আপনি যদি ইতিমধ্যে বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুরবেলার অক্ত বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়? বরকতের রক্ত? প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী আমায় নেবে সঙ্গে বাংলা আমার বচন, আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।

ক. কবি আবদুল হাকিম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

খ. কবি আবদুল হাকিমের বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করার কারণ কী বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে বঙ্গবাণী’ কবিতার মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি উভয়ের চেতনা একই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ কবি আবদুল হাকিম ১৬৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

খ উত্তরঃ কবি আবদুল হাকিমের বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করার প্রধান কারণ বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর গভীর ভালােবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ।

কবি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালােবাসা প্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন আরবি-ফারসি ভাষার প্রতি তাঁর কোনাে বিদ্বেষ নেই।

কবি মনে করেন, যে ভাষা জনসাধারণের বােধগম্য নয়, যে ভাষায় অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় করা যায় না, সেসব ভাষার লােকের পক্ষে মাতৃভাষায় কথা বলা, সাহিত্যচর্চা করা উচিত এবং মাতৃভাষায় গ্ৰশ্ব রচনাই একমাত্র পশ্বা।

এ কারণে কবি মাতৃভাষা বাংলায় সাহিত্যচর্চার প্রতি মনােনিবেশ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা ভাষার প্রতি ভালােবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন।

সারকথা : মাতৃভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করলে জনসাধারণের যে উপকার হয় তা অন্য কোনাে ভাষায় হয় না।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সঙ্গে বঙ্গবাণী’ কবিতার মিল হলাে উভয় জায়গায় বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কথা বলায়। | মাতৃভাষা ছাড়া অন্য কোনাে ভাষায় যথাযথভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না। বাংলা ভাষা বাঙালির মাতৃভাষা। এদেশের মানুষ মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।

অবশেষে তারা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দান করেছেন। উদ্দীপকে মহান একুশে ফেব্রুয়ারির বিয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। এ দিনটি আমাদের মাতৃভাষার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কবি সবার সঙ্গে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

অন্যদিকে বঙ্গবাণী’ কবিতায়ও কবি আবদুল হাকিম বংশানুক্রমে বাংলাদেশে বাস করেন। বাংলা তার মাতৃভাষা। তাই তিনি মাতৃভাষা বাংলা চর্চা করেন। এ ভাষাতেই গ্রন্থ রচনায় মনােনিবেশ করেন। উদ্দীপক ও বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি দুজনই বাংলাদেশি। বাংলা তাঁদের মাতৃভাষা।

উভয় ক্ষেত্রেই তারা বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কথা বলেছেন। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের সঙ্গে বঙ্গবাণী” কবিতার মিল হলাে উভয় জায়গায় বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কথা বলার দিক থেকে।

সারকথা : মাতৃভাষার প্রতি কবির গভীর অনুরাগ ও ভালােবাসার কারণ তিনি এ ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করে সাধারণের উপকার করতে চান। ভাষার প্রতি অনুরাগ উদ্দীপক ও কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি উভয়ের চেতনা একই মন্তব্যটি যথার্থ । মাতৃভাষা মানুষের চেতনার সঙ্গে মিশে থাকে। মাতৃভাষার মধ্য দিয়েই মানুষের সংস্কৃতি, চিন্তা-চেতনা ও অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। এ কারণেই মানুষ মাতৃভাষাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে।

বঙ্গবাণী’ কবিতাটি কবি সতেরাে শতকে রচনা করেন। সেই সময় বঙ্গভাষী ও বঙ্গভাষার প্রতি এমন বলিষ্ঠ উচ্চারণ বিরল। কবি আবদুল হাকিম সেই বলিষ্ঠ উচ্চারণ করেন। সেই সময়ে একশ্রেণির মানুষের সংকীর্ণতা ও ভাষাবিদ্বেষ তিনি সহ্য করতে পারেননি।

সেই সঙ্গে নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে, চেতনার সঙ্গে বাংলা ভাষা, দেশি ভাষা কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে সেই দিকটি তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি একুশে ফেব্রুয়ারির কথা বলেছেন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলার বীর সন্তানরা মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য আন্দোলন করে শহিদ হন। কবি সেই চেতনাকে বুকে লালন করেন। কারণ তিনি বাংলায় জন্মেছেন, বাংলা ভাষায় কথা বলেন।

উদ্দীপক ও বঙ্গবাণী’ কবিতার কারণ ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রে অভিন্ন বিষয়ই ধ্বনিত হয়েছে তা হলাে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালােবাসা। কারণ উভয় কবিই একই চেতনা লালন করেন, যে চেতনা তাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।

সারকথা : মাতৃভাষা মানুষের অস্তিত্ব ও চেতনার সঙ্গে মিশে থাকে। কবির মতে দেশি ভাষায় বিদ্যা ও সাহিত্যচর্চা করা স্বদেশের কল্যাণ স করারই নামান্তর। এটিই উভয় কবির চেতনায় ধরা পড়েছে।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

কাজ কী তবে আগলে রেখে বুকের কাছে
কেউটে সাপের ঝাঁপি!
তুমি আমার আকাশ থেকে
সরাও তােমার ছায়া, তুমি বাঙলা ছাড়াে।
তুমি আমার জলস্থলের
মাদুর থেকে নামাে
তুমি বাঙলা ছাড়াে।

ক, ইউসুফ জোলেখা কী ধরনের রচনা?

খ. “মাতা পিতামহ ক্ৰমে বঙ্গেত বসতি” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে বঙ্গবাণী’ কবিতার সাদৃশ্য কিসে? 

ঘ. উদ্দীপকের কেউটেদেরই ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে বলেছেন- মন্তব্যটি বিচার কর।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ ইউসুফ জোলেখা’ কবি আবদুল হাকিম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।

খ উত্তরঃ  “মাতা পিতামহ ক্ৰমে বঙ্গেত বসতি”– কবি চরণটির মধ্য দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। কবি আবদুল হাকিম বঙ্গবাণী’ কবিতায় দেশি ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষা বাংলার কথা বলেছেন। বাংলা ভাষার কথা বলতে গিয়ে কবি নিজের পরিচয়ও দিয়েছেন। কবি মনে করেন তিনি একজন বাঙালি, তাঁর মাতৃভাষা বাংলা।

বংশানুক্রমে তিনি এই বাংলায় বাস করছেন। কবির মাতা-পিতা-পিতামহের বাড়ি এ দেশেই। ফলে কবির মাতৃভাষা বাংলা। মূলত কবি আলােচ্য চরণটির মধ্য দিয়ে নিজেকে বঙ্গদেশের বাংলাভাষী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

সারকথা: কবির পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশেই জন্মেছেন এবং তাঁরা বাংলা ভাষাতেই কথা বলতেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটির সঙ্গে বঙ্গবাণী’ কবিতার সাদৃশ্য হলাে অকৃতজ্ঞের প্রতি দুই কবির তীব্র ক্ষোভের প্রকাশ।  আমাদের দেশ বা সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অকৃতজ্ঞ ! তারা দেশের আলাে-হাওয়ায় বেড়ে ওঠে, আবার স্বার্থের জন্য দেশেরই বিরােধিতা করে। তারা না দেশকে ভালােবাসে, না মাতৃভাষাকে ।

উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি এদেশের একশ্রেণির মানুষকে কেউটে সাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যারা এ দেশে বাস করেও সুযােগ পেলে এদেশের মানুষকে ছােবল মারতে দ্বিধা করে না। কুবি বাংলার আকাশ-বাতাস, জল-স্থল থেকে তাদের সরে যেতে বলেছেন।

তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন বাংলা ছাড়তে। রঙগবাণী’ কবিতায় কবি আবুল হাকিম উদ্দীপকের কবির মতাে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে যাদের বাংলা ভাষার প্রতি মমতা নেই তাদের জন্ম সম্পর্কে তাঁর সন্দেহ রয়েছে। তিনি জানতে চান, সব অকৃতজ্ঞ শেকড়হীন মানুষ বাংলা ছেড়ে কেন বিদেশে চলে যায় না।

স্বদেশ ও মাতৃভাষার প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবােধ ও ভালােবাসা নেই বঙ্গবাণী’ কবিতা ও উদ্দীপকের কবি তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার সাদৃশ্য হলাে অকৃতজ্ঞের প্রতি দুই কবির তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ।

সারকথা : মাতৃভাষাবিদ্বেষীরা স্বদেশের শত্রু। বঙ্গবাণী’ কবিতায় কবি তাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং স্বদেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়টি উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে।

আপনি এই পোষ্টে বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের কেউটেদেরই বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে বলেছেন- মন্তব্যটি যথার্থ। শুধু দেশের জন্য কাজ করলেই দেশপ্রেম প্রকাশ পায় না। অন্তর দিয়ে দেশকে, মাতৃভাষাকে, দেশের মানুষদের ভালােবাসাও দেশপ্রেম।

সমাজের একশ্রেণির মানুষ রয়েছে যারা এদেশে জন্ম নিয়েও এ দেশকে ভালােবাসে না। উদ্দীপকের কবি কেউটে বলতে বাংলাদেশে বসবাসরত একশ্রেণির সংকীর্ণচেতা, স্বার্থপর, শিকড়হীন পরগাছা স্বভাবের মানুষকে বুঝিয়েছেন, যারা দেশে বসবাস করলেও দেশকে ভালােবাসতে পারে না।

বাংলা মা যাদের বুকের কাছে আগলে রাখে তারাই সুযােগ পেলে কেউটের মতাে ছােবল মারে। কবি তাই তাদের বাংলা ছাড়তে বলেছেন। বাংলার মাদুর থেকে নামতে বলেছেন। বঙ্গবাণী কবিতায়ও কবি আবদুল হাকিম অনুরূপ স্বভাবের মানুষের কথা বলেছেন যারা বাংলাতে জন্মগ্রহণ করলেও বাংলা ভাষার প্রতি উদাসীন।

মাতৃভাষার প্রতি তাদের মমতা নেই। এ কারণেই কবি তাদের জন্ম-পরিচয় সম্পর্কে সন্দিহান। তিনি সেসব শেকড়হীন কেউটে মানুষকে দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে বলেছেন।

উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি যাদের কেউটে বলেছেন তারা এ দেশের আলাে-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা অকৃতজ্ঞ মানুষ। বঙ্গবাণী’ কবিতার  কবিও তাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এসব দিক বিচার করে তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : এদেশে বসবাসরত একশ্রেণির স্বার্থপর, সংকীর্ণচেতা মানুষ বাংলা ভাষাকে অবহেলা করে। কবি তাদের প্রতি ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।

প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button