বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (কমন উপযোগী)
প্রিয় পাঠক স্বাগতম জানাই আমাদের সাইটের আজকের নতুন ব্লগ পোষ্টে। আপনি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (কমন উপযোগী) নিয়ে তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মর উচ্ছ্বাসে, সে কোলাহলের রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে। হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন জন্ম নিয়েছে সচেতনতার ধান, গত আকালের মৃত্যুকে মুছে আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ।
ক. মুসলিম লীগ সরকার কত বড় – কাজ করল ।
খ. বঙ্গবন্ধু অনশন করছিলেন কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় শােষকের অত্যাচার ও নিপীড়নের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে বিশ্লেষণ কর।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ মুসলিম লীগ সরকার কত বড় অপরিণামদর্শিতার কাজ করল ।
খ উত্তরঃ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন ও বিনা-বিচারে বছরের পর বছর রাজবন্দিদের কারাগারে আটক রাখার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অনশন করেছিলেন। কোনাে ন্যায্য দাবি পূরণের লক্ষ্যে একটানা আহার বর্জনের সংকল্পকে অনশন বলে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে আপসহীন একজন দেশনেতা। তাই পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসকদের অপশাসন, নিপীড়ন এবং রাজবন্দিদের বিনা বিচারে দীর্ঘ সময় আটক রাখার প্রতিবাদ ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনশন করেছিলেন।
সারকথা : স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা এবং বিনা বিচারে রাজবন্দিদের আটক রাখার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অনশন করেছিলেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সাথে ‘বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার স্বেচ্ছাচারী শাসকগােষ্ঠীর শােষণ-নির্যাতন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপসহীন সংগ্রামী চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
অধিকার আদায়ের জন্য মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়, আন্দোলন করতে হয়, কষ্ট সহ্য করতে হয় দিনের পর দিন। অধিকার সচেতন মানুষ ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য প্রয়ােজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকে। আপসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে তারা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে।
উদ্দীপকে বাঙালি জাতির ওপর শােষকদের অত্যাচার, নিপীড়ন এবং জাতির আধিকার সচেতনতা ও দাবি আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন সংগ্রামের দিকটি উঠে এসেছে, যা বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বাঙালিদের অধিকার সচেতনতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপসহীন সংগ্রামী চেতনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে হিমালয় থেকে সুন্দরবন কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে । জলে মাটিতে আসে ভাঙনের বেগ। জন্ম নেয় সচেতনতার ধান। এখানে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের দিকটি উঠে এসেছে।
বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায়ও পাকিস্তানিদের অপশাসন, অত্যাচার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তকালীন পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন ও বিনাবিচারে বছরের পর বছর রাজবন্দিদের আটক রাখার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে যে অনশন ধর্মঘট পালন করেন সেই সংগ্রামী দিনগুলাের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে।
পাকিস্তানিদের অপশাসন, অত্যাচার এবং এর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আপসহীন সংগ্রাম ও অধিকার সচেতনতার সঙ্গে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথা : উদ্দীপকে শােষকদের অত্যাচার-নিপীড়ন এবং বাঙালি জাতির সচেতনতা, আপসহীন সংগ্রামের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। আলােচ্য প্রবন্ধেও পাকিস্তানিদের অপশাসন এবং বঙ্গবন্ধুর আপসহীন সংগ্রামের দিকটি উঠে এসেছে। উভয় রচনায় এখানেই সাদৃশ্য রয়েছে।
হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ও ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক না কেনো আপনি যাতে উত্তর করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপক ও বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় শােষকের অত্যাচার ও নীপিড়নের চিত্র আঙ্কিত হয়েছে। মন্তব্যটি যথার্থ। ০ স্বৈরাচারী শাসকরা সবসময়ই জনগণের দাবিকে রুখে দিতে চায়। তাদের দমিয়ে রাখতে নানা রকম অত্যাচার নির্যাতন চালায়।
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগের পর থেকে পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালি জাতির ওপর শােষণ-নির্যাতন চালাতে থাকে। তারা বিভিন্নভাবে জাতির অধিকারকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
উদ্দীপকে শােষকদের অত্যাচার ও নিপীড়নের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। হিমালয় থেকে সুন্দরবন শােষকদের অত্যাচারে পদ্মার উচ্ছ্বাসও কেঁপে কেঁপে ওঠে । জলে মাটিতে লাগে ভাঙনের বেগ। অত্যাচারীদের শােষণ-নির্যাতনের চিত্র ‘বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায়ও উপস্থাপিত হয়েছে ।
তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন ও নির্যাতনের দিকটি লেখক আলােচ্য রচনায় উপস্থাপন করেছেন। ০ বায়ান্নর দিনগুলি রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানর পাকিস্তানি শাসকদের স্বৈরাচার। শােষণ ও নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন।
রাজবন্দিদের বছরের পর বছর বিনাবিচনারে আটকে রাখা, ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ, জনগণের দাবি মেনে না নেওয়া ইত্যাদি বিষয় তুলে এনেছেন। উদ্দীপকেও শােষকগােষ্ঠীর অত্যাচার ও নীপিড়নের চিত্র ফুটে উঠেছে। সুতরাং বলা যায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসকদের শােষণ ও নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন। উদ্দীপকেও শােষকদের নিপীড়ন ও অত্যাচারের চিত্র অঙ্গিত হয়েছে। এসব বিচারে বলা যায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনবায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
সমগ্র ভারতবর্ষে যখন ব্রিটিশ শাসন জগদ্দল পাথরের মতাে চেপে বসেছিল, অন্যায়-অত্যাচার, শােষণ আর চতুরতাই যখন ইংরেজ সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল তখন মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ ও অহিংস নীতি মানুষের মনে আশা জাগিয়েছিল। তিনি একবার হরতাল ডাকলেও সহিংসতা ঢুকে পড়ায় এমন কর্মসূচি আর দেননি। আদালত বর্জন থেকে শুরু করে অসহযােগ পর্যন্ত সব কর্মসূচি তিনি পালন করেছেন শান্তিপূর্ণভাবে। প্রয়ােজনে দিনের পর দিন অনশন করেছেন। হরিজন আন্দোলনেও তিনি আত্মশুদ্ধি’ অনশন করেছেন। ছয় বছর ব্রিটিশ সরকারের কারাগারে বন্দি ছিলেন কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি বরং সমগ্র বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখিয়েছেন কীভাবে রক্তপাত ছাড়াই অহিংস উপায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা যায়।
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সালের ইলেকশনে ওয়ার্কার ইনচার্জ ছিলেন?
খ. ভরসা হলাে, আর দমাতে পারবে না’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? তা আলােচনা কর।
ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও চেতনাগত ঐক্য ‘মহাত্মা গান্ধী’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’কে একসূত্রে গেঁথেছে- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
পাঠক সাহেব আপনি ইতিমধ্যে উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কিত আর্টিকেলে ২য় তম সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর নমনুা কেমন হতে পারে তা দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুনসৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুরে ১৯৪৬ সালের ইলেকশনে ওয়ার্কার ইনচার্জ ছিলেন।
খ উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত কথাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশের মানুষকে আন্দোলনসংগ্রামে অংশ নিতে দেখে। ১৯৫২ সালে ঢাকায় গুলি চালানাের পর জনগণ বুঝতে পেরেছিল যে, যারা দেশ শাসন করছে তারা দেশের আপনজন নয়।
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনা প্রবল বেগে বাতাসে ভাসতে ভাসতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের ছােট ছােট হাট-বাজারে মানুষ হরতাল পালন করে ভাষার সংগ্রামকে সমর্থন, শক্তি ও অনুপ্রেরণা জোগায়। এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয় যে, গ্রামের সাধারণ মানুষও অধিকারসচেতন হয়ে উঠেছে।
সারা দেশের মানুষের এই জাগরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
সারকথা : ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত জাতিকে দেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন।
গ উত্তরঃ ও উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনের আপসহীন মনােভাব ও আন্দোলনের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
যুগে যুগে নির্যাতিত জাতির মধ্যে বহু সাহসী মানুষের জন্ম হয়েছে। যারা শাসক-শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করেছেন। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছেন।
উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে। এখানে ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে তাঁর মনােভাবের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আদালত বর্জনসহ প্রয়ােজনে দিনের পর দিন অনশন করেছেন। তবু অন্যায়ের সঙ্গে তিনি আপস করেননি।
উদ্দীপকের এই বিষয়টি বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় প্রতিফলিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনের আপসহীন মনােভাব ও দৃঢ়তার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বাঙালি জাতির সার্বিক মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন।
তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অপশাসন ও বিনাবিচারে বছরের পর বছর রাজবন্দিদের কারাগারে আটক রাখার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে তিনি অনশন ধর্মঘট করেন। মৃত্যু অত্যাসন্ন জেনেও তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কিছুই খাননি। মানুষের মুক্তির জন্য তিনি ছিলেন আপসহীন।
সারকথা : উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর আপসহীন সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। রায়ান্নর দিনগুলি’ রচনায়ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যা আপসহীন সংগ্রাম ও দাবি আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয়ের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি এই পোষ্টে বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। অথবা সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করে ও আপনাদের সিলেবাস অবলম্বনে পাঠ্য আর্টিকেল খুঁজে পেতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।
ঘ উত্তরঃ “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও চেতনাগত ঐক্য ‘মহাত্মা গান্ধী’ ও বঙ্গবন্ধু’-কে একসূত্রে গেঁথেছে।” মন্তব্যটি যথার্থ। বাঙালি বীরের জাতি। তারা যুগে যুগে ভিনদেশি শাসক-শােষকদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
সময়ের প্রয়ােজনে এদেশে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট মুছে দিতে যােগ্য নেতার আবির্ভাব হয়েছে। তাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব গণমানুষকে মুক্তি ও উন্নতির পথ দেখিয়েছে। বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবন ও জেল থেকে মুক্তিলাভের স্মৃতি বিবৃত হয়েছে। তিনি বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছেন।
দেশ বিভাগের পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী বিভিন্নভাবে বাঙালিদের শােষণ-নির্যাতন করতে থাকে। বিনা বিচারে বছরের পর বছর রাজবন্দিদের কারাগারে আটক রাখে। বাঙালিকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে তিনি শাসকগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
তিনি বাঙালিদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জেলখানায় অনশন শুরু করেন। উদ্দীপকের বর্ণিত নেতা মহাত্মা গান্ধীর ক্ষেত্রেও অনুরূপ চেতনা লক্ষ করা যায়। তিনি সত্যাগ্রহ ও অহিংসনীতির মাধ্যমে মানুষের মনে আশা সার করেন। ব্রিটিশ শাসনের জগদ্দল পাথর সরাতে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
দাবি না মানার কারণে তিনি দিনের পর দিন অনশন করেন। ব্রিটিশ শাসক তাকে কারাগারে বন্দি করলেও তিনি তাদের সঙ্গে আপস করেননি। বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের বিনিময়ে হলেও বাংলার মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতার পথ সুগম করেছেন।
উদ্দীপকের মহাত্মা গান্ধীও গণমানুষের অধিকারের অহিংস আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকের মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে। আলােচ্য রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যান। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উভয়ের চেতনাগত ঐক্য রয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পেতে এখানে চাপুন