মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি যদি ইতিমধ্যে মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
আমরা এক বৃন্তে দুই ফুল, এক মাঠে দুই ফসল আমাদের খাঁচার ভিতরে একই অচিন পাখির আনাগােনা। আমার দেবতার থানে তুমি বটের ঝুরিতে সুতাে বাধাে । আমি তােমার পীরের দরগায় চেরাগ জ্বালি। আমার স্তোত্রপাঠ তােমাকে ডাকে। তােমার আজান আমাকে খুঁজে বেড়ায় । আমাদের এক সুখ এক কান্না পিপাসা
ক. কালাপাহাড় অনেক কী ধ্বংস করেছেন?
খ. কবি মানুষকে মহীয়ান’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকটি মানুষ’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ‘মূলভাব এবং মানুষ’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ কালাপাহাড় অনেক দেবালয় ধ্বংস করেছেন।
খ উত্তরঃ কবি মানুষকে ‘মহীয়ান’ বলেছেন কারণ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব সবকিছুর উর্ধ্বে। মানুষ’ কবিতায় কবি সাম্যের গান গেয়েছেন। পৃথিবীতে নানা বর্ণ, ধর্ম, গােত্রের মানুষ বাস করে। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে বিভক্ত হলেও তাদের পরিচয় একটাই, তারা মানুষ। তাদের শরীরে একই রঙের রক্ত বইছে।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের জ্ঞান আছে, বুদ্ধি আছে। এক স্রষ্টাই তাদের সৃষ্টি করেছেন। তাই কবি মনে করেন এই পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে বড় অন্য কিছুই হতে পারে না। মানুষই মহীয়ান।
সারকথা : মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। এ কারণেই মানুষ মহীয়ান।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি মানুষ’ কবিতার অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকটিকে নির্দেশ করেছে।
সাম্যবাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষ সমান। সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। একই চন্দ্র-সূর্যের আলােতে, ফুলে-ফসলে লালিত। তাদের সবার জন্ম-মৃত্যুও এক ও অভিন্ন। জগজুড়ে মানুষে মানুষে যে বিভেদ-বৈষম্য বিদ্যমান তা মানুষের স্বার্থের কারণে সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষই তা ধর্ম-বর্ণ-জাতির দোহাই দিয়ে তৈরি করেছে।
উদ্দীপকে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যসাধনের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে দেবতার থানে বটের ঝুরিতে সুতা বাঁধা এবং পীরের দরগায় চেরাগ জ্বালানােকে এক করে দেখা হয়েছে। একজনের স্তোত্রপাঠ যেমন অন্যজনকে ডাকে, তেমনই অন্যজনের আজানের ধ্বনি ঐ একজনকে খুঁজে ফেরে।
এভাবে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যসাধনের যে চেতনা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে তা মানুষ’ কবিতায় প্রতিফলিত সাম্যবাদী ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নির্দেশ করে। মানুষ’ কবিতায় কবি ‘মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদা লাভের দিকটি তুলে ধরেছেন।
ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার না দিয়ে তার সঙ্গে মসজিদের মােল্লা এবং মন্দিরের পূজারির অমানবিক আচরণকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। পথিবীর সব মানুষ যে অভিন্ন এক জাতি তিনি এই সত্য সবার সামনে তুলে ধরেছেন। উদ্দীপকের কবিতাংশেও এই বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপক এবং মানুষ’ কবিতায় ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে মানুষের মানুষ’ পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ধর্মবিশ্বাসের ভিন্নতা এখানে বড় কথা নয়, বড় কথা তারা সবাই মানুষ, একই স্রষ্টার সৃষ্টি এবং একই রকম প্রাণ তাদের মধ্যে বিরাজমান।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।ৎ
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের মূলভাব এবং মানুষ’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা – মন্তব্যটি যথার্থ।
পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে ধর্ম-বর্ণের যে পার্থক্য দেখা যায় তা কৃত্রিম। তা মানুষের স্বার্থের জন্য তৈরি। স্রষ্টার কাছে কেউ ছােট কেউ বড় নয়। তাঁর কাছে সবাই সমান। সবাইকে তিনি একই রকম রক্ত, মাংস, অনুভূতি, প্রাণ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই স্বার্থের কারণে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়।
‘মানুষ’ কবিতায় কবি সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। এখানে কবি মানুষকে আত্মস্বার্থ ত্যাগ করে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান করেছেন। সাম্যবাদী চেতনায় মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদাদানের আহ্বান করেছেন। মানুষ’ কবিতার এই চেতনা উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে মানুষের কান্না ও সুখের অনুভূতি এক ও অভিন্ন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বটের ঝুরিতে সুতা বাঁধা আর দরগায় প্রদীপ জ্বালানাের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা গেলেও বিশেষ বিচারে তা এক স্রষ্টারই আরাধনা। কারণ যারা স্তোত্রপাঠ করেন এবং যারা আজানের ধ্বনি দেন তারা সবাই এক স্রষ্টার সৃষ্টি।
‘মানুষ’ কবিতায় কবি মােল্লা ও পুরুতের অমানবিকতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি তাদেরকে নিজ স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার না করে মানবকল্যাণে ব্যবহার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
উদ্দীপকেও অনুরূপ চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে হিন্দু-মুসলমানকে এক বৃন্তে দুই ফুল এবং এক মাঠে দুই ফসল বলে উল্লেখ করে তাদের মধ্যে ঐক্যসাধন করতে চেয়েছেন। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকের কবিতাংশে এবং মানুষ’ কবিতায় অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। উভয় ক্ষেত্রেই স্বার্থের কারণে স্ত মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদাদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
ভুলাও মােদের মােহ মিলনের মহােদাত্ত স্বরে রচি নব শান্তিপর্ব কলহের কুরুক্ষেত্র ‘পরে। নিম্নে যত ভেদি গণ্ডি, উর্ধ্বে হাসে অনন্ত আকাশ; শিল্পীরে বাঁধে না ধর্ম, গুণীরে স্পর্শে না জাতি-পাশ, বাণীর বেদনা-দীপ্ত প্রতিভার নাহি আত্মপরসেই সুর ভরি তােলাে বংশী তব সহজ সুন্দর।
ক. গাে-ভাগাড় মানে কী?
খ. কবি ‘কালাপাহাড়কে আহ্বান করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘মানুষ’ কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘মানুষ’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রতিফলিত হয়নি।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ গাে-ভাগাড় মানে হচ্ছে মৃত গরু ফেলার নির্দিষ্ট স্থান।
খ উত্তরঃ যারা উপাসনালয়ের দরজা বন্ধ করে দেয়, ক্ষুধার্ত মানুষকে অন্ন না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়, সেই অন্যায়ের অবসানকল্পে এবং মানুষকে চেতনাদীপ্ত করতে কবি কালাপাহাড়কে আহ্বান করেছেন ।
কাজী নজরুল ইসলাম মানুষ’ কবিতায় একজন ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধার জ্বালা ও সমাজে পুরােহিত-মােল্লাদের ভণ্ডামি ও হৃদয়হীনতার দিকটি তুলে ধরেছেন। আমাদের সমাজে অনেক ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী রয়েছে যারা ধর্মের নামে অধর্ম করে, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত থাকে।
মানুষ’ কবিতায় একজন ক্ষুধার্ত মুসাফির মােল্লা ও পুরােহিতের কাছে খাবার প্রার্থনা করে। তাকে দেওয়ার মতাে যথেষ্ট খাবার থাকা সত্ত্বেও তারা ভুখারিকে খাবার দেয় না। ধর্মের দোহাই দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং মন্দির-মসজিদের দরজায় তালা দেয়। কবি এসবের বিরদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে কালাপাহাড়কে আহ্বান করেন।
কবি মূলত কালাপাহাড়দের মতাে সাহসীদের এগিয়ে এসে এসব ধর্মব্যবসায়ীর ভণ্ডামির মুখােশ উন্মােচনের আহ্বান করেছেন।
সারকথা : যুগে যুগে কিছু মানুষ পৃথিবীতে আসে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। কবি কালাপাহাড়কে আহ্বান করেছেন ন্যায় প্রতিষ্ঠার চেতনার জাগরণ প্রসঙ্গে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি মানুষ’ কবিতার মানবতাবােধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ।
এই পৃথিবী জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব মানুষেরই বাসভূমি। এখানে সবাই একই চন্দ্র-সূর্যের আলােয় আলােকিত। পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মধ্যে ক্ষুধাতৃষ্ণার অনুভূতিও অভিন্ন। তবু মানুষ ধর্ম-বর্ণের দোহাই দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদ বিবেচনা করে, বিবাদ সৃষ্টি করে হীন মানসিকতার পরিচয় দেয়।
উদ্দীপকের কবিতাংশে দীপ্ত প্রতিভার আহ্বানে আত্মপর ভেদ ভুলে পরস্পরের সঙ্গে বন্ধন গড়ে তুলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। কারণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধপর্ব মানুষের শান্তির অন্তরায়। মানুষের মধ্যেই শুধু উঁচু-নিচু বা জাতিভেদ বৈষম্য লক্ষ করা যায়, কিন্তু স্রষ্টার কাছে কোনাে ভেদ বিবেচনা নেই, তার কাছে সবাই সমান।
উদ্দীপকের আত্মপর ভেদ না থাকার এ বিষয়টি মানুষ’ কবিতার মানবতাবােধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় কবি সাম্যবাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষকে এক ও অভিন্ন বিবেচনা করেছেন। তাঁর কাছে জাতি-ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে মানুষের প্রকৃত পরিচয় সে মানুষ।
উদ্দীপকের কবিতাংশে জাতি-ধর্মবর্ণের বৈষম্য দূর করার প্রার্থনা করা হয়েছে, যা মানুষ’ কবিতার অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : ‘মানুষ’ কবিতায় সাম্যবাদের দৃষ্টিতে কবি পৃথিবীর সব মানুষকে অভিন্ন এক জাতি মনে করেছেন। এই চেতনার সঙ্গে উদ্দীপকের চেতনা সাদৃশ্যপূর্ণ।
আপনি এই পোষ্টে মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘মানুষ’ কবিতার সমগ্র ভাব পুরােপুরি প্রতিফলিত হয়নি।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।
স্রষ্টার কাছে পৃথিবীর সব মানুষ সমান। মানুষের মধ্যে জাত-ধর্ম-বর্ণের যে পার্থক্য দেখা যায় তা মানুষের তৈরি । সাম্যবাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষ সমান মর্যাদার অধিকারী। যারা এ সত্যকে অস্বীকার করে তারা স্বার্থপর, অমানবিক।
যারা মানুষ হিসেবে মানুষকে মর্যাদা দেয়, মানবসেবায় আত্মনিয়ােগ করে তারা মহামানব। ‘মানুষ’ কবিতায় সাম্যবাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষ এক ও অভিন্ন জাতি এই সত্যটি প্রতিফলিত হয়েছে। কবির মতে পৃথিবীতে মানুষ অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠ আর কিছু নেই। দেশ-কাল, ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গােত্র এ সবকিছুই মানুষের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র। পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তারা সবাই এক জাতি।
মানুষ’ কবিতার এই ভাব উদ্দীপকে পুরােপুরি প্রতিফলিত হয়নি। কারণ এখানে আত্মপর ভেদহীনতার বিষয়টি মানুষে মানুষে বৈষম্যহীনতাকে নির্দেশ করেছে মাত্র। ধর্মব্যবসায়ীদের হীন কর্মকাণ্ডকে নির্দেশ করেনি। তাদের অমানবিক আচরণের দিকটিও উদ্দীপকে নেই।
‘মানুষ’ কবিতায় ধর্মের দোহাই দিয়ে মসজিদ ও মন্দিরে যারা আধিপত্য বিস্তার করে তাদের স্বরূপ উন্মােচিত হয়েছে। মানুষকে তারা মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে না । উদ্দীপকে এই দিকটি ফুটে ওঠেনি। সেখানে মানুষ’ কবিতার সাম্যবাদের চেতনাটিই মুখ্য হয়ে উঠেছে। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘মানুষ’ কবিতার সমগ্র ভাবকে পুরােপুরি প্রতিফলিত করে না।
সারকথা : ‘মানুষ’ কবিতায় সাম্যবাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব মানুষ সমান এবং অভিন্ন এক জাতি এ বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের কবিতায় সাম্যবাদের এ চেতনাটি মুখ্য হয়ে উঠে। কন্তু কবিতায় স্বার্থপর ধর্মব্যবসায়ীদের যে স্বরূপ কবি উন্মােচন করেছেন তা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি।
প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন