বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার সেরা উপায় ২০২২

বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। অনলাইন থেকে ইনকাম করার আদ্যোপান্ত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ হয় সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত সকল কাজকর্ম এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মানুষের এই প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা অনলাইন থেকে আয় করার দিকে নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। আমাদের আজকের পোষ্ট হতে চলেছে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার সেরা উপায় ২০২২ সম্পর্কে।

এখন খুব সহজে লোকজন অনলাইন থেকে একটা ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। আপনি যদি অনলাইন থেকে উপার্জন করতে চান, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। প্রথম প্রথম অনলাইন থেকে ইনকাম করা অনেক কঠিন ছিল। বর্তমানে দেশ ডিজিটাল হওয়ায় অনলাইন থেকে আয় করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। এক দশক পূর্বে মানুষ অনলাইন থেকে আয় করার কথা মনের ভুলেও ভাবতো না।

বর্তমানে সেই কাজটা করা সম্ভব হচ্ছে। এখন অনলাইন থেকে ইনকাম করে শুধু স্বাবলম্বী হচ্ছে না। অনেকে অনলাইন থেকে ইনকাম করে বড়লোক হয়ে গেছে। বর্তমানে সকল প্রকার কাজ অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে। আমি আপনাকে কোন নিশ্চয়তা দিতে পারব না যে, আপনি অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আমি আপনাকে এইটুকু নিশ্চয়ই তা দিতে পারব যে, আপনি যদি কোন একটা কাজের প্রতি বেশী দক্ষ হতে পারেন তবে একটা ভালো পরিমাণ টাকা অনলাইন থেকে জেনারেট করা সম্ভব।

আমাদের দেশে অনলাইন থেকে আয় করার বিষয়টা নতুন হলেও অন্যান্য দেশে এটি অনেক পুরাতন একটা পেশা। একমাত্র অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব হয় ঘরে বসে এবং স্বাধীনভাবে। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে শুধু মেধা খাটিয়ে কোন একটা কাজের প্রতি পারদর্শী হতে হবে।

Table of Contents

বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার উপায়

যেকোনো ধরনের মানুষ অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারে। আমরা প্রতিদিন অসংখ্য মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে খরচ করে থাকি। আমরা চাইলে এই সময়টা অযথা নষ্ট না করে কোন একটা কাজের প্রতি পারদর্শী হতে পারি।

আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয়টা মাথায় নেন, তাহলে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি খারাপ কোন দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন না। একটা মোবাইল অথবা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সংযোগ এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি ছাড়া অন্য কোন কিছু লাগবে না অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য।

অনলাইন থেকে আয় করার ইচ্ছায় সবারই থাকে। অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। কিছু ভালো উপায় ও কিছু মন্দ উপায় রয়েছে। অনলাইনে থাকা বর্তমানের সেরা অনেকগুলো উপায় এর মধ্য থেকে আজকে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার উপায় [সেরা ৫টি উপায়] উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং একটা জনপ্রিয় ও পুরাতন উপায় অনলাইন থেকে আয় করার। ব্লগিং করে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ টাকা জেনারেট করা সম্ভব। ব্লগিং এর মূল ভিত্তি হলো কনটেন্ট। এটা এক ধরনের ডিজিটাল পত্রিকার মত। আপনি একটি বিষয়ে সুন্দর করে মনের মত করে আর্টিকেল লিখে রাখবেন এবং সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ভিজিটর এসে সেগুলো এসে পড়বে।

ব্লগিং বিষয়টা বোঝার জন্য সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে আজকের এই আর্টিকেলটি। আপনি এই আর্টিকেলটা পড়ছেন সেটা একটা ব্লগ আর্টিকেল। আপনার যদি লেখালেখির প্রতি প্রচুর আগ্রহ থাকে তবে আপনার জন্য সর্বোত্তম হবে। ব্লগিং করে প্রতিমাসে খুব সহজে প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব।

ব্লগিং করে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র হলো কোন এক বিষয়ে আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকা। তাহলে সহজে ব্লগিং সেক্টরে আপনি সফল হতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগিং করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- প্রযুক্তি, শিক্ষা, চাকরি, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে ব্লগিং করা যায়।

এছাড়া আপনার যদি রান্না-বান্না ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তবে সেটি থেকেও ব্লগিং করে আয় করতে পারেন। ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে একটা ওয়েবসাইটের। আপনার লেখাগুলো একটা ওয়েবসাইটে রাখতে হবে। আপনি চাইলে ফ্রিতে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে ফ্রিতে তৈরি করা কোন ওয়েবসাইটের প্রতি মানুষ মূল্য দেয়না।

এজন্য আমি আপনাকে পরামর্শ দিব, বিনামূল্যে কোন ওয়েবসাইট তৈরি না করে অল্প টাকা খরচ করে একটা ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে। তারপর লেখালেখি শুরু করে দিলে ভালো ফলাফল পাবেন। একটা ডটকম ডোমেইন ও ১ জিবি হোস্টিং কিনে ফ্রী থীম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল থেকে ফ্রিতে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে চাইলে খুব সহজ একটা সুন্দর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আপনি কিছু বুঝতে না পারলে ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে ডিজাইন করা শিখতে হবে । এরপর আপনাকে অল্প পরিমাণ এসইও সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

ওয়েবসাইটের সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে যেতে হবে। বেশ কয়েকটা আর্টিকেল পাবলিশ করার পর আপনাকে গুগল এডসেন্স এর জন্য গুগলের নিকট আবেদন করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গুগল আপনাকে গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন দিয়ে দিবে। তখন আপনি এড কোড গুলো আপনার ওয়েবসাইটে বসে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে গুগল ও ইউটিউব এ ঘাটাঘাটি করতে হবে আপনাকে। আমরা শুধু আপনাকে একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুক্ত পেশা। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সর্বোত্তম হবে। বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে দক্ষতার সাথে নিজের দেশকে সবার সামনে তুলে ধরছে।

ফ্রীলান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশিরা অনেক বেশি সুখ্যাতি অর্জন করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। বাংলাদেশে এখন হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরের মত ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ফিনান্সিং করে অনেক তরুণ-তরুণীরা আয় করছে।

একদিকে যেমন তারা নিজেদের পরিবারের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে আসছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে মূলত নির্দিষ্ট কোন জায়গার প্রয়োজন পড়ে না। আপনি ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। এজন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত আপডেট থাকতে হবে। ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে কিছু দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সে বিষয়ে আপনাকে অনেক বেশি অ্যাডভান্স লেভেলের দক্ষ হতে হবে।

বর্তমানে বিশ্বে অনেক ধরনের ফিলান্সিং কাজ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো :

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ফটো এডিটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েবসাইট ডিজাইনিং
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • লোগো ডিজাইন
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামার
  • টিউটর
  • মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ
  • ব্লগ রাইটার
  • ই-বুক রাইটার
  • লেখা অনুবাদক
  • পোস্টার ডিজাইনার
  • কার্টুন আর্টিস্ট
  • সফটওয়্যার ডেভলপার
  • ভিডিও প্রোডাকশন
  • অডিও প্রোডাকশন
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • প্রজেক্ট ম্যানেজার
  • হিসাব রক্ষক
  • এনিমেশন

উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটা কাজে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে পারলে খুব সহজে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব হবে। আপনি যদি একাধিক কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তবে অনেক বেশি পরিমাণ আয় করা সম্ভব।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আপনাকে সেসব মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করতে হয়। দেখে নিন সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং করার মার্কেটপ্লেস :

  • Freelancer
  • Upwork
  • Fiverr
  • Studio.Envato
  • 99designs
  • Rev
  • Peopleperhour
  • CGTrader
  • Toptal
  • Guru

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে অনলাইনে ভালো মানের ওয়েবসাইট খুব কম পাবে। তাই কোন ওয়েবসাইটে কাজ করার পূর্বে সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে আপনার নিজের একটা পর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে হবে।

আপনি যে কোন কাজে দক্ষ সেটার প্রমাণ হিসেবে আপনার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট এ সে সম্পর্কে বিবরণ দিয়ে সবকিছু সাজাতে হবে। আপনার ক্লায়েন্ট আপনার নিজের সম্পর্কে জানতে চাইলে তখন পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক দিবেন। ক্লায়েন্ট আপনার ওয়েবসাইটে সবকিছু দেখে যদি পছন্দ হয় তখন আপনাকে দিয়ে সেই কাজটি করিয়ে নেবে।

প্রথম অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য প্রথম কাজ পেতে হলে আপনাকে কোন এক ব্যক্তি রেফারেন্স নিতে হবে। আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সেখান থেকে ক্লায়েন্ট নিতে পারেন।

ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত একটি মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব ব্যবহার করে না এমন কোনো তরুন-তরুনীর বর্তমানে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। যার এন্ড্রয়েড মোবাইল রয়েছে সে অবশ্যই কোন না কোন একদিন ইউটিউব ব্যবহার করেছে।

আপনি চাইলে ইউটিউব ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব বর্তমানে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত একটা ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। ইউটিউব গুগল কোম্পানির একটা ভিডিও সেবা। বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর রয়েছে যারা ইউটিউব ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করেছে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে ভিডিও তৈরি করা শিখতে হবে। ভিডিও তৈরিতে নিজস্ব কোন ক্যামেরা না থাকলে আপনি চাইলে নিজের মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।

বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার প্রথমে মোবাইলে ভিডিও তৈরি করে পরবর্তীতে সফলতা লাভ করেছে। সফলতা লাভের পর তারা অনেক দামী দামী উপকরণ ব্যবহার করেছে। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ইউটিউবার হতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।

ইউটিউব মূলত ভিডিওকে কেন্দ্র করে। ভিডিও এডিটিং ছাড়া খুব বেশি সফলতা লাভ করা সম্ভব নয় ইউটিউব সেক্টরে। ইউটিউব সেক্টর আপনি গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকে আয় করা সম্ভব। আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেলে আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অথবা স্পন্সর করে আয় করতে পারবেন।

বেশিরভাগ জনপ্রিয় ইউটিউবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অথবা স্পন্সর করে সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা ইনকাম করে থাকে। একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর আপনাকে সে চ্যানেলটি সুন্দরভাবে প্রফেশনাল লুক দিতে হবে। এরপর আপনাকে নিয়মিত ভালো মানের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে যেতে হবে।

আপনার ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে ইউটিউব এসইও সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আপনি চাইলে টাকার বিনিময়ে ইউটিউবে নিজের ভিডিও ভাইরাল করতে পারবেন। তবে এটা কোন স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। আপনার ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিও গুলো নিয়মিত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে হবে।

এরপর আপনার ইউটিউব এর পলিসি মোতাবেক যদি ইউটিউবে শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তখন মনিটাইজ করে আয় করতে পারবেন। সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, আপনার চ্যানেলে যদি গত এক বছরে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকে এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার থাকে তবে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আপনি যদি একজন সফল ও প্রফেশনাল ইউটিউবার হতে চান তবে বিস্তারিত জানতে হলে ইউটিউব দেখে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অনলাইন থেকে আয় করার অন্যতম একটা সেরা ও জনপ্রিয় মাধ্যম হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বর্তমানে অনেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ইনকাম করছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও হাজার হাজার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার রয়েছে। বর্তমানে ক্রমশ মানুষ অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে

সত্যি বলতে একমাত্র অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং করে সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত এমন একটা পদ্ধতি যেখানে আপনি কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিজস্ব প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।

বর্তমানে পৃথিবীতে অসংখ্য ই-কমার্স সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অপশন পাবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং একটা অংশ। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

একজন চাইলে ব্লগিং করে অথবা ইউটিউবিং করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার অধীনে ভালো পরিমাণ ট্রাফিক থাকতে হবে। এছাড়া আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে সব ধরনের মার্কেটিং জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এছাড়া আপনি চাইলে ইমেইল মার্কেটিং করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

আপনি যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন পাবেন। আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল অথবা ইউটিউব ঘাটাঘাটি করতে হবে।

ড্রপ শিপিং করে আয়

ড্রপ শিপিং বর্তমানে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম করার পদ্ধতি। ড্রপ শিপিং ধীরে ধীরে আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে। ড্রপ শিপিং বলতে বুঝায় এমন একটা পদ্ধতিতে যেখানে অন্য কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে বিক্রি করা।

প্রতি ইউনিট বিক্রির বিনিময়ে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করে থাকবে। ড্রপ শিপিং এ আপনি একটা ই-কমার্স সাইট তৈরি করে অন্য কোন কোম্পানির পণ্য সাজিয়ে রাখবেন। এরপর মার্কেটিং প্রচার করার মাধ্যমে যখন কোন অর্ডার পাবেন তখন আপনি অর্ডারটি গ্রহণ করে আপনার আসল কোম্পানিতে নিজে অর্ডার করে পণ্য ক্রেতার নিকট পৌঁছিয়ে দিবেন।

ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে আপনার খুব বেশি মূলধন এর প্রয়োজন হবে না। আপনার শুধু ডোমেইন হোস্টিং কেনার জন্য নিজস্ব মূলধন এর প্রয়োজন হবে সেটা খুবই যৎসামান্য। এখানে মূলত আপনার মুনাফা আসবে কমিশন থেকে। আপনি যত বেশি ইউনিট বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি কমিশনের মাধ্যমে মুনাফা লাভ করতে পারবেন। নিজস্ব কোনো মূলধনের প্রয়োজন হয় না মেলে এখানে খুব বেশি ঝুঁকি থাকে না।

আপনার ওয়েবসাইটটি খুব বেশি এসইও করার মাধ্যমে সবার সামনে ছড়িয়ে দিতে হবে। কাঙ্খিত ক্রেতারা যখন আপনার ওয়েবসাইটে এসে অর্ডার করবেন তখন সে অর্ডারটি গ্রহণ করে, আপনাকে আবার আসল কোম্পানিতে নিজস্ব পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে অর্ডার গ্রহণ করে বুঝিয়ে নিয়ে ক্রেতাকে সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে।

ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে আপনাকে ডেলিভারি করার জন্য নিজস্ব লোক রাখার প্রয়োজন হবে না। আপনাকে ক্রেতারাই যেই ঠিকানা দিবে সেখানে আপনি অর্ডার গ্রহণ করে সেটা পাঠিয়ে দিবেন।

আমাদের কথা

আজকের আর্টিকেল এর বিষয় ছিল বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার উপায় [সেরা ৫টি উপায়] । আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার খুব উপকার করেছে। অনলাইন থেকে বাংলাদেশ থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।

আপনি উপরোক্ত উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল অথবা ইউটিউব ঘাটাঘাটি করে জেনে নিতে হবে। আমরা আপনাকে শুধু ধারণা দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button