সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

আপনি যদি ইতিমধ্যে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই কবিতার প্রশ্নের উত্তর গুলো ও পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে। আপনাদের সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে এই পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর ও আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

ওগাে মা, রাজার দুলাল গেল চলি মাের ঘরের সমুখপথে,
প্রভাতের আলাে ঝলিল তাহার স্বর্ণশিখর রথে।
ঘােমটা খসায়ে বাতায়ন থেকে
নিমেষের লাগি নিয়েছি, মা, দেখে
ছিড়ি মণিহার ফেলেছি তাহার পথের ধুলার ‘পরে।
মা গাে, কী হল তােমার, অবাক নয়নে চাহিস কীসের তরে?
মাের হার ঘেঁড়া মণি নেয় নি কুড়ায়ে,
রথের চাকায় গেছে সে গুড়ায়ে
চাকার চিহ্ন ঘরের সমুখে পড়ে আছে শুধু আঁকা।
আমি কী দিলেম কারে জানে না সে কেউ, ধুলায় রহিল ঢাকা।

 ক, ‘সােনার তরী’ কবিতায় সােনার ধান কী? 

খ, ব্যক্তি মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার হন কেন?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।

ঘ, “উদ্দীপকের কবিতাংশের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও ব্যক্তির জীবনের বেদনার সুর | অভিন্ন।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মানব কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সমূহ

ক ‍উত্তরঃসােনার তরী‘ কবিতায় সােনার ধান হলাে কৃষকের শ্রেষ্ঠ ফসল। ব্যঞ্জনার্থে শিল্পস্রষ্টা কবির সৃষ্টিসম্ভার।

খ উত্তরঃ নিয়তির অমােঘ বিধানে মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার হন ফসল উৎপাদনকারী কৃষক তথা ব্যক্তি। মহাকালের চিরন্তর স্রোতে মানুষ অনিবার্য সত্য মৃত্যুকে এড়াতে পারে না। মানুষ চলে যায়, শুধু তার কর্ম টিকে থাকে।

সােনার তরী’ কবিতায় একটি ছােট ধানখেত, চারপাশে প্রবল স্রোতের বিস্তার, সােনার ধান নিয়ে কৃষক একাকী বসে আছে এক অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য। এ কবিতায় অন্তর্লীন হয়ে আছে কবির জীবনদর্শন। মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ অনিবার্য পরিণতি মৃত্যুকে এড়াতে পারে না।

সারকথা : ব্যক্তির সৃষ্টিকর্ম মহাকাল গ্রহণ করলেও ব্যক্তিকে তথা কৃষককে স্থান দেয় না।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। কারণ কবিতায় সােনার তরিতে কৃষকের ফসল স্থান পায় কিন্তু কৃষকের সেখানে স্থান সংকুলান হয় না। আর উদ্দীপকে ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির মূল্যবান উপহারও রথে স্থান পায়নি।

মানুষের জীবন না-পাওয়ার যন্ত্রণায় বেদনাহত। তবু সেই জীবনের গতিস্রোত থেমে নেই। বিলীনের ক্রমাগত স্রোত বয়ে চলছে। উদ্দীপকে রাজার দুলাল রথে চড়ে ঘরের সমুখ দিয়ে চলে গেছে। তাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া উপহার ‘মণিহার’ সে কুড়িয়ে নেয়নি এবং কে তা ফেলল তারও খোজ করেনি।

হার ঘেঁড়া মণি ধুলােতেই পড়ে থাকে, রথ চলে যায়। শুধু রথের চাকার চিহ্ন রয়ে যায় । এই দিকটির বিপরীত চিত্র পাওয়া যায় ‘সােনার তরী’ কবিতায়। সেখানে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নিয়ে অপেক্ষা করে। সােনার তরি এসে তার সমস্ত ফসল তুলে নিয়ে যায়, তাকে নেয় না। এভাবে উদ্দীপকটি ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

সারকথা : উদ্দীপকের রাজার দুলালের কর্মকাণ্ড এবং কবিতার মাঝির কর্মকাণ্ড বিপরীতমুখী, ফলে তা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ও ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক না কেনো আপনি যাতে উত্তর করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের কবিতাংশের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও ব্যক্তির জীবনের বেদনার সুর অভিন্ন।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।

নশ্বর পৃথিবীতে মানুষের কর্ম অবিনশ্বর। মহৎ সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমেই মানুষ জগতে অমরত্বের অধিকার লাভ করে। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য আছে। কবিতার মূলভাবটি উদ্দীপকে পাওয়া যায় না। কারণ মহাকালের চিরন্তন। স্রোতে মানুষ অনিবার্য বিষয় মৃত্যুকে এড়াতে পারে না।

তাই মানুষ চলে যায় পৃথিবী থেকে, কেবল টিকে থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। এই বিষয়টি উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। সেখানে শুধু প্রকাশ পেয়েছে যে, রাজার দুলালকে দেওয়া উপহার ধুলায় ঢাকা পড়েছে। সে হার ছেড়া মণি কুড়ায়নি, চলে গেছে। উদ্দীপকে বহুমূল্য হার ঘেঁড়া মণি পথের ধুলােয় পড়ে থাকে।

রাজার দুলাল তা না কুড়িয়ে রথে মাড়িয়ে চলে যায়। তার এভাবে চলে যাওয়া ‘সােনার তরী’ কবিতার মাঝির কৃষককে শূন্য নদীর তীরে একা ফেলে যাওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এখানে কৃষক যে নির্মমতার শিকার তার প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকে পথের পাশে বাতায়নে বসে থাকা ব্যক্তির মাঝে।

দুজনই কালের মহাগ্রাসের জন্য অপেক্ষমাণ । এজন্যই বলা হয়েছে, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সােনার তরী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও ব্যক্তির জীবনের বেদনার সুর অভিন্ন।

সারকথা : ‘সােনার তরী’ কবিতায় মাঝি কৃষককে ঠাই দেয়নি। উদ্দীপকে রাজার দুলালও কারও দেওয়া উপহারের মূল্য দেয়নি।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

মহাকাল ধরে যাহা জরাজীর্ণ, দীর্ণ, পুরাতন
কালজয়ী সেই সত্য,
যাহা নিত্য ক্ষয়হীন দীপ্ত চিরন্তন।
কীর্তি, যার সুমহান, সত্য-পূত যার মহাপ্রাণ
মৃত্যু যারে শ্রদ্ধাভরে এনে দেয় প্রচুর সম্মান।

ক, ‘সােনার তরী’ কবিতায় মাঝি কিসের প্রতীক?

খ, মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায় কেন?

গ. ‘সােনার তরী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপক কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘সােনার তরী’ কবিতার চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবনদর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 2022 সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর গুলোও দেখে নেওয়া যাক।

২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতায় মাঝি নির্মোহ, নিরাসক্ত মহাকালের প্রতীক।

খ উত্তরঃ সােনার ফসলে তরি পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায়। 

কৃষক তার খেতে রাশি রাশি সােনার ধান ফলায়, যা রূপক অর্থে কৃষকের কর্মফল। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষক তার সােনার ফসল নিয়ে নিরুপায় হয়ে একা খেতে দাড়িয়ে ছিল। এমন সময় সেখানে এক মাঝির আগমন ঘটে। মাঝি কৃষকের অনুরােধে সােনার ফসল সােনার তরিতে তুলে নেয়।

অর্থাৎ মহাকাল তা গ্রহণ করে। সােনার ফসলে তরি পূর্ণ হয়ে যায়, তাই সেখানে কৃষকের জায়গা হয় না। এ কারণে মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায় তার সােনার ফসল নিয়ে।

সারকথা : সােনার ধানে তরি পূর্ণ হয়ে যায় বলে মাঝি কৃষককে একা রেখে চলে যায়।

গ উত্তরঃ মহাকাল মানুষের মহৎ কীর্তিকে ধারণ করে বলেই মানুষ মৃত্যুর পরও পৃথিবীর মানুষের কাছে সম্মান লাভ করে। সােনার তরী কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকটি এ দিক দিয়েই সাদৃশ্যপূর্ণ।

মানুষ মরণশীল। মৃত্যু স্রষ্টার অমােঘ বিধান এবং প্রাণের স্বাভাবিক ধর্ম। কিন্তু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষ বিস্মৃত হতে চায় না। কীর্তি দ্বারা মানুষ অমর হতে চায়। কারণ শুধু বয়সে বেঁচে থাকা জীবনের উদ্দেশ্য নয়।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে কোনাে ব্যক্তি ইহকালে জরাজীর্ণ, পুরনাে থাকলেও কর্ম যদি তার সুমহান হয় তাহলে মৃত্যুর পরও সবাই তাকে সম্মান করবে। তখন মহান কীর্তি তার মান-সম্মান আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

সােনার তরী’ কবিতায় কবিও মানুষের মহৎ কীর্তির কথা বলেছেন। মানুষের মূল্যবান কীর্তিকে পৃথিবীর মানুষ আঁকড়ে ধরে। ফলে কর্মের মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে পারে।

উদ্দীপকে কীর্তি ও কীর্তিমানের স্বরূপ বর্ণনার মাধ্যমে ‘সােনার তরী’ কবিতার এই ভাবটির সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ

সারকথা : মানুষ মরণশীল। কীর্তি দ্বারাই মানুষ অমর হয়। উদ্দীপকের এ বিষয়টি ‘সােনার তরী’ কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। কবি মনে করেন, মহাকাল মানুষের কীর্তির যে মূল্য দেয়, সেই কীর্তি দ্বারাই মানুষ সম্মানের অধিকারী হয়।

আপনি এই পোষ্টে সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। অথবা সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করে ও আপনাদের সিলেবাস অবলম্বনে পাঠ্য আর্টিকেল খুঁজে পেতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ ‘সােনার তরী’ কবিতার চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবনদর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে। মন্তব্যটি যথার্থ ।

মানুষ মরণশীল, কিন্তু তার মহৎ কর্ম অমর। মানুষ তার কল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে জগতে বেঁচে থাকে। জগতের মানুষের জন্য কল্যাণকর কর্ম যদি না থাকে তাহলে মানুষ অমরত্বের দাবি করতে পারে না।

উদ্দীপকে মানুষের কীর্তিটাকে বড় করে দেখা হয়েছে। যে কীর্তি দ্বারা মানুষ মৃত্যুর পরেও সম্মানের অধিকারী থেকে যায়। ‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ এই দর্শনটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। সােনার তরী’ কবিতায় উদ্দীপকের দর্শনটির আংশিক প্রতিফলিত হয়েছে। কারণ কবি মনে করেন, মহাকাল মানুষের মহান কীর্তিকেই ধরে রাখে, মানুষকে রাখে না।

‘সােনার তরী’ কবিতার ভাববস্তু জগৎ-সংসার ও মানবজীবনের নশ্বরতা ও অনিশ্চয়তা। তবু মানুষের জন্য সান্ত্বনা এই যে, মানুষ না বাঁচলেও টিকে থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। একদিন মানুষকে সব ফেলে নিরুদ্দেশের পথে চলে যেতে হয়। সােনার তরী কবিতার মূল দর্শন এটি। অন্যদিকে উদ্দীপকে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ এই জীবনদর্শনটি প্রতিফলিত হয়েছে, যা ‘সােনার তরী কবিতার জীবনদর্শনকে আংশিক প্রতীকায়িত করে। এই বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।

সারকথা : মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ থাকে না, থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। এই জীবনদর্শন ‘সােনার তরী’ কবিতা ও উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনার কাঙ্খিত তথ্য সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আমাদের সাইটের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পেরেছেন।

প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

আঠারাে বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button